নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম।ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইট এর প্রধান বিষয়বস্তু ।
আজকে আপনাদের সামনে যে বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করব তা হল-"মহালয়ার আগে ভুলেও করবেন না এই ১০ টি কাজ"।
এই বছর ২০২১ সালে ২০-ই সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে পিতৃপক্ষ। আর এটি শেষ হবে ৬-ই অক্টোবর মহালয়ার দিন। আর সেদিন থেকেই শুরু হবে দেবীপক্ষের সূচনা। পিতৃপক্ষের এই ১৫ দিনে পিতৃ পুরুষের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এরজন্য অনেকেই এই সময় পালন করে থাকে শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান। হিন্দু শাস্ত্র মতে এই পিতৃপক্ষে এমন কিছু কাজ আছে যা ভুলেও করা উচিত নয়। এই কাজগুলো যে ব্যক্তিটি করবে তার জীবনে দুঃখ, দুর্দশা নেমে আসতে পারে। পিতৃপক্ষে আমিষ, পিয়াজ, রসুন ও বাইরের খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। এই সময় ঘরে তৈরি করা নিরামিষ খাবার খাওয়াই উচিত। এই সময় অনেকেই বেগুন খেতে বারণ করেন। পিতৃপক্ষের সময় মূলত যে ব্যাক্তি তার পূর্বপুরুষ বা পিতৃ পুরুষের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা শান্তির কাজ করবেন তার সেই সময় নখ কাটা, চুল -দাড়ি কাটা উচিত নয়। বরং ওই তর্পণ, শ্রদ্ধা শান্তি করার আগে একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে যেখানে ব্রাহ্মণ বলে দেন সেই অনুযায়ী চুল, দাড়ি, নখ কাটা উচিত। যিনি তর্পণ করবেন তার ময়লা জামা কাপড় পড়া ঠিক নয় । তার এই সময় পরিষ্কার জামা কাপড় পড়া উচিত। এই পিতৃপক্ষের সময় কখনই মিথ্যে কথা বলবেন না। তর্পণ এর সময় চামড়ার তৈরি কোন জিনিস যেমন চামড়ার ওয়ালেট, বেল্ট , চামড়ার জুতো পরবেন না বা ব্যবহার করবেন না। তর্পনের মন্ত্র বলার সময় কারো সঙ্গে কথা বলবেন না। এতে পূর্বপুরুষরা অসন্তুষ্ট হন। এই ১৫ দিন পিতৃপক্ষের সময় নতুন কোন বাড়িতে ঢুকবেনা না । নতুন কোনো ব্যবসা শুরু করবেন না। এই সময় বাড়িতে কোন ভিকারি আসলে তাকে ফেরাবেন না। তাকে অন্তত সামান্য কিছু দিয়ে হলেও সাহায্য করবেন। আপনার সাধ্য মতো খাদ্য ও বস্ত্র দিয়ে সাহায্য করুন। এতে আপনার পূর্বপুরুষরা সন্তুষ্ট হবেন। পিতৃপক্ষের তর্পণ করার সময় তামা বা পিতলের জিনিস ব্যবহার করুন। এই সময় ভুলেও লোহার জিনিস ব্যবহার করবেন না। পিতৃপক্ষের তর্পণের দিন জামা-কাপড় কাছবেন না।
এটি জেনে রাখুন পিতৃপক্ষের সময় মূলত পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে শ্রাদ্ধ শান্তি, তর্পণ করা হয়ে থাকে। এই সময় পূর্ব পুরুষেরা যমালোক থেকে মর্তলোকে ফিরে আসে তাদেরকে পূর্ণ বা তৃপ্তি লাভের জন্য তিল-জল দান করা আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য। এমনকি পিতৃ-পুরুষের যাত্রাপথ কে আলোকিত করার জন্য অনেক জায়গায় উল্কাদানও করা হয়। এই ছিল মূলত পিতৃপক্ষের সময় আমাদের কি কি করতে হবে এবং কি কি না করতে হবে, তার একটি বিবরণ।
আশাকরিলেখাটি পড়ে আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে মহালয়ার আগে পিতৃ পক্ষের সময়কালে কি কি কাজ করা উচিত এবং কি কি কাজ করা উচিত না।
আশাকরি লেখা টি আপনাদের ভাল লেগেছে।সকলেই ভাল থাকুন এবং সুস্থ্য থাকুন এই কামনা রেখে আজকে এখানেই শেষ করলাম।
নমস্কার, ধন্যবাদ।
ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।
If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.
( Please don't enter any spam link in the comment box.)
Thank You very much.
অমৃত কথা