Breaking

Search Content

Follow Us

বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১

নিজের বাবা-মাকে যে কথা কখনো বলতে নেই

 


নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম।ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই চ্যানেল এর প্রধান বিষয়বস্তু ।

আজকে আপনাদের সামনে যে বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করব তা হল- 



" *নিজের মাতা-পিতাকে যে কথা কখনোই বলতে নেই* " - কারণ এই কথাগুলি আপনি যদি কখনো আপনার মাতা-পিতাকে বলে থাকেন তাহলে আপনার পতনকে কেউ আটকাতে পারবেনা । তাই ভুল করেও যদি কখনো এই কথা আপনার মাতাপিতা কে বলে থাকেন তাহলে তার কাছে অবশ্যই ক্ষমা চেয়ে নিন এবং নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করুন ভবিষ্যতে এই ধরনের কথা কখনোই আপনার মুখ থেকে বেরোবে না । কারণ একই ভুলের পুনরাবৃত্তি যদি আপনি বারবার করেন তাহলে ইহো কালে তো নয়ই পরকালেও আপনি এর কঠোর শাস্তির হাত থেকে রেহাই পাবেন না।

আজ এই রকমই একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব । আশা করি এই লেখা টি পরে আপনারা বুঝতে সক্ষম হবেন, যে আমাদের মাতা পিতার প্রতি আমাদের কি কর্তব্য পালন করা উচিত এবং প্রতিনিয়ত যে ভুলগুলি আমরা করে চলেছি সেগুলো কি করে সংশোধন করব।


▫️ বন্ধুরা, এই পৃথিবীতে হাজারো সম্পর্কের মাঝে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রধানত সম্পর্ক হল -সন্তান ও মাতা পিতা সম্পর্ক। যারা আমাদেরকে এই পৃথিবীতে এনে এর অফুরন্ত সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ করে দিল তারা আমাদের শ্রদ্ধেয় বাবা মা। শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে ব্যাক্তি বৃদ্ধ অবস্থায় কেউ তার বাবা-মাকে পেল কিন্তু তাদের সেবা যত্ন করল না , তার মতো হতভাগা আর এই পৃথিবীতে কেউ নেই। কিন্তু অনেক সময় এর উল্টো প্রতিচ্ছবি সমাজে ধরা পড়ে যে মাতা পিতা আমাদের পৃথিবীর আলো দেখালো সেই মাতা-পিতাকে অনেকে বৃদ্ধ অবস্থায় বোঝা হিসেবে মনে করে। মাতা-পিতার অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সেই মাতা-পিতার স্থান হয় বৃদ্ধাশ্রমে অথবা সন্তানের গৃহে তাকে ভৃত্তের মত অবস্থায় থাকতে হয়। যারা এই ধরনের ব্যবহার নিজের মাতা পিতার সঙ্গে করছেন তাদেরকেও বৃদ্ধ অবস্থায় ঠিক একই রকম ফল ভোগ করতে হবে এবং শুধু ইহোকালে নয় পরকালেও এর চরম শাস্তি ভোগ করতে হবে। অনেকে রয়েছেন যারা মাতা পিতার সঙ্গে এই ধরনের আচরণ করেন না। কিন্তু, মাতা পিতাকে অনেক সময় এমন ধরনের কথা বলে থাকেন যা তার পাপের ভার কে বাড়িয়ে তোলে। এই বিষয়টি সন্তানের সবসময়ই মনে রাখা প্রয়োজন যে সন্তানকে মাতা-পিতার মানুষ করার সবার এক হয় না। সন্তানকে ভালোভাবে মানুষ করতে গিয়ে ভালোবাসার পাশাপাশি মাতা পিতাকে অনেক সময় বকাবকিও করতে হয়। তবে যখন সন্তান বড় হয়ে যায় তখন বাবা-মার সঙ্গে একটু একটু করে তর্ক শুরু করে ।আর এই তর্ক করার সময়ই সন্তানের মুখ থেকে মাতা-পিতার উদ্দেশ্যে এমন কিছু অপ্রীতিকর কথা বেরিয়ে পড়ে, যা শুনে মাতা-পিতা বড়ই কষ্ট পান। আর সন্তানের এই কথা শুনে মাতা পিতা যখন কষ্ট পান, তখন সেই সন্তান ও কোন দিন সুখী হতে পারে না। তাই এই কথাগুলি বলা থেকে সর্বদা নিজেকে বিরত রাখুন।


