নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম।ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয়বস্তু ।
আজকে আপনাদের সামনে যে বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করব তা হল- রাস্তায় পড়ে থাকা এমন সাতটি জিনিস সম্পর্কে- যেগুলি পড়ে থাকতে দেখলে ভুলেও এড়িয়ে যাবেন না ||
বন্ধুরা রাস্তায় অনেক সময় এমন কিছু বস্তু পড়ে থাকতে দেখা যায় যেগুলি কখনো ভুলেও স্পর্শ করা উচিত নয়।
বন্ধুরা এরকম অনেক সময়ই হয়েছে আপনি রাস্তা পার করার সময় এমন কিছু জিনিস টপকে গিয়েছেন বা এমন কিছু জিনিস দেখতে পেয়েছেন যেটা পার করার সময় আপনি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েছেন।আবার অন্য সময় কিছুক্ষণের জন্যও সেটি নিয়ে আপনি ভেবেছেন। যদি এইরকম টা আপনার ক্ষেত্রে কখনো হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে বলি- এই জিনিসগুলো সম্পর্কে দাঁড়ানো বা দাঁড়িয়ে তার সম্পর্কে ভাবা একদমই ঠিক এবং ভবিষ্যতে আপনার সঙ্গে যদি এই ধরনের কোনো ঘটনা পুনরায় ঘটে তাহলে অবশ্যই সাবধানতা মেনে চলা প্রয়োজন। কারণ এই বিষয়ে আমাদের প্রাচীন শাস্ত্র গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে- এমন ৭ টি জিনিসের কথা- যা দেখার পর সেটাকে না দেখার ভুল কখনোই করা উচিত নয়।
বন্ধুরা আমাদের প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ এমন কিছু বিষয় রয়েছে যা আজকের দিনে সাধারণ মানুষের কাছে অজানা। ফলে এই অজানা বিষয় গুলি অনেক সময়ই আমাদের সমস্যার কারণ হতে পারে। যেমন- আমরা অনেক সময় না জেনে কিছু বস্তুতে পা দিয়ে ফেলি। এমন কিছু জিনিস সেগুলি না দেখেই রাস্তা পার করে ফেলি। এক্ষেত্রে আমাদের অজান্তে শরীর এবং মনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। অনেক সময় সেটি ব্যক্তির অকাল মৃত্যুর কারণও হতে পারে। তাই এই সকল বস্তুগুলি রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখলে অবশ্যই সাবধানতা মেনে চলা প্রয়োজন।
বন্ধুরা সবার প্রথমে যে জিনিসের কথা বলব তার হল- অনেক সময় দেখবেন আমরা রাস্তায় মরা পশুর দেহ দেখতে পাই। সাধারণভাবে এই মৃতদেহ ওই পশুগুলির হয় যারা দুর্ঘটনাবশত রাস্তায় গাড়ির নিচে চাপা পড়ে মারা যায়। এইসকল মৃতদেহ কে যদি আপনি রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন তাহলে কখনই টপকাতে নেই। আর কখনোই এই মৃতদেহের উপর পা রেখে যাওয়া উচিত নয়। যদি ভুলবশত আপনি পা দিয়ে ফেলেন কিংবা আপনার গাড়ির সঙ্গেই এইরূপ ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে দ্রুত বাড়ি গিয়ে স্নান করে নিন। কিংবা আপনার গাড়িটি ধুয়ে নিন। বিষ্ণুপুরাণে এই বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে- অকাল মৃত্যু জনিত পশুদের পাশে অশুভ আত্মা ঘোরাঘুরি করে। আর এই সময় যদি কোন মানুষ তার সংস্পর্শে আসে তাহলে সেই মানুষের পবিত্রতা নষ্ট হয়ে যায়। সেই কারণে দেখবেন মৃতদেহ স্পর্শ করার পর স্নান করার বিধান রয়েছে।
দ্বিতীয় যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব তা হলো বন্ধুরা মানুষের মাথার চুল। আপনার মনে হতে পারে একটা সাধারন মাথার চুল কি এমন ভয়ানক হতে পারে। কিন্তু বন্ধুরা এ বিষয়ে বিষ্ণুপুরাণে উল্লেখ করা হয়েছে মুন্ডন করা একটি মানুষের মাথার চুল আমাদের ওপর যথেষ্ট অশুভ প্রভাব ফেলে থাকে। এই বিষয়ে মহাজ্ঞানী পিতামহ ভীষ্ম- অর্জুনকে বলেছিলেন যদি কখনো খাবার খাবার সময় খাবারের চুল পড়ে থাকে তাহলে সেই খাবার কখনো গ্রহণ করতে নেই। কারণ সেই খাবার আমাদের শরীরে অশুভ প্রভাব ফেলে থাকে। তাই রাস্তায় পড়ে থাকা চুলকে দুর্ভাগ্যের প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে।
