Breaking

Search Content

Follow Us

রবিবার, ৮ মে, ২০২২

কেমন হয়ে থাকে স্বর্গ ও নরক - জানালেন যমলোক থেকে ফেরা কিছু কন্যারা।


নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম। ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয়বস্তু।   


বন্ধুরা সকল মানুষ জীবনভর নিজের কর্ম করে থাকে, হতে পারে সেই ব্যক্তি ভালো অথবা খারাপ। আর জীবনের অন্তিম পর্যায়ে আসার পরে সেই ব্যক্তি এটা ভাবতে থাকে যে, আমার এই জীবনে করা কর্মের জন্য স্বর্গলোক প্রাপ্ত হবে নাকি নরক?


মানুষের মধ্যে এই প্রবৃত্তি থাকে যে, মানুষ তার খারাপ কর্ম গুলিকে ভালো কর্ম হিসেবে গুনতে থাকে। আর এটা ভেবেই প্রসন্ন হয় যে, মরার পরে স্বর্গলোক প্রাপ্ত হবে। কিন্তু সেই মানুষ টি ভালো করেই জানে যে, কোনো মানুষ তার নিজের জীবনের কর্মের ফল নিজেই স্বয়ং ঠিক করতে পারে না। বরং মৃত্যুর পরে সেই ব্যক্তির কর্মফল নির্ধারণ করে স্বয়ং যমরাজ। আর তিনিই বলেন যে মানুষ তার জীবনে যে কর্মগুলি করেছে সেগুলি পুণ্যকর্ম ছিল নাকি পাপ কর্ম। আর এই কর্মগুলি অনুযায়ী সেই মানুষের স্বর্গ অথবা নরক প্রাপ্ত হয়। কিন্তু এখানে সবথেকে বড়োপ্রশ্ন এটা ওঠে যে, যদি কোনো মানুষের মৃত্যুর পর স্বর্গলোক প্রাপ্ত হয় তাহলে স্বর্গলোকে সে কোন কোন সুবিধা ভোগ করে? আর যদি কারো নরক প্রাপ্ত হয় তাহলে তাকে কেমন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়?


বন্ধুরা আজকের লেখাটিতে এই বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত পদ্মপূরাণে বর্ণিত কথা সম্পর্কে জানাতে চলেছি। যার বর্ণনা যমলোক থেকে ফেরা কিছু কন্যারা করেছিলেন।