 সবার প্রথমে যে ঘটনাটি বলবো সেটি হল-"তোমরা আমাকে জন্ম দিলে কেন" -সন্তান কে অনেক সময় এই কথাটি বলতে শোনা যায় যখন সন্তানকে মাতা-পিতা বকাঝকা করে বা কোনো কারণে যদি মাতা-পিতা -সন্তান এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বা বিরুদ্ধে কথা বলে , তখন অভিভাবকদের সন্তানের মুখ থেকে এই কথা শুনতে হয়। বিশেষ করে বিবাহ বিচ্ছেদের পরিস্থিতিতে সবথেকে বেশি শুনতে হয় এই অভিযোগ। কিন্তু এই কথাটি সবথেকে বেশি আঘাত করে মাতা-পিতাকে। তাই কোন অবস্থাতে মাতা পিতার বিরুদ্ধে এই কথাটি কখনোই বলবেন না। কারণ এই পৃথিবীতে সবথেকে যিনি আপনার ভালো চান তিনি হলেন আপনার মাতা ও পিতা। তাই তাকে এই কথা বলার অর্থ হলো আপনি আপনার নিজের দোষটা ঢাকতে চাইছেন।

*দ্বিতীয়* যে কথাটি বলবো তা অনেক সময় আমরা আমাদের মাতা-পিতাকে বলে থাকি বিশেষ করে যাদের ভাই ও বোন রয়েছে। সন্তানেরা অনেক সময় বলে থাকে তুমি ভাই বা দিদিকে বেশি ভালোবাসো। এই কথাটি কিন্তু ঠিক নয় অভিভাবকদের কাছে তার সমস্ত সন্তানেরা সমান। হয়তো স্নেহের বহীপ্রকাশ টা এক এক জনের কাছে একেক রকম হয়ে থাকে। কিন্তু এটা কখনোই ভাবা উচিত নয় অন্য সন্তানকে তিনি বেশি ভালোবাসেন এবং সেটা ভেবে তাকে কটু কথা বলা একেবারেই উচিত নয়।

*তৃতীয়* যে কথাটির কথা বলব বহু ক্ষেত্রে সন্তানেরা তার মাতা পিতাকে এই কথাটি বলে থাকেন । তা হল তোমাকে এখন সময় দিতে পারবো না। বাবা মায়েরা সন্তানকে বড় করার সময়ে অনেক আত্মত্যাগ করে থাকেন । কিন্তু উল্টোটা সব সময়ে দেখা যায় না। যদি সত্যিই বয়স্ক অভিভাবককে সময় দেওয়া না পারা যায় ব্যস্ততার কারণে সেটা এভাবে বলা কখনোই কাজের কথা নয়।বরং কর্কশ কন্ঠে বদলে নরম কন্ঠে বলুন আমি এই কাজটি সেরে নিই তারপর তোমার সঙ্গে কথা বলছি। দেখবেন মাতা-পিতা এটাতে খুশি হবে।

*চতুর্থ* যে কথাটির কথা বলব ,তা সবথেকে খারাপ অনেক সময় সন্তানেরা মাতা-পিতাকে বলেন আমি তোমাকে ঘৃণা করি। হয়তো কোনো কারণবশত মাতা পিতা কোন ভুল করে ফেলেছেন। মাতা পিতা যদি কোন ভুল করে থাকেন তাহলে মাতা-পিতাকে বা মাতা পিতার উদ্দেশ্যে এই কথাটি কখনোই বলা উচিত নয় যে আমি তোমাকে ঘৃণা করি। এই কথাটা যে কোন অভিভাবকের কাছে সবথেকে বড় ধাক্কা এবং সর্বশেষে কথাটির কথা বলব তা বাবা-মার কাছে সব থেকে বড় কষ্টের যখন সন্তান বলে "তোমরা যদি আমার বাবা-মা না হতে তাহলে ভালো হতো" -বন্ধুরা কথাটি কখনো নিজের মাতা-পিতাকে বলবেন না। অনেকেই বলেন যে মাতা পিতা কি কখনোই ভুল করেন না, কিন্তু সেই ভুলকে ধরিয়ে দেবার বা সংশোধন করার একটা পদ্ধতি রয়েছে, তীব্র চিৎকার করে বা কর্কশ শব্দে কথা বলে বা কটু ভাষায় কথা বলে আপনি কখনই সেই ভুল ধরিয়ে দিতে পারবেন না। বরং এর ফলে হিতে বিপরীতই হয়। 


বন্ধুরা কিভাবে মাতা পিতার সঙ্গে আচার-আচরণ সঠিক রাখবেন, এই লিখনী থেকে আশা করি আপনারা সকলেই সেটা শিখেছেন।

পরবর্তী কোন লিখনীতে কিভাবে বিভিন্ন বিষয়ে মাতা-পিতার সম্মতি আদায় করবেন বা মাতা-পিতার ভুল এবং ত্রুটি গুলি কে নম্রতা'র মাধ্যমে ধরিয়ে দেবেন সেটা নিয়ে আলোচনা করব।আশা করি এই লেখনীতে পড়ে আপনি কিছুটা সমৃদ্ধ হতে পেরেছেন, ভালো লাগলে শেয়ার করবেন।


নমস্কার ধন্যবাদ ,

ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।

If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.

( Please don't enter any spam link in the comment box.)

Thank You very much.

অমৃত কথা