Breaking

Search Content

Follow Us

শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২১

সহজ 'কালী পূজা-পদ্ধতি' || মা কালীর ধ্যান মন্ত্র , মা কালীর গায়ত্রী মন্ত্র, কালীকবচম,দক্ষিনা কালী কবচম,দক্ষিণাকালিকা স্তোত্রম্ || Maa Kali puja

 নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম।ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয়বস্তু ।


আজকে আপনাদের সামনে যে বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করব তা হল- নিজ বাড়িতে বসে সহজ সরল ভাবে কালী (Maa Kali) পদ্ধতি সম্পর্কে।




  সহজ 'কালী পূজা-পদ্ধতি':-


কালী মায়ের ছবি / মূর্ত্তি / ঘট/পটের সামনে শুদ্ধাসন পেতে বসুন ভক্তিযুক্ত মনে :-


১ম ধাপ :- করজোড়ে নীচের ধ্যান মন্ত্র পাঠ করুন।

ধ্যান মন্ত্র:-

"ওঁ শবারুঢ়াং মহাভীমাং ঘোরদংস্ট্রাং বরপ্রদাম।

হাস্যযুক্তাং ত্রিনেত্রাঞ্চ কপালকর্ত্তৃকাকরাম।।

মুক্তকেশীং লোলজিহ্বাং পিবন্তীং রুধিরং মুহু।

চতুর্ব্বাহু যুতাং দেবীং বরাভয়করাং স্মরেৎ।"


২য় ধাপ :- গায়ত্রী দ্বারা মাতৃমন্ত্র জাগ্রত বা শক্তিশালী করুন।

মায়ের গায়ত্রী মন্ত্র :-


"ওঁ কালিকায়ৈ বিদ্মহে শশ্মানবাসিন্যৈ ধিমহি তন্নো ঘোরে প্রচোদয়াৎ"।।

(১০ বার জপ করুন)


৩য় ধাপ: - মায়ের কবচ পাঠ করুন।

কালীকবচম:-


ভৈরব উবাচ:-

"কালিকা যা মহাবিদ্যা কথিতা ভুবি দুর্ল্লভা।

তথাপি হৃদয়ে শল্যমস্তি দেবি কৃপাং কুরু।।

কবচন্ত মহাদেবী কথয়সানুকম্পা।

যদি নো কথ্যতে মাতব্বিমুঞ্চামি তদা তনুম।।"


দেব্যুবাচ:-


"শংকাপি জায়তে বৎস তব স্নেহাৎ প্রকাশিতম।

ন বক্তব্যং ন দ্রষ্টব্যমতি গুহ্যতমং মহৎ।।

কালিকা জগতাং মাতা শোকদুঃখাদি বিনাশিনী।

বিশেষত কলি যুগে, মহাপাতকহারিণী।।

কালী মে পুরুত: পাঠু পৃষ্ঠতশ্চ কপালিনী।

কুল্বা মে দক্ষিনে পাতু করণৌ চগ্রোপ্রভামতা।।

বদনং পাতু মে দীপ্তা নীলা চ চিবুকং সদা।

ঘনা গ্রীবাং সদা পাতু বলাকা বাহুযুগ্মকম।।

মাত্রা পাতু করদ্বন্দং বক্ষো মুদ্রা সদাবতু।

মিতা পাতু স্তনদ্বন্দং যোনিং মন্ডল দেবতা।

ব্রাম্মী মে জঠরং পাতু, নাভিং নারায়ণীং তথা।

ঊরু মাহেশ্মরী নিত্যং চামুন্ডা পাতু লিঙ্গকম।

কৌমারী চ কটিং পাতু তথৈব জানুযুগ্মকম।

অপরাজিতা পাদৌ মে বারাহী পাতু চাঙ্গুলী: ।

সন্ধিস্থানং নারসিংহী পত্রস্থা দেবতাবতু 

রক্ষাহীনঞ্চ যৎ স্থানং বর্জ্জিতং কবচেন তু।

তৎ সর্ব্বং রক্ষ মে দেবী কালিকে ঘোর দক্ষিণে।

ঊর্দ্ধং-মধ্যস্তথা দিক্ষু পাতু দেবী স্বয়ং বপুঃ।।

হিংস্রেভ্যঃ সর্ব্বদা পাতু সাধকঞ্চ জলাধিকাৎ।

দক্ষিণা কালিকে দেবী ব্যাপকত্তে সদাবতু।

ইদং কবচমজ্ঞাতা যো জপেদ্দেবদক্ষিনাম

ন পুজাফলমাপ্নোতি বিঘ্নস্তস্য পদে পদে।

কবচেনাবৃতো নিত্যং যত্র তত্রৈব গচ্ছতি

তত্র তত্রভয়ং তস্য ন ক্ষোভং বিদ্যতে ক্কচিৎ।"