পদ্মপূরাণে বর্ণিত কথা অনুযায়ী একবার যমদূত কিছু কন্যাদেরকে ভুলবশত সময়ের পূর্বে যমলোক নিয়ে চলে যান। কিন্তু যখন চিত্রগুপ্ত তাদের জন্মকুণ্ডলীতে মৃত্যুর লেখাজোকা দেখছিলেন তখন তিনি যমদূত দের বললেন- হে যমদূতগন, তোমরা এটা কি করেছো! এই কন্যাদের আয়ু এখনো পূর্ণ হয়নি। এইজন্য এই কন্যা গুলিকে পুনরায় মৃত্যু লোকে ফিরেয়ে এসো। তখন এই কথা যেই কন্যা গুলি জানতে পারলো তখন তারা যমদূতদের বললেন - হে ভগবান, আপনার এই ভুলের জন্য আমার পরিবার পরিজনদের যে কষ্ট ভোগ করতে হয়েছে; তার বদলে আপনাকে আমাদেরকে এই পুরো যমলোকটি দেখাতে হবে এবং এই যমলোক সম্পর্কে সবকিছু জানাতে হবে। আমরা সকলে তবেই পৃথিবীতে ফিরে যাব নাহলে এখানেই থাকবো। কন্যাদের এই সমস্ত কথা শুনে যমদূত অত্যন্ত ঘাবড়ে গেলেন। সঙ্গে সঙ্গেই যমদূতেরা দৌড়ে দৌড়ে যমরাজের কাছে গেল, আর যমরাজকে তারা সকল কথা জানালেন। তখন যমরাজ তার দূতদের কাছে জানালেন তোমরা যখন ভুল করেছো তখন এর প্রায়শ্চিত্ত তোমাদের করতেই হবে। এই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত রূপেই তোমাদের ওই কন্যা গুলিকে যোমলকের দর্শন করাতে হবে। যমরাজের কথা শোনার পর যমদূতের পুনরায় কন্যাদের কাছে ফিরে এলেন। তারপর যমদূতেরা সেই কন্যা গুলিকে পুরো যমলোকটি দেখান। এরপর সেই কন্যাগুলি পৃথিবীতে ফিরে আসেন। পৃথিবীতে ফিরে আসার পর তাদের বন্ধুবান্ধব খুশিতে ও আনন্দে মেতে ওঠে। তখন তাদের বন্ধু-বান্ধব ও আপনজনেরা তাদের কাছে যমলোক সম্পর্কে জানতে চান। যার বর্ণনা কন্যাগুলি এইভাবে করেছিলেন- কন্যাগুলি বলেছিলেন যমলকের বাতাবরণ খুবই ঘর ও ভয় উৎপন্ন করে। সবসময় গর্বে থাকা মানুষ, বৃদ্ধ, স্ত্রী-পুরুষ অথবা নপুংসক সব রকমের জীবকেই ওখানে যেতে হয়। সেখানে চিত্রগুপ্ত তার সহকারীদের নিয়ে শুভ ও অশুভ ফল নির্ধারণ করে। পৃথিবী লোকে শুভ কাজ করা কোমল হৃদয়ের তথা দয়ালু পুরুষ আছে তারা সামান্য মার্গে যমলোক জান। নানা প্রকারের দান ধ্যান ও ব্রতের মধ্যে সংলগ্ন থাকা স্ত্রী-পুরুষ দিয়ে সূর্য নন্দনের নগরী ভরে থাকে। মাগ স্নান করণীয় লোক সেখানে বিশেষরূপে শোভিত হয়। ধর্মরাজ তার অধিক সম্মান করে থাকেন। সেখানে তার জন্য সবরকমের ভোগ সামগ্রী সুলভ হয়। মাগ স্নানে মন লাগানো ব্যক্তিদের কোটি কোটি হাজার বিমান(উড়ন্ত রথ) সেখানে শোভা পায়। এই পূর্ণআত্মা জীবদের বিমানে করে আসতে দেখে সূর্য নন্দন নিজের আসন থেকে উঠে দাঁড়িয়ে পড়ে। নিজের সহকারিদের সঙ্গে গিয়ে সেই সকল পূর্ণ আত্মাদের আগমনী করে। তারপরে সেই সকল পূর্ণ আত্মাদের সেই বিমানে (উড়ন্ত রথ) করে স্বর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। স্বর্গলোকের কোনো তুলনা হয় না। স্বর্গলোক সমস্ত প্রকারের দিবিও ভোগ দ্বারা পরিপূর্ণ। এইভাবে সূর্য নন্দনের অনুমতি নিয়ে পূর্ণ আত্মাগুলি স্বর্গলোকে যায়। 