বন্ধুরা তৃতীয় যে বিষয়টির কথা বলব তা হলো রাস্তায় পড়ে থাকা ছাই। কোনো বাড়িতে পূজার্চনা বা বিয়ে হলে সেই বাড়ির যজ্ঞের ছাই অনেক সময় অনেকে ভুল করে রাস্তায় ফেলে দেন। আর অগ্নিদেবের থেকে তৈরি এই ছাই যদি কোন ব্যক্তি পা দিয়ে মাড়িয়ে চলে যান তখন সে পাপের ভাগীদার হয়ে যায়। এই কারণেই দেখবেন বলা হয়ে থাকে- পুজোতে যে ধূপকাঠি ব্যবহার করা হয়ে থাকে, সেই ধুপকাঠির ছাই কখনো পা দিয়ে মাড়িয়ে যেতে নেই। এতে পরিবারের অকল্যাণ হয়ে থাকে।
চতুর্থত যে বিষয়টির কথা বলব তা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দেখবেন অনেক সময় তন্ত্রসাধনার জন্যে এমন কিছু জিনিস ব্যবহার করা হয়ে থাকে, যা অনেক সময় কোনো অপবিত্র আত্মা কে সন্তুষ্ট করার জন্য রাস্তার কোনো ফাঁকা স্থানে ফেলে রাখা হয়। এই সমস্ত জিনিস গুলো ফেলে রাখা হয় যাতে অপবিত্র আত্মা ওই জিনিস গুলো কে গ্রহণ করতে পারে। আর সেই অপবিত্র আত্মা সেটিকে গ্রহণ করার পূর্বেই আপনি যদি সেটিকে টপকে যান বা তাকে স্পর্শ করে ফেলেন ভুলবশত, তাহলে আপনি নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনলেন। তাই রাস্তায় যদি কোনো বস্ত্র, পান বা লেবু লঙ্কা এই জাতীয় জিনিস যদি দেখতে পান তাহলে কখনই তারা স্পর্শ করবেন না বা তাকে পা দিয়ে মাড়িয়ে যাবেন না।
পঞ্চমত যে বিষয়টির কথা বলব তা হলো বন্ধুরা কাটা জাতীয় রাস্তা দিয়ে কখনই কিন্তু যাওয়া উচিত নয়। বাস্তবে কাটা জাতীয় রাস্তা দিয়ে চলার অর্থ হলো দুর্ভাগ্যের প্রতীক। যদি কোনো ব্যক্তি এই কাটা জাতীয় রাস্তা দিয়ে যায় তাহলে সে তার দুর্ভাগ্যকে নিজেই ডেকে আনবে।
ষষ্ঠতঃ যে বিষয়টির কথা বলব তা হল- কোনো ব্যক্তির দ্বারা স্নান করা জল কখনোই কিন্তু পার করতে নেই। এ বিষয়ে বিষ্ণুপুরাণে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা রয়েছে স্নান করার সময় আমরা যে জল ব্যবহার করে থাকি তাতে আমাদের শরীরের নোংরা এবং অশুদ্ধতা দূর করে। ফলে স্নানের এই জল অশুদ্ধ হয়ে যায়। তাই অন্য কোনো ব্যক্তির স্নান করার জল কখনোই মাড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়।
সপ্তমতঃ যে বিষয়টির কথা বলব সেটি কোনো বস্তু নয়। এটি হলো মানুষের করা একটি খারাপ অভ্যাস। অনেকেই দেখবেন রাস্তা ঘাটে যেখানে সেখানে থুথু ফেলা, মলমূত্র প্রভৃতি করে দিয়ে চলে আসেন। তাই বন্ধুরা রাস্তায় সজাক থাকা প্রয়োজন।
এই বিষয়ে অধিক জানতে আমাদের অমৃতকথা ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওটি প্রয়োজন বোধ করলে দেখে নিতে পারেন-
আশা করি বন্ধুরা লিখাটি পড়ে আপনার সমৃদ্ধ হয়েছেন। ভালো লাগলে আপনজনের উদ্দেশ্যে অবশ্যই শেয়ার করবেন এবং আমাদের অমৃতকথা ইউটিউব চ্যানেলটিকে ফলো করতে পারেন।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
নমস্কার, ধন্যবাদ।।
ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।
If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.
( Please don't enter any spam link in the comment box.)
Thank You very much.
অমৃত কথা