------*দক্ষিনকালিকা কবচম সম্পূর্ণম্* -----


৪) এর পর আবার নিচের মন্ত্র জপ করুন।


 "ক্রীং কালিকায়ৈ নমঃ।।"


এর পর নিচের মন্ত্রে হাতে একটু জল নিয়ে জপ বিসর্জন করুন এই মন্ত্রে :-


"ওঁ গুহ্যাতিগুহ্য গোপ্তৃীং ত্বং গৃহানস্মতং কৃতং জপো, সিদ্ধির্ভবতু মে দেবি তৎ প্রসাদৎ সুরেশ্বরী ৷৷"


৫) এরপর শ্রীশ্রীদক্ষিণকালিকা স্তোত্রম্ পাঠ করুন:-


শ্রীশ্রীদক্ষিণকালিকা স্তোত্রম্ :-


"ওঁ কৃশোদরি মহাচণ্ডী মুক্তকেশিং বলীপ্রিয়ে।

কুলাচারপ্রসন্নাস্যে নমস্তে শঙ্করপ্রিয়ে।।

ঘোরদংষ্ট্রে কোটোরাক্ষি কিটিশব্দ প্রসাধিনী।

ঘুরঘোররাবাস্ফারে নমস্তে চিতাবাসিনী।।

বন্ধুকপুষ্পসঙ্কাশে ত্রিপুরে ভয়নাশিনী।

ভাগ্যোদয়সমুৎপন্নে নমস্তে বরবন্দিনী।।

জয় দেবি জগদ্ধাত্রী ত্রিপুরাদ্যে ত্রিদেবতে।

ভক্তেভ্যো বরদে দেবি মহষঘ্নি নমোহস্তুতে।।

ঘোরবিঘ্নবিনাশায় কুলাচারসমৃদ্ধয়ে।

নমমি বরদে দেবি মুণ্ডমালা বিভূষনে।।

রক্তধারাসমাকীর্ণে করকাঞ্চীবিভূষিতে।

সর্ব্ববিঘ্নহরে কালী নমস্তে ভৈরবপ্রিয়ে।।

নমস্তে দক্ষিণামূর্ত্তে কালী ত্রিপুরভৈরবী।

ভিন্নাঞ্জনচয়প্রক্ষে প্রবীণশবসংস্থিতে।।

গলচ্ছ্রোণিতধারাভিঃ স্মেরাননসরোরুহে।

পীনোন্নতকুচদ্বন্দ্বো নমস্তে ঘোরদক্ষিণে।।

আরক্তমুখশান্তাভির্নেত্রালিভির্বিরাজিতে।

শবদ্বয় কৃতোত্তংসে নমস্তে মদবিহ্বলে।।

পঞ্চাশন্মুণ্ডঘটিতমালা লোহিত লোহিতে।।

নানামণিবিশোভাঢ্যে নমস্তে ব্রহ্মসেবিতে।।

শবাস্থিকৃতকেয়ুর, শঙ্খ-কঙ্কন-মণ্ডিতে।

শববক্ষঃ সমারুঢ়ে নমস্তে বিষ্ণুপূজিতে।।

শবমাংস কৃতগ্রাসে অট্টহাসে মুহুর্মুহু।

মুখশীঘ্রস্মিতামোদে নমস্তে শিববন্দিতে।।

খড়্গমুণ্ডধরে বামে সব্যে (অ) ভয়বরপ্রদে।

দন্তুরে চ মহারৌদ্রে নমস্তে চণ্ডনাদিতে।।

ত্বং গতিঃ পরমা দেবি ত্বং মাতা পরমেশ্বরী। 

ত্রাহি মাং করুণাসাদ্রে নমস্তে চণ্ডনায়িকে।।

নমস্তে কালিকে দেবি নমস্তে ভক্তবৎসলে।

মুর্খতাং হর মে দেবি প্রতিভা জয়দায়িনী।।

গদ্যপদ্যময়ীং বাণীং তর্কব্যাকরণাদিকম্।

অনধীতগতাং বিদ্যাং দেহি দক্ষিণকালিকে।।

জয়ং দেহি সভামধ্যে ধনং দেহি ধনাগমে।

দেহি মে চিরজীবিত্বং কালিকে রক্ষ দক্ষিণে।।

রাজ্যং দেহি যশো দেহি পুত্রান্ দারান্ ধনং তথা।

দেহান্তে দেহি মে মুক্তিং জগন্মাতঃ প্রসীদ মে।।

ওঁ মঙ্গলা ভৈরবী দুর্গা কালিকা ত্রিদশেশ্বরী।

উমা হৈমবতীকন্যা কল্যাণী ভৈরবেশ্বরী।।

কালী ব্রাহ্মী চ মাহেশী কৌমারী বৈষ্ণবী তথা।

বারাহী বাসলী চণ্ডী ত্বাং জগুর্ম্মুনয়ঃ সদা।।

উগ্রতারেতি তারেতি শিবত্যেকজটেতি চ।

লোকোত্তরেতি কালেতি গীয়তে কৃতিভিঃ সদা।।

যথা কালী তথা তারা তথা ছিন্না চ কুল্লকা।

একমূর্ত্তিশ্চতুর্ভেদ দেবি ত্বং কালিকা পুরা।।

একত্রিবিধা দেবী কোটিধানন্তরূপিনী।

