নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম।ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয়বস্তু ।
আজকে আপনাদের সামনে যে বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করব তা হল- "মানুষের হাতে লক্ষণীয় ৫ টি চিহ্ন"- সম্পর্কে। আমাদের হাতের বিভিন্ন রেখা দ্বারা গঠিত চিহ্নগুলি যেমন- শঙ্খ চিহ্ন, মাছের চিহ্ন, মন্দির চিহ্ন, স্বস্তিক চিহ্ন, ত্রিশূল চিহ্ন প্রভৃতির মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য সম্পর্কে আজকে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করবো।
বন্ধুরা ভারতীয় সংস্কৃতিতে ভবিষ্যৎবাণী করার জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে। যার মধ্যে 'সামুদ্রিক শাস্ত্র' ভবিষ্যৎবাণী করার একটি প্রাচীন পদ্ধতি। বিষ্ণু পুরাণ অনুযায়ী এই শাস্ত্র মা লক্ষ্মী স্বয়ং ভগবান বিষ্ণু কে শুনিয়েছিলেন এবং সমুদ্র দেবতা এই শাস্ত্র শোনার পর শাস্ত্রটিকে প্রসার করেছিলেন। এই জন্য এই শাস্ত্রকে- 'সামুদ্রিক শাস্ত্র' বলা হয়।
হাতের রেখা, হাতের উপর নখের গঠন, হাতের রেখা অনুযায়ী হাতের পাতার উপর বিভিন্ন ধরনের চিহ্নের গঠন প্রভৃতির সম্পর্কে বিভিন্ন জ্ঞান অধ্যায়নের অভ্যাস এর মাধ্যমে এই সামুদ্রিক শাস্ত্র বিদ্যার বিকাশ ঘটেছে। সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুযায়ী প্রত্যেকটি মানুষের শরীরের তিল এবং বিভিন্ন চিহ্নর খুব মাহাত্ম্য আছে। ঠিক এরকম ভাবেই হাতের পাতার উপর বিভিন্ন রেখা যেমন- ভাগ্য রেখা, মস্তিষ্ক রেখা, হৃদয় রেখা, মঙ্গল রেখা ইত্যাদি এবং এই রেখাগুলি বাদেও এই রেখা দ্বারা গঠিত বিভিন্ন চিহ্ন যেমন- শঙ্খ, চক্র, মন্দির, স্বস্তিক চিহ্ন, ত্রিশূল ও পর্বত ইত্যাদির অধ্যায়নের মাধ্যমে মানুষের ভূত কাল, বর্তমান কাল, ভবিষ্যৎ কাল ও মানুষের স্বভাব সম্পর্কে জানা যায়। চলুন বন্ধুরা জেনে নেওয়া যাক মানুষের হাতে লক্ষণীয় বিভিন্ন চিহ্ন গুলি সম্পর্কে-
• মানুষের হাতে লক্ষণীয় ৫-টি চিহ্নের তাৎপর্যঃ-
১) শঙ্খ চিহ্ন- যেসব মানুষের হাতের পাতার উপর হাতের রেখা দ্বারা গঠিত হয়- শঙ্খ চিহ্ন, সে সব মানুষেরা প্রচুর ধনবান হন এই ধরনের মানুষের জীবনে কখনো মূলধনের অভাব দেখা যায় না। এই ধরনের মানুষ তাদের কাজের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসী থাকে। সেই কারণে তারা তাদের জীবনে প্রচুর মূলধন লাভ করতে পারে ।
২) মাছের চিহ্ন- শঙ্খ চিহ্নর মতই অনেক মানুষের হাতে 'মাছের চিহ্ন' দেখা যায়। এই মাছের চিহ্ন হল- সৌভাগ্য এবং ঐশ্বর্যের প্রতীক। কিছু মানুষের ছোট থেকেই হাতে এই চিহ্ন লক্ষ করা যায়। আবার কিছু মানুষের অর্ধেক জীবন পার করার পর ধীরে ধীরে হাতে এই চিহ্ন ফুটে ওঠে এবং তার ভাগ্য খুলে যায়।
৩) মন্দির চিহ্ন- যে সমস্ত মানুষের হাতে মন্দিরের মতো চিহ্ন দেখা যায় সেই সমস্ত ব্যক্তির সর্বদা সমাজে মান সম্মান বজায় থাকে। এই রকম লোক তার নির্দিষ্ট একটি কাজের স্থানে অবস্থান করেন। কিন্তু তার আশেপাশে সমস্ত কিছুর বিষয়ে সে জানেন। এই কারণে যখন অন্য কোনো ব্যক্তির সমস্যায় পড়েন তখন এই ধরনের মানুষের কাছে সমস্যা সমাধান করতে আসেন। কারণ হাতে মন্দির চিহ্ন যেসব ব্যক্তিদের থাকে তারা যথেষ্ট বুদ্ধিমান হয়।
৪) স্বস্তিক চিহ্ন- চরিত্রবান ও ধার্মিক মানুষদের হাতে মূলত এই চিহ্ন দেখা যায়। এই স্বস্তিক চিহ্ন মূলত শুভ। এই চিহ্ন যুক্ত মানুষেরা দয়ালু হন।
৫) ত্রিশূল চিহ্ন- বহু মানুষের হাতের রেখা অনুযায়ী ত্রিশূল আকৃতি লক্ষ করা যায়। যেসব মানুষের হাতে ত্রিশূল চিহ্ন লক্ষ্য করা যায় তারা খুবই সাহসী হন।
আশাকরি বন্ধুরা লিখাটি পড়ে আপনারা সমৃদ্ধ হয়েছেন এবং বুঝতে সক্ষম হয়েছেন মানুষের হাতের রেখা দ্বারা গটিত বিভিন্ন চিহ্ন গুলির তাৎপর্য সম্পর্কে। ভালো লাগলে আপনজনের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন অথবা আমাদের অমৃতকথা ইউটিউব চ্যানেলটিকে ফলো করতে পারেন।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
নমস্কার, ধন্যবাদ।।
ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।
If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.
( Please don't enter any spam link in the comment box.)
Thank You very much.
অমৃত কথা