নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম।ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয়বস্তু ।
আজকে আপনাদের সামনে যে বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করব তা হল- ৫ টি জিনিস সম্পর্কে, যা দান করলে মা লক্ষ্মী রুষ্ট হয়ে গৃহত্যাগ করেন।
প্রথম দ্রব্যটি হল- ঝাড়ু বা ঝাঁটা। গৃহ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য ঝাড়ু বা ঝাটা আমরা ব্যবহার করে থাকি। এটি গৃহে একটি নীতিবাচক শক্তি হিসেবে কাজ করে এবং এটি মা লক্ষ্মীর একটি অন্যতম প্রতীক হিসেবে কাজ করে। এই কারণে ধনতেরাসের দিন ঝাড়ু কেনার কথা বলা হয়ে থাকে। কারণ যে বাড়িটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে সেই বাড়িতে মা লক্ষ্মী বিরাজ করতে পছন্দ করেন। এই কারণেই এই ঝাড়ু কখনো কাউকে ঝাড়ু বা ঝাঁটা দান করা উচিত নয়। এমনকি কারো কাছ থেকে ধার নেওয়াও উচিত নয়।
বন্ধুরা এই বিষয়ে অধিক জানতে আমাদের অমৃতকথা ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওটি পুরোটা দেখুন-
দ্বিতীয় যে বিষয়টির কথা বলব সেটি হল-কখনোই কাউকে দা, কাঁচি ,কুড়ুল বা কোন ধারালো অস্ত্র দান করতে যাবেন না। কারণ এই বিষয়টি অত্যন্ত অমঙ্গলজনক। সংসারের ক্ষতির আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এই সমস্ত ধারালো অস্ত্র যদি আপনারা কাউকে দান করেন, তাহলে নিজেদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। আসলে এই সমস্ত জিনিস দান করার ফলে আমাদের মনস্তত্ত্বে এক নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা আসে। তাই এই সমস্ত ধারালো জিনিস কাওকে দান করা উচিত নয়।
তৃতীয় যে বিষয়টির কথা বলব তা হল ঘরের মহিলাদের গহনা বা অলংকার। ঘরের মহিলাদের গহনা বা অলংকার কে মা লক্ষ্মীর স্বরূপ প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়। এই কারনই আমাদের মধ্যে চল রয়েছে, যখনই নতুন সোনা বা গহনা কেনা হয় তখন সবার প্রথমে মা লক্ষ্মীর পায়ের কাছে রেখে পূজা করা হয়। তারপরে তা পরিধান করা হয়। এইজন্যই নিজের স্ত্রীকে দেওয়া গহনা কখনোই কাউকে দান করা উচিত নয়। এতে ঘরের লক্ষী রুষ্ট হয় এবং লক্ষী বড়ই চঞ্চল, সেই কারণে সে গৃহ পরিত্যাগ করে। বিশেষ করে বাড়ির মহিলারা কখনোই আপনাদের নিজস্ব গহনা কাউকে দান করতে বা উপহার দিতে যাবেন না। দিতে হয় তাহলে অন্য কোনো গহনা আপনার সাধ্য মতো কিনে তাকে দিন। কিন্তু নিজস্ব গহনা কখনোই দেবেন না। এই জিনিস দান করার অর্থ হল গৃহ থেকে লক্ষ্মী কে বিদায় করা।
চতুর্থ যে বিষয়ের কথা বলব তা বন্ধুরা আপনারা সকলেই জানেন। বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে এই সমস্ত জিনিসগুলি কখনোই কাউকে ধার দেওয়া বা দান করা উচিত নয়। এগুলি হল- শঙ্খ, চাল, দই, আটা, দুধ এবং বাড়ির নুন কখনোই সন্ধ্যার পর কাউকে দান করা বা ধার দেওয়াউচিত নয়। কারণ সন্ধ্যার পর এই সমস্ত জিনিস গুলো যদি আপনি দান করেন বা ধার দেন, তাহলে আপনার নিজের বাড়ির ইতিবাচক শক্তিগুলি আপনি নিজেই বাড়ি থেকে বার করছেন। মা লক্ষ্মী তাতে অত্যন্ত রুষ্ট হন।
তাই যদি একান্ত এই সমস্ত জিনিসগুলি আপনার কাউকে দেওয়া বাধ্যতামূলক হয়। হলে আপনি তাকে এই সমস্ত জিনিস গুলির জন্য অর্থ প্রদান করুন অর্থাৎ তাকে সেই জিনিস গুলো কিনে দিন। কিন্তু ,ঘর থেকে কখনো এই সমস্ত দ্রব্য সন্ধ্যার পর বার করতে নেই বা কাউকে দিতে নেই। এতে পরিবারের অকল্যাণ হয়।
সর্বশেষ যে বিষয়ের কথা বলব তা হল বিবাহিত মানুষেরা কখনোই কাউকে তার বিবাহের পোশাক দান করবেন না। অর্থাৎ যে পোশাকটি পড়ে আপনার বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল, সেই পোশাকটি কখনোই কাউকে দেবেন না। ক্ষেত্রে আপনার বৈবাহিক জীবনে অকল্যাণ হবে।
এছাড়া আমাদের যে সমস্ত পুরনো জামা কাপড় রয়েছে । সেগুলো তাদেরকেই দান করুন যাদের দরকার । আপনার থেকে যারা আর্থিক দিক থেকে সচ্ছল তাদের কখনোই এটি দান করা উচিত নয়।
গান সব সময় নিঃস্বার্থ ভাবে করা উচিত। তাহলেই সেই দান মহৎ দান হিসেবে গণ্য হয়।
আশাকরি লেখা টি আপনাদের পছন্দ হয়েছে ভালো লাগলে শেয়ার করবেন ও আমাদের অমৃতকথা ইউটিউব চ্যানেলটিকে ফলো করতে পারেন।
ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।
নমস্কার , ধন্যবাদ ।।
ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।
If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.
( Please don't enter any spam link in the comment box.)
Thank You very much.
অমৃত কথা