অঙ্গাঙ্গিকৈর্নামভেদৈঃ কালিকেতি প্রগীয়তে।

শম্ভুঃ পঞ্চমুখেনৈব গুণান্ বক্তুং ন তে ক্ষমঃ।

চাপল্যৈর্যৎ কৃতং স্তোত্রং ক্ষমস্ব বরদা ভব।।

প্রাণান্ রক্ষ যশো রক্ষ পুত্রান্ দারান্ ধনং তথা।

সর্ব্বকালে সর্ব্বদেশে পাহি মাং দক্ষিণকালিকে।।

যঃ সংপূজ্য পঠেৎ স্তোত্রং দিবা বা রাত্রিসন্ধ্যায়োঃ।

ধনং ধান্যং তথা পুত্রং লভতে নাত্র সংশয়।।

শ্রীমন্মহাকালবিরচিত শ্রীমদ্দক্ষিণকালিকাস্তোত্রং সম্পূর্ণম্।।"


৬) এবার বন্দনা করুন: -


"ওঁ মহামায়ে জগন্মাত কালিকে ঘোর দক্ষিণে ৷ 

গৃহাণ্ বন্দনে দেবী নমস্তে শংকর প্রিয়ে ৷৷

ওঁ প্রচন্ডে পুত্রদে নিত্যং সুপ্রীতে সুর নায়িকে ৷ 

কুলদ্যোতকরে চোগ্রে জয়ং দেহী নমোহস্তুতে ৷৷ "


এর পর অপরাধ ক্ষমা প্রার্থনা করে নিচের মন্ত্র পড়ে কাজ শেষ করে আপনার সমস্যা বা মনোবাসনা মায়ের চরণে নিবেদন করুন :-


"ওঁ যদক্ষরং পরিভ্রষ্টং মাত্রাহীনঞ্চ য়দ্ ভবেৎ ৷

পুরনং ভবতু যৎ সর্ব, তৎ প্রসাদৎ সুরেশ্বরী।৷"



কালী পূজা -


রহস্যপূজা এবং সাধন রহস্যে বলা হয়েছে:-

"না দিবা পূজায়দ্দেবীং রাত্রৌ নৈবচ নৈবচ।।

সর্বদা পূজয়ে দেবীং দিবা রাত্রৌবিবর্জয়েৎ।।"


অর্থাৎঃ দেবীকে দিনে ও না, রাত্রিতে ও না সর্বদা পূজা করবে।


রহস্যপূজায় বলা হয়েছে-         

"দিবাচার্দ্ধ প্রহরিকা চাদ্যন্তে পরমেশ্বরী||

ঋতু দন্ডাত্নিকা সা চ রাত্রিরুক্তা মনীষিভিঃ|

ততো বৈদশ নাড্যন্ত নিশা মহানিশা স্মৃতাঃ|

সর্বদা চসমাখ্যাতা সর্ব সাধন কর্ম্মনি"||

 

অর্থাৎ, সূর্যাস্তের পর অর্দ্ধপ্রহর বা চারদন্ড সময় অর্থাৎ ৯৬ মিনিট সময়কে বলা হয় দিবা। তারপর ছয়দন্ড অর্থাৎ ১৪৪ মিনিট সময়কে বলা হয় রাত্রি। অর্থাৎ সূর্যাস্তের প্রথম দশ দন্ড অর্থাৎ ৪ঘন্টা দিবা ও রাত্রি। তারপর দশ দন্ডকাল অর্থাৎ ৪ ঘন্টা হচ্ছে নিশা ও মহানিশা। একই বলা হয় সর্বদা। এটাই দেবী পূজার প্রশস্ত সময়। কার্তিক মাসে সাড়ে পাঁচটায় সূর্যাস্ত। তারপর চার ঘন্টা বাদ দিয়ে পূজায় বসতে হবে এবং রাত্রি একটার মধ্যে পূজো সমাপ্ত করতে হবে। আবার রাত্রি দেড়টার পর সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়কে বলা হয় দিবারাত্রি।


আশাকরি লেখাটি পড়ে আপনারা সমৃদ্ধ হয়েছেন।ভালো লাগলে আপনজনের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন অথবা আমাদের অমৃতকথা ইউটিউব চ্যানেলটিকে ফলো করতে পারেন। 

ভালো থাকুন , সুস্থ থাকুন।

 নমস্কার , ধন্যবাদ।।

 ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।

If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.

( Please don't enter any spam link in the comment box.)

Thank You very much.

অমৃত কথা