Breaking

Search Content

Follow Us

সোমবার, ৪ অক্টোবর, ২০২১

সিংহ কিভাবে মা দুর্গার বাহন হওয়ার মর্যাদা পেল

  নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম।ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয়বস্তু ।

আজকে আপনাদের সামনে যে বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করব তা হল- "পশুরাজ সিংহ কিভাবে মা দুর্গার বাহন হওয়ার মর্যাদা পেল"।

প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে পুজোর সময় মায়ের সাথে সিংহের পূজা হয় কিন্তু আমরা কি জানি সিংহ কিভাবে মায়ের বাহন হল?

 সাধারনত মা দুর্গার বাহন সিংহকে অস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। তবে সিংহ শক্তির প্রতীক। তাই অনেকে মনে করেন সিংহ আসলে দুর্গার শক্তিশালী এক অস্ত্রের চেয়ে কম নয়।





মা দুর্গার বাহন সিংহ। গিরিরাজ হিমালয় দেবীকে তার বাহনরূপে সিংহ কে দান করেছিলেন । শ্রীশ্রীচণ্ডী-তে সিংহকে মহাসিংহ, বাহনকেশরী, ধূতসট ইত্যাদি বিশেষণে ভূষিত করা হয়েছে।


পশুরাজ সিংহ কেন মা দুর্গার বাহন এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানার আগে এটা বলা দরকার যে কেনই বা মা দুর্গার উৎপত্তি। তাহলে সিংহের বাহন হওয়ার প্রসঙ্গ বুঝতে সুবিধা হবে।

শ্রী শ্রী চন্ডী গ্রন্থে বর্ণিত দেবী দুর্গার কাহিনী গুলোর মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় হল মহিষাসুর বধের কাহিনী। এই পৌরাণিক কথা অনুসারে এক যুদ্ধে দেবরাজ ইন্দ্র কে পরাস্ত করেন ইন্দ্রলোকের অধিকারী হয় মহিষাসুর। বিতাড়িত দেবগন প্রথমে প্রজাপতি ব্রহ্মা এবং পরে মহাদেব ও নারায়ণের সমীপে উপস্থিত হলেন। মহিষাসুরের অত্যাচার ও ইন্দ্রলোক কেড়ে নেওয়ার কথা সমস্ত দেবতাগণ ক্রোধান্বিত হলেন। সেই ক্রোধে তাদের মুখমন্ডল ভীষণ আকার ধারণ করলেন। বিষ্ণু দেব মহাদেব ও প্রজাপতি ব্রহ্মা দেবের মুখমণ্ডল হতে এক মহা তেজ নির্গত হল। সেইসঙ্গে ইন্দ্রলোকের অন্যান্য দেবতাদের দেহ থেকেও তেজ নির্গত হল এবং মহা তেজের সঙ্গে মিলিত হল। সুউচ্চ হিমালয় স্থিত ঋষি কাত্যায়নের আশ্রম এসে বিরাট তেজঃপুঞ্জ একত্রিত হয়ে এক নারীমূর্তি ধারণ করল।ঋষি কাত্যায়নের আশ্রম এ আবির্ভূত হওয়ার দরুন এই দেবী কাত্যায়নী নামে অভিহিত হইলেন। একেক দেবের প্রভাবে দেবীর এক এক অঙ্গ উৎপন্ন হল। প্রত্যেক দেবতা তাদের অস্ত্র দান করলেন। গিরিরাজ হিমালয় দেবীকে তার বাহন রূপে সিংহ কে দান করলেন। এই দেবী ও তার বাহন সিংহ মহিষাসুরকে বধ করলেন।

সিংহ পশু রাজ্যের সম্রাট সিংহ দন্ত ও নখ ধারি। দেবী জটাজুট সমাযুক্তাং ও সিংহ কেশরী যুক্ত। অর্থাৎ হিংস্রতায় দুজনেই সহযাত্রী। আবার আধ্যাত্মিকতার দিক থেকে সিংহ হিংস্রতায় পরিপূর্ণ হয়েও দেবীর পদতলে নিত্য শরণাগত অবিচল। তেমনি আমাদেরও উচিত মাতৃ চরণে শরণাগত হওয়া। মায়ের লক্ষ্য জনকল্যাণ। দেবী এই শিক্ষা দিয়েছেন, আমরা যেন তা স্মরণে রাখি।

আশাকরি লেখা টি আপনাদের ভাল লেগেছে ভাল লাগলে আপনজনের উদ্দেশ্যে শেয়ার করতে পারেন ।

নমস্কার ,ধন্যবাদ।

 ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।

If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.

( Please don't enter any spam link in the comment box.)

Thank You very much.

অমৃত কথা