নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম। ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয়বস্তু।
আজকে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করবো - গান্ধারী প্রথম স্বামী কে ছিল, কেনই বা গান্ধারীর দুবার বিয়ে হয়েছিল এবং গান্ধারীর পরিবারের মৃত্যু হল কিভাবে?
মহাভারতের প্রমূখ পাত্র দের মধ্যে একজন ও ১০০ পুত্রের পিতা ধৃতরাষ্ট্রকে কে না জানে? ধৃতরাষ্ট্রের বিষয়ে অনেক তথ্যের উল্লেখ পাওয়া গেছে, এর মধ্যে একটি তথ্য হলো যে- ধৃতরাষ্ট্র নিজের স্ত্রী গান্ধারীর পরিবারকে হত্যা করেছিলেন।
বন্ধুরা আপনাদের মধ্যে অনেকেই এটা জেনে অবাক হবেন আর এর কারণ জানতেও ইচ্ছা বোধ করবেন। চলুন বন্ধুরা আজকে আপনাদের জানাবো ধৃতরাষ্ট্রের এই অবিশ্বাস্য কীর্তির পেছনের কারণ।
ধৃতরাষ্ট্রের বিবাহ গান্ধার দেশের রাজকুমারী গান্ধারীর সাথে হয়েছিল। গান্ধারীর কুণ্ডলিতে দোষ ছিল। জ্যোতিষ আচার্যের অনুসারে গান্ধারীর কুন্ডলীতে দুটি বিবাহের যোগ ছিল। তার প্রথম স্বামীর মৃত্যু বিবাহের সাথে সাথেই নিশ্চিত ছিল, শুধুমাত্র দ্বিতীয় স্বামী বেঁচে থাকতে পারবে।এই দোষ কে সমাপ্ত করার জন্য এক সাধু তার বিবাহ ছাগলের সাথে করার জন্য বলেছিলেন। গান্ধারির পরিবার এরকমই করেছিলেন,আর পরে ওই ছাগলের বলি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই কথা বিবাহের সময় গান্ধারী ও তার পরিবার গোপন রেখেছিলেন। যখন ধৃতরাষ্ট্র এসব জানতে পারল তিনি তখন খুবই রেগে গেলেন। সে গান্ধার নরেশ সুবলকে আর তার সকল পুত্রকে কারাগারে ঢোকানোর আদেশ দেন। আর তাদের ওপর খুবই অত্যচার করা হতো। তাদের খুবই কম মাত্রায় ভোজন দেওয়া হতো, যার কারণে সুবলের পুত্রদের মৃত্যু হতে লাগলো। প্রতিশোধের আগুনে জ্বলে ওঠা সুবল তার সবচেয়ে ছোট পুত্র শকুনিকে কৌরবের বিনাশের জন্য প্রস্তুত করেন। সুবলের সব পুত্র তাদের ভাগের খাবার শকুনিকে খাইয়ে দিত যাতে শকুনি বেঁচে থাকে এবং তার পরিবারের উপর হওয়া এই কঠোর অত্যাচারের প্রতিশোধ নিতে পারে। নিজের মৃত্যুর আগে সুবল ধৃতরাষ্ট্রের কাছে বিনতী করেন যে, তিনি যেন শকুনি কে ছেড়ে দেন। সুবল তার নিজের শরীরের হার দিয়ে পাশা তৈরি করতে বলেন শকুনিকে। যা কৌরব বংশের বিনাশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শকুনি সর্বপ্রথম সবার বিশ্বাস জয় করে। মামা শকুনি দুর্যোধনের অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন। শকুনি দূর্যোধন কে পান্ডবদের বিরুদ্ধে উসকে দিতেন। আর মহাভারতের মতো যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করেন। কারণ শকুনি জানতো পান্ডব পক্ষের বিরুদ্ধে কৌরবদের যুদ্ধ হলে কৌরবদের বিনাশ ঘটবে আর এর ফলেই তার পিতা সুবলের ইচ্ছে পূরণ হবে।
তো বন্ধুরা এই কারণ ছিল যার জন্য ধৃতরাষ্ট্র তার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের হত্যা করেন আর যার বদলা শকুনি নিয়েছিলেন। এই কারণেই মৃত্যুর পর শকুনি নিজের পরিবারের প্রতি দায়িত্ব পরায়ণতার জন্য এবং নিজের পিতাকে দেওয়া কথা পালন করার জন্য তার স্বর্গ লাভ হয়েছিল।
বন্ধুরা ইতিমধ্যেই শকুনি সম্পর্কিত একটি লেখা এই ওয়েবসাইটে দেওয়া রয়েছে প্রয়োজন বোধ করলে সেটি দেখে নিতে পারেন - Why Shakuni went to heaven - CLICK HERE
আশাকরি বন্ধুরা লিখাটি পড়ে আপনারা সমৃদ্ধ হয়েছেন এবং গান্ধারীর বিবাহ সম্পর্কিত মহাভারতের এই ঘটনাটি সম্পর্কে বুঝতে সক্ষম হয়েছেন। ভালো লাগলে আপনজনের উদ্দেশ্যে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। নমস্কার, ধন্যবাদ। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।
If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.
( Please don't enter any spam link in the comment box.)
Thank You very much.
অমৃত কথা