অন্যদিকে খারাপ কর্ম করা, দান ধর্ম পালন না করা ব্যক্তিদের আত্মা অত্যান্ত খারাপ রাস্তা দিয়ে যমলকে যমরাজের কাছে গিয়ে পৌঁছায়। যমরাজের নগর অনেক রূপে স্থিত। তার বিস্তার চারিদিকে 86000 ওজনে রয়েছে। পুণ্যকর্ম করা ব্যক্তি গুলি এটি খুবই নিকট থেকে জানেন। কিন্তু, পাপ কর্ম করা ব্যক্তি এই মার্গ থেকে অত্যন্ত দূরে রয়েছে। এই মার্গ কোথাও অসংখ্য কাটা দিয়ে ভরা হয়ে থাকে কিংবা কোথাও বালি এবং নুড়ি কাকর দ্বারা। আবার কোথাও পাথরের এমন টুকরো বিছিয়ে থাকে যে, যার কিনারা তরোয়ালের মতো ধারালো হয়ে থাকে। আবার কোথাও কোথাও লোহার সূচালো সূচের মাধ্যমে সারা মার্গ ঢাকা থাকে। শুধু তাই নয় কোথাও আবার রাস্তায় জ্বলন্ত অগ্নিশিখা পড়ে থাকতে দেখা যায়। এইরকম মার্গ দিয়ে পাপী জীবদের দুঃখিত হয়ে যেতে হয়। এছাড়া এই মার্গ কোথাও কোথাও দেবে থাকা হিম দ্বারা আচ্ছাদিত থাকে। কোথাও আবার এমন বালু ভরা থাকে যেখানে চলতে থাকা জীবের কন্ঠ পর্যন্ত বালু চলে আসে। আবার কোথাও গরম জলের উপর দিয়ে কিংবা কোথাও আগুনের ওপর দিয়ে যমলোকের রাস্তা ব্যাপ্ত হয়ে থাকে। এই সকল কিছুর পিরা সহ্য করে পাপী জীবের আত্মা যমলোকে যায়। কোথাও আবার অত্যন্ত ধারালো অস্ত্র শাস্ত্রের বৃষ্টি হয়। এরপর যখন এইসবের পিরার ফলে পুরো শরীরে কেটে ছিঁড়ে যায় তখন লবণ মিশ্রিত ঝর্ণার মতিধারা জল ঢালা হয় সেই সকল পাপি জীবের উপর। এই প্রকার কষ্ট সহ্য করে তাদের যেতে হয়। কোথাও অত্যন্ত ঠান্ডা, কোথাও রুখি আর কোথাও কঠোর বায়ুর চারিদিক থেকে ধেয়ে আসে সেই পাপী জীবদের উপর। এইভাবে সেই মার্গ খুবই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। কেউ সাহারা দেওয়ার মত পাশে থাকেনা। এই নরক চারিদিক থেকে দুর্গম ও নির্জন। সেখানে অন্ধকারই অন্ধকার ভরা থাকে। এটি মহা কষ্টদায়ক ও সব প্রকার দুঃখের আশ্রয়। এইরকম রাস্তা দিয়েই যমের আজ্ঞা পালন করা ভয়ঙ্কর যমদূত দ্বারা সমস্ত পাপ পরায়ন জীবদের বলপূর্বক নিয়ে যাওয়া হয়। যমলোকে পাপী জীবদের আত্মা শরীর থেকে দুর্বল আর ভয়ে ভীত হয়। তাছাড়া শ্রদ্ধার পথে চলতে থাকে পাপীদের আত্মা। এইরকম জীবদের আত্মার বাহু ঘুরিয়ে পেছন দিকে বেঁধে দেওয়া হয়। আবার কিছু অধিক পাপী ব্যক্তি দের গলায় যমদূতের আর লোহার বেড়ি পরিয়ে তাদেরকে পশুর মত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যায়। এই সমস্ত কিছুর ফলে সেই পাপী আত্মাগুলি অত্যন্ত ক্ষুধার্ত হয়ে অন্নজল চইতে থাকে। সূর্যদেবের প্রবল কিরণ থেকে বাঁচার জন্য ছায়ার প্রার্থনা করে। আর অত্যন্ত হিমশীতল থেকে বাঁচার জন্য অগ্নি চেয়ে থাকে। যেহেতু সেই পাপী জীবাত্মা কোনদিন কোন সময়ে দান ধর্ম করেনি সেই কারণে তারাও সেই সময় যেগুলি চেয়ে থাকে সেগুলি পায় না। 


এইভাবে অত্যন্ত কঠিন পথ দিয়ে যাত্রা করার পর যখন তারা প্রেত লোকে গিয়ে পৌঁছায় তখন যমদূত সেই পাপী জীবাত্মা গুলিকে যমরাজের সামনে নিয়ে হাজির করে। তখন যমরাজ ও চিত্রগুপ্ত সেই পাপিদেরকে ধর্মযুক্ত বাক্য দিয়ে বোঝায় যে - হে ছোট কর্ম করা পাপী, তুমি অন্যের ধন লুট করেছ আর নিজের সুন্দর রুপে গর্ব করে পরস্ত্রীরদের সঙ্গে ব্যভিচার করেছো। মানুষ নিজে নিজেই যে কর্ম করে থাকে তা সে স্বয়ং ভোগ করে। তাহলে তোমরা নিজেই কষ্ট ভোগ করার জন্য এই পাপ কর্ম কেন করলে?  আর এখন নিজের কর্ম অনুযায়ী ফল ভোগ করার সময় তোমরা তাহলে এইভাবে সন্তপ্ত কেনো হচ্ছো? 


