নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম। ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয়বস্তু।
বন্ধুরা হিন্দু ধর্মে শ্রীরামের পরম ভক্ত রূপে জানা যায় হনুমানজিকে। রামায়ণে হনুমান না থাকলে রামায়ণের কাহিনী অন্যরকম হতো। রামভক্ত হনুমান রামায়ণে সবথেকে মহত্বপূর্ণ পাত্র দের মধ্যে একজন ছিলেন। হনুমানজির অনেক কথা, কাহিনী আমাদের পুরাণে পাওয়া যায়। কিন্তু, বন্ধুরা এই বিষয়টির বিবরণ কোথাও পাওয়া যায় না, যে প্রভু শ্রী রামের বৈকুণ্ঠধাম ফিরে যাওয়ার পর পবনপুত্র হনুমান কোথায় গেলেন?
আজ এই লেখাটিতে আমরা জানার চেষ্টা করব হনুমানজি বাস্তবে কোথায় গিয়েছিলেন?
অনেক কথা ও কাহিনী এই দিকে ইশারা করে যে পবনপুত্র হনুমান চীনের দিক থেকে ভারতে এসেছিলেন। কিন্তু, প্রশ্ন এখানে ওঠে হনুমানজি চীন থেকে হাজারো কিলোমিটার দূরে ভারতে প্রভু শ্রী রামের খোঁজ পেলেন কিভাবে? শুধু তাই নয় এরপরে লঙ্কার যুদ্ধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। পবন পুত্র হনুমান কি লঙ্কা যুদ্ধের পরে পুনরায় চীনে ফিরে গিয়েছিলেন?
এমনটা এই কারণে অনুমান করা হচ্ছে কারণ চীনের ধর্ম কথাতে এমন একটি বানরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যে একটি দিবিও শক্তির অধিকারী ছিল। এই বানরটির শক্তির সঙ্গে হনুমানজির অনেক মিল পাওয়া যায়। চীনের জনগণ এই দিবিও বানরটিকে 'Monkey King' নামে পূজা করে। হনুমানজির মত মাংকি কিং এর শক্তি পুরোপুরি একটি বানরের মত ছিল। কিন্তু, সে দুই পায়ে চলতে পারতো। হনুমানজির মতই এই বানরটির সামনাসামনি যুদ্ধ করা কোনো দেবতা অথবা রাক্ষসের পক্ষেও কঠিন ছিল। যুদ্ধ কলা-কৌশলে এই বানরটির কোনো তুলনাই ছিলনা। পবন পুত্র হনুমানের মত 'Monkey King' ও কোনো সাহায্য ছাড়া আকাশে উড়তে পারত।
Monkey King - এর বিষয়ে চিনা গ্ৰন্থতে করতে পরিষ্কার লেখা রয়েছে, তার একটি বিশেষ শক্তি ছিল যার মাধ্যমে সে যে কারো রূপ ধারণ করতে পারতো। আমরা রামায়ণে বারবার হনুমানজির রূপ বদলানোর শক্তির কথার উল্লেখ পেয়েছি। হিন্দু ধর্মগ্রন্থে হনুমানজির ছোটবেলার যে কথা গুলি উল্লেখ করা রয়েছে তা থেকে বোঝা যায় হনুমানজি ছোটবেলায় অত্যন্ত দুষ্টু ছিলেন। ঠিক এরকমটাই চিনে ধর্মগ্রন্থ তে Monkey King এর সম্পর্কে একই লেখা রয়েছে।Monkey King- এর ছোটবেলার শয়তানির কথা চীনের গ্রন্থতে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা রয়েছে। শুধু তাই নয় এই Monkey King ও হনুমান জির অস্ত্রের মধ্যেও মিল দেখা যায়। চীনের ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী Monkey King একটি হাতিয়ার এর মাধ্যমেই লড়াই করতেন। তার প্রধান হাতিয়ার ছিল একটি লাঠি। তিনি কোনো ধারালো অস্ত্রের ব্যবহার করতেন না। ঠিক একই প্রকার ভাবে হনুমানজির কোনো ধারালো অস্ত্রের ব্যবহারের উল্লেখ রামায়ণে পাওয়া যায় না। হনুমানজি কেবল গদার মাধ্যমে যুদ্ধ করতেন।
একটি কথা অনুযায়ী মাংকি কিং একদা স্বর্গে আক্রমণ করেছিলেন । ঠিক সেরকমই হনুমানজির সঙ্গে দেবরাজ ইন্দ্রের বিবাদের কথাও আমরা পুরানে পেয়ে থাকি। এই কাহিনী অনুযায়ী দেবরাজ ইন্দ্রের বজ্রের প্রভাব হনুমানজি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। এরপর দেবতারা হনুমানজির কাছে এই জন্য ক্ষমা চেয়ে তাকে বিভিন্ন ধরনের বরদান দিয়েছিলেন।
হিন্দু সংস্কৃতি এবং চিনা সংস্কৃতিতে এই কথাগুলির মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। এই দুই সংস্কৃতি অধ্যয়নের মাধ্যমে এই বিষয়টি পরিষ্কার যে হনুমানজি ও মাংকি কিং দুজনেরই স্বর্গের সঙ্গে বিবাদ হয়েছিল। তাহলে এটাও তো হতে পারে যে এই দুইজন আসলে একই। এছাড়া মাংকি কিং হনুমানজির মত ছোট থেকেই ব্রহ্মচারীর পথ বেছে নিয়েছিল। শাস্ত্র জ্ঞানে দুজনেই ছিলেন পারদর্শী। এই সকল বিষয় গুলি লক্ষ্য করলে এটাই সামনে আসে যে ভারতের পবনপুত্র হনুমান এবং চীনের মাংকি কিং এই দুই শক্তিশালী মহাযোদ্ধা একজনই ছিল। আপনার এতে কি মতামত তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর ভালো লাগলে আপন জনের উদ্দেশ্যে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
আশাকরি বন্ধুরা লেখা টি পড়ে আপনারা সমৃদ্ধ হয়েছেন। আজ এখানেই শেষ করলাম। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। নমস্কার, ধন্যবাদ। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।
আরো পড়ুন:- পাঁচটি কাজ যা করলে মা লক্ষ্মী কখনোই গৃহে প্রবেশ করে না -CLICK HERE
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।
If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.
( Please don't enter any spam link in the comment box.)
Thank You very much.
অমৃত কথা