দুর্গা ষষ্ঠী থেকে বিজয়াদশমী পর্যন্ত মেনে চলুন এই নিয়ম, মিলবে অধিক পূর্ণ।

  নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম।ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইট এর প্রধান বিষয়বস্তু ।

আজকে আপনাদের সামনে যে বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করব তা হল- দুর্গাপূজার সময়ে দুর্গা ষষ্ঠী থেকে বিজয়াদশমী পর্যন্ত মেনে চলুন এই নিয়ম, মিলবে অধিক পূর্ণ"।

শাস্ত্র অনুযায়ী দুর্গাপূজার সময় এই সকল নিয়ম গুলি আপনি যদি মেনে চলতে পারেন তাহলে মায়ের কৃপায় আপনি অধিক পূর্ণ লাভ করতে পারেন। দুর্গাপূজার সময় নিত্যদিন সকালবেলায় গঙ্গা স্নান করুন। কারণ গঙ্গা স্নানে শরীর ও মন শুদ্ধ হয়। আমাদের অনেকেরই বাড়িঘর গঙ্গার নিকট হয়না। সেই সকল ব্যক্তিরা গঙ্গাজল তিনবার মাথায় দিয়ে এই কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারেন।

 দুর্গাপূজার সময়ে দুর্গাষষ্ঠী থেকে প্রতিদিনই গঙ্গা স্নান এর পরে মনে মনে ১০৮ বার মা দুর্গা কে স্মরণ করুন। এই নাম স্মরণ করলে সকল বিপদ আপদ দূর হয়। 

দুর্গা ষষ্ঠী থেকে নবমী পূজা পর্যন্ত নিরামিষ আহার গ্রহণ করুন। শাস্ত্রমতে বছরে চারটি দিন অর্থাৎ জন্মাষ্টমী ,রামনবমী ,শিবরাত্রি ও দুর্গা অষ্টমীর দিন অন্ন্ গ্রহণ নিষিদ্ধ বলে জানা যায়। দুর্গা অষ্টমীর দিন অন্ন গ্রহণ করলে নরকে বাস হয় বলে জানা যায় কালিকা পুরাণ থেকে।

 পূজার সময় অষ্টমীর দিন অবশ্যই অঞ্জলি দিন এবং সন্ধি পূজার সময় নিজেকে ওর সঙ্গে যুক্ত রাখুন। এতে মায়ের কৃপা দৃষ্টি আপনার উপর পড়বে।

 দশমীর দিন গুরুজনদের প্রণাম করুন। তাহলে সারা বছর সিদ্ধিলাভ করবেন।এছাড়াও পুজোর যেকোনো একটি দিন চন্ডী পাঠ করুন বা চন্ডীপাঠ শুনুন। শ্রীশ্রী দেবীর মাহাত্ম্য সম্পর্কে চন্ডীতে দেবী নিজেই বলেছেন পূজার সময় চন্ডী পাঠ সোনা সবার অবশ্য কর্তব্য । দুর্গাপূজা যেহেতু মহাপূজা তাই এই পূজায় চন্ডীপাঠ অবশ্য প্রয়োজন। কারণ চণ্ডীপাঠে দুর্গাপূজার সকল ত্রুটি দূর হয়। এতে সকল পূর্ণতা লাভ হয়। রুদ্রচন্ডীর তুর্যখন্ডে মহাদেব- চন্ডী কে বলেছেন- যে ব্যক্তি ভক্তিপূর্বক চণ্ডীপাঠ করে বা সুনে থাকে তার কোনরূপ পাপ ,বিপদ ও দারিদ্র্য উপস্থিত হয় না। তাই দুর্গাপূজায় মায়ের কৃপা দৃষ্টি লাভ করার জন্য এই নিয়মগুলো মেনে চলুন।

পারলে আপনজন দের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন ও আমাদের অমৃতকথা ইউটিউব চ্যানেলটিকে ফলো করতে পারেন। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।

 নমস্কার ,ধন্যবাদ।।

 ভগবান আপনার মঙ্গল করুক।