একথা বলতে বলতেই যমদূতেরা কিছু রাজার আত্মা নিয়ে যমলোকে পৌঁছায়। তখন যমরাজ বললেন দেখো পাপী আত্মারা - এই রাজা গুলিও নিজের খারাপ কর্মের জন্য পিরিত হয়ে আমার কাছে এসেছে। এই দুরাচারী রাজারা নিজের প্রজাদের সর্বনাশ করেছিল। অল্প সময়ের জন্য রাজা হয়ে এরা নিজের রাজ্যে ঘোর পাপ করেছে। এরা রাজা হওয়ার পর নিজের প্রজাদের উপর ঘর পাপ করে যে দণ্ড দিয়েছেন যেই কারণেই তারা এখন এই সময় সেই কর্মের ফল ভোগ করতেই এখানে এসেছেন। এখন এই রাজাদের কাছে জিজ্ঞাসা করো- কোথায় সেই রাজ্য? আর কোথায়ইবা সেই রানী? যার জন্য তারা এই পাপগুলি করেছিলেন? 


এই প্রকারে রাজাদের সঙ্গে ধর্মের কথা বলার পর ধর্মরাজ নিজের দূতদের বললেন তুমি এই রাজাদের ধরে নিয়ে যাও। আর ক্রমশ নরকের আগুনে ডুবিয়ে এদের শুদ্ধ করো। তখন সেই দূতগুলি রাজাদেরকে ঘুরিয়ে নিয়ে তাদের পা ধরে উপরে তুলে দিল। তারপরে সেই পাপী রাজার আত্মা গরম শিলাখণ্ডের উপর ছুড়ে ফেলে দিলেন। তারপরে সেই পাপী রাজার শুদ্ধির জন্য তাকে নরকের সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হয়।


এই পৃথিবীর নিচে নরকের ২৮ টি কুঠি রয়েছে। তা সপ্তম তলের ভিতরে ভয়ঙ্কর অন্ধকারে স্থিত রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম কুঠির নাম - ঘোড়া এবং তার নিচে সুঘোড়ার অবস্থান। তৃতীয়তঃ রয়েছে অতি ঘোড়া, চতুর্থতঃ মহাঘোরা আর পঞ্চম কুঠিটি হল - খোররূপী , ষষ্ঠতঃ রয়েছে তরলতারা, সপ্তমতঃ ভয়ানক, অষ্টমতঃ কাল রাত্রি, নবমতঃ ভয়ৎকটা, তার নিচে দশম কুঠি হল চান্ডা, তারও নিচে মহাচন্ডা, দ্বাদশ কুঠিটির নাম হল চন্ডকোলাহলা, আর তার পরে রয়েছে প্রচন্ডা, নরনায়িকা, করালা, বিকরালা আর বজ্রা। তিনটি অন্য নরকের সঙ্গে বজ্রার কুড়িটি সংখ্যা রয়েছে। সব মিলিয়ে 140 টি নরক মানা হয়েছে। এই সবের মধ্যে পাপি মানুষদের নিজের নিজের কর্ম অনুযায়ী যমদূত দ্বারা নিয়ে যাওয়া হয়। আর যতক্ষণ পর্যন্ত তার কর্মের ভোগ সম্পূর্ণ না হয় ততক্ষণ তারা সেখানে পড়ে থাকে। এই প্রকারে কেলাস সহ্য করে যখন এই আত্মাগুলি শুদ্ধ হয়ে যায় তখন আবারও এই পৃথিবীতে এসে তারা জন্ম নেয়। আর নানা প্রকারের দুঃখ ভোগ করার পর পাপী জীব কিটপতঙ্গ হিসেবে জন্ম নেয়। তারপর কীটপতঙ্গ থেকে তারা পাখি হিসেবে জন্ম নেয়। পাখি হিসেবে জন্ম নিয়ে কষ্ট ভোগ করার পর মৃগ (হরিণ) যোনিতে তাদের জন্ম হয়। সেখানে দুঃখ ভোগ করার পর অন্য পশু হিসেবে জন্ম নেয়। এইভাবে শেষমেষ গরুর যোনিতে এসে জন্ম নিয়ে মরার পরে মানুষ্য যোনিতে জন্ম হয়। 


