দেবী দুর্গার দশ হাতে কি কি অস্ত্র থাকে, জেনে নিন প্রতিটি অস্ত্রের বা প্রতিটি জিনিসের মাহাত্ম্য

  নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম।ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইট এর প্রধান বিষয়বস্তু ।

আজকে আপনাদের সামনে যে বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করব তা হল-  "দেবী দুর্গার দশ হাতে কি কি অস্ত্র থাকে। জেনে নিন প্রতিটি অস্ত্রের বা প্রতিটি জিনিসের মাহাত্ম্য।"

নতুন বছরের নতুন পঞ্জিকা বা নতুন ক্যালেন্ডার হাতে পেলে বাঙালিরা সবার আগে চোখ বোলায় যে দিনগুলিতে তারমধ্যে দুর্গাপূজা হল একটি। উৎসব প্রেমী বাঙ্গালীদের কাছে সব থেকে বড় উৎসব হলো এ দুর্গাপূজা। গোটা বিশ্বে বাঙালিরা এই পুজো উদযাপন করে।

আমরা সকলেই জানি দেবী দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন এবং অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে ছিলেন। এইজন্যই বিশ্বাস করা হয় ,এই উৎসব খারাপ বা অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটায় এবং শুভ শক্তির বিজয় এনে দেয়। অসুর বধের জন্য স্বর্গের দেবতারা মা দুর্গার দশহাতে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র তুলে দেন।

 কোন দেবতা কোন অস্ত্র প্রদান করেন মা দুর্গাকে এবং সেই অস্ত্রের মাহাত্ম্য কি আসুন জানা যাক- 

জেনে নিন প্রতিটি অস্ত্রের মাহাত্ম্য

                     

                   ত্রিশূল-

মা দুর্গাকে ত্রিশূল তুলে দিয়েছিলেন স্বয়ং শিব বা মহাদেব ।কথিত আছে, ত্রিশূলের তিনটি ফলার আলাদা আলাদা ব্যাখ্যা আছে। মানুষ তিনটি গুণ, সত্য, তমঃ, রজঃ -র প্রতীক ত্রিশূলের তিন ফলা।

                   তীর ধনুক-

পবন দেব দেবীকে দিয়েছিলেন তির-ধনুক ৷ উভয়ই ইতিবাচক শক্তির প্রতিক ৷ পুরাণে শক্তিশালী শত্রুর বিনাশ করতে তির-ধনুকের বিকল্প নেই। যে কোনও বীরই তির-ধনুকে ভরসা রাখতেন শত্রুকে হারাতে।

                      বজ্র -

মহামায়ার হাতে দেবরাজ ইন্দ্র তুলে দিয়েছিলেন বজ্র৷ মায়ের হাতের এই অস্ত্র দৃঢ়তা এবং সংহতির প্রতীক।

                 সুদর্শন চক্র- 

ভগবান শ্রীবিষ্ণু দেবী দুর্গাকে তুলে দিয়েছিলেন শক্তিশালী চক্র। চক্র সদা আবর্তিত হয়। বিনাশ করে শত্রুর। দেবী দুর্গার হাতে চক্র থাকার অর্থ ,সমস্ত সৃষ্টির কেন্দ্রে অবস্থান করছেন দেবী।

                      গদা -

 যমরাজ দেবী দুর্গাকে দিয়েছিলেন দিয়েছিলেন গদা ৷ যা কালদণ্ড নামেও পরিচিত। এই অস্ত্র আনুগত্য, ভালবাসা এবং ভক্তির প্রতীক। সেই সঙ্গে শক্তিরও প্রতীক। দশভূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হল গদা।

                 শঙ্খ বা শাঁখ- 

বরুণ দেব দিয়েছিলেন শঙ্খ ৷ যার ধ্বনি মঙ্গলময়। আবার যুদ্ধের আহ্বান জানাতে দেবী ব্যবহার করেছিলেন শাঁখ।

                       ঘন্টা

দেবীর বাঁ হাতে থাকে ঘণ্টা। পুরাণে কথিত আছে, দেবরাজ ইন্দ্রের বাহন ঐরাবত দেবী দুর্গাকে এই ঘণ্টা দিয়েছিলেন। ঘণ্টা ধ্বনি অসুরদের তেজকে দুর্বল করে ।

                       পদ্ম

দশভূজা দেবীর হাতে ব্রহ্মা তুলে দেন পদ্ম৷ পাঁকে জন্মায় পদ্ম। কিন্তু তা কলঙ্কহীন। দেবীর আশীর্বাদে অন্ধকার কেটে আলোর সঞ্চার হয়। সেই আলোর বার্তাবহ পদ্মফুল।

                    শেষনাগ 

শেষনাগ দেবী দুর্গাকে দিয়েছিলেন নাগপাশ৷ শুদ্ধ চেতনার প্রতীক হল এই সাপ।

এছাড়াও দেবী দুর্গার হাতে ছিল তলোয়ার - বুদ্ধিমত্তার প্রতীক তলোয়ার৷ যার জোরে সমস্ত বৈষম্য এবং অন্ধকারকে ভেদ করতে পারে মানুষ৷

এছাড়াও প্রজাপতিদেব প্রদান করেছিলেন অক্ষমালা এবং বাবা বিশ্বকর্মা- দেবী দুর্গাকে অতি নির্মল পরশু, নানাবিধ অস্ত্র ও অভেদ্য বর্ম প্রদান করেছিলেন।

আশা করি এই লিখাটি পড়ে আপনি নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পেরেছেন। ভালো লাগলে নিজের আপন জনের উদ্দেশ্যে শেয়ার করতে পারেন এবং আমাদের "অমৃতকথা"- ইউটিউব চ্যানেলটি ফলো করতে পারেন।

ভাল থাকুন ,সুস্থ থাকুন।

 নমস্কার ,ধন্যবাদ ।।

ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।