এরপর কন্যা গুলি বলেছেন - হে মাতা, আমরা সবাই ধন্য। আমরা এই প্রবিত্র ভারতবর্ষে জন্মেছি বলে। এটা অত্যন্ত ধন্য। এর মধ্যেও হাজার হাজার জন্ম নেওয়ার পর পূণ্য রাশির সঞ্চয় থেকে কদাচিৎ কখনো জিব মানুষ্য যোনিতে জন্ম নিতে পারে। কিন্তু যে জীবাত্মা এই ভারতবর্ষে মাঘ মাসে প্রাতঃকালে স্নানের মধ্যে তৎপর থাকে তাদের মধ্যে কিছুই অসম্ভব নয়। তাদের এখানেই পরম মোক্ষ লাভ হয়। আর পর্যাপ্ত ভোগ সামগ্রীও সুলভ হয়।


ভারতবর্ষকে কর্মভূমি বলা হয়েছে। অন্য যেসব ভূমি রয়েছে তা যোগভূমি বলে মানা হয়। ধন্য পুরুষেরা এখানে স্নান করে তথা তপস্যা করে নিজের কর্ম অনুসারে ব্রহ্মা, ইন্দ্র দেবতার পথ প্রাপ্ত করতে পারে। এই ভারত বর্ষ সকল দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়েছে। কারণ এখানেই মানুষ ধর্ম, সিদ্ধি ও মোক্ষলাভ করতে পারে। এই পবিত্র ভারতবর্ষে জন্ম নেওয়ার পর যে মানুষ নিজের আত্মার কল্যান করে না, সে নিজেই নিজেকে ধোকা দেয় বা ঠকায়।


মানুষ্য জাতির মধ্যেও অত্যন্ত দুর্লভ ব্রাহ্মণত্ব লাভ করার পরেও যে নিজের কল্যান করে না, তার থেকে বড় মূর্খ আর কে হতে পারে। কত জন্ম পরে জীব মানুষ জন্ম পেয়ে থাকে। এই জন্মটিকে এভাবে নষ্ট হতে না দিয়ে বরং এইভাবে তপস্যা করা উচিত যাতে কখনো নরক যেতে না হয়।


দেবতারা ও এটাই আশা রাখেন যে আমরা ভারতবর্ষের জন্ম নিয়ে মাঘ মাসে কোন শুদ্ধ নদীতে স্নান করি । আর দেবতারা এটাই মনে করেন যে মানুষরা ভারতবর্ষে জন্মগ্রহণ করেন তারা খুবই ধন্য। এইজন্যই বন্ধুরা আপনারা সকলেই পূর্ণ করুন আর পাপ কর্ম থেকে দূরে থাকুন। পুণ্যের ফলে দেবাত্মার প্রাপ্তি হয় আর পাপের ফলে নরকে পড়তে হয়। যদি আপনি আপনারা সংসার বন্ধন থেকে মুক্ত হতে চান তাহলে সচিদানন্দ স্বরূপ পরমদেব শ্রী নারায়নের আরাধনা করুন। এই সংসার নানা প্রকারের দুঃখে ভরা রয়েছে। এর ওপর কখনো বিশ্বাস করতে নেই, কারণ একদিন না একদিন তোমার নিশ্চয়ই নাশ হবে। এই জন্য সদাসর্বদাই বিষ্ণুর আরাধনা করতে থাকো। আর এটাই হল অন্তিম মার্গ মুক্তি পাওয়ার।


বন্ধুরা আশাকরি এই লেখাটি পড়ে আপনারা সমৃদ্ধ হয়েছেন। ভালো লাগলে আপনজনের উদ্দেশ্যে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। নমস্কার, ধন্যবাদ। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক। 


আরো পড়ুনঃ- 5 টি এমন স্বপ্ন যা ইঙ্গিত দেয় - আপনি ধনী হতে চলেছেন | Lucky Dreams You Should Never tell Others  CLICK HERE



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।

If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.

( Please don't enter any spam link in the comment box.)

Thank You very much.

অমৃত কথা