Breaking

Search Content

Follow Us

শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০২২

শ্রীকৃষ্ণ অনুসারে মৃত্যুর পরে জীবাত্মার কি হয়?


 নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম। ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয়বস্তু।    


বন্ধুরা যেমনটা আমরা সকলেই জানি কুরুক্ষেত্রের ময়দানে যখন মহাভারতের যুদ্ধ শুরু হতে চলেছিল সেই সময় অর্জুনের অন্তর মন ব্যথিত ছিল। অর্জুন আপন এবং পরের মধ্যে তফাৎ বুঝতে পারছিল না। আর সে তার সামনে থাকা বিপরীত সেনা পক্ষের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলতে ইতঃস্তত বোধ করছিল। সেই সময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাকে বোঝান , শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনের ব্যথিত মনের বিভিন্ন ধরনের চিন্তাভাবনা দূর করার জন্য গীতার মত বহুমূল্য জ্ঞান অর্জুনকে দিলেন। আর সেই মুহূর্তেই শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বললেন মৃত্যুর পর মানুষের কি হয়। বন্ধুরা এর বর্ণনা গীতার আলাদা আলাদা অধ্যায়েও করা রয়েছে। 


আপনাদের সঙ্গে এখন যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি তা হল- মৃত্যুর পরে জীবাত্মার কি হয়? 


গীতাতে এটা বলা হয়েছে যে যখন শ্রীকৃষ্ণ অর্জুন কে এই জ্ঞান প্রদান করেছিলেন, সেই মুহূর্তেই অর্জুন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কাছে জিজ্ঞাসা করলেন - হে কেসব! কৃপা করে আমাকে এটা বলুন মৃত্যুর পর মানুষের কি হয়? তখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বললেন - হে পার্থ, এই সৃষ্টিতে মানুষের মৃত্যুর পর প্রথমে তো তাদের পরলোকগমন করতে হয়। তারপর সেখানে কিছু সময় থাকতে হয়, সেখানে নিজের কর্ম অনুযায়ী অর্থাৎ আগের জন্মে করা পাপ অথবা পূর্ণের ফল ভোগ করতে হয়। তারপরে যখন তাদের পূর্ণ ও পাপ এর ফল ভোগ করা সম্পূর্ণ হয়ে যায় তখন তারা পুনরায় আবার এই মৃত্যু লোকে জন্মগ্রহণ করে। এই জন্য মৃত্যু লোককে কর্ম লোকও বলা হয়ে থাকে। কেননা মৃত্যুলোকই এমন একটি লোক যেখানে প্রাণীদের সেই কর্ম করার অধিকার রয়েছে যার মাধ্যমে তাদের প্রারব্ধ নিশ্চিত হয়।


এই শুনে অর্জুন আবারো জিজ্ঞাসা করেন- হে বাসুদেব! এই পৃথিবীকে মৃত্যুলোক বলা হয় কেন?  শ্রীকৃষ্ণ উত্তরে বলেন- হে অর্জুন, তিনটি লোকের মধ্যে পৃথিবীর লোকই হলো এমন একটি স্থান যেখানে প্রাণী জন্ম ও মৃত্যুর পিড়া সহ্য করে। অর্থাৎ পৃথিবী ছাড়া আর এরকম কোনো লোক নেই যেখানে কোনো প্রাণীর জন্ম অথবা মৃত্যু হয়ে থাকে। শ্রীকৃষ্ণ আরো বললেন- মৃত্যু কেবল শরীরের হয়। আত্মার কখনো মৃত্যু হয় না। আত্মা নাতো কখনো জন্ম নেয়, নাতো তার মৃত্যু হয়।


এরপর অর্জুন আবারও প্রশ্ন করেন- হে কেশব, আপনি বলেছিলেন আত্মার কখনো সুখ, দুঃখ ভোগ করতে হয় না। কিন্তু এখন বলছেন মৃত্যুর পরে আত্মার পরলোক গমন করতে হয় এবং তার পাপের ফল হিসেবে সুখ কিংবা দুঃখ ভোগ করতে হয় আত্মাকে। এর অর্থ শুধু পৃথিবীতে আত্মাকে সুখ অথবা দুঃখ ভোগ করতে হয় না, পৃথিবীর সাথে সাথে পরলোক গমন করার পরেও আত্মাকে সুখ ও দুঃখ ভোগ করতে হয়। অর্জুনের মুখে এরকম কথা শোনার পর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ একটু হাসলেন এবং বললেন, হে কন্তে - এমনটা আমি কখন বললাম! আমি তো তোমাকে প্রথমেই বলে দিয়েছিলাম আত্মাকে কোনো কালেই সুখ-দুঃখ ছুতে পারবে না। কেননা আত্মা তো আমার মত অভিনাশি পরমেশ্বরের দিবিও রূপ। হে অর্জুন পরমেশ্বর অর্থাৎ আমি মায়ার অধীনে নয়, বরং মায়া আমার অধীনে। আর সুখ দুঃখ তো মায়ার রচনা। আর এটাই কারণ মায়া আমাকে তার অধীনে কখনোই নিতে পারে না। তাহলে তুমিই বলো মায়ার মধ্যে রচিত সুখ আর দুঃখ আমার উপর কিভাবে প্রভাব ফেলতে পারে?  


হে অর্জুন তোমাকে এটাও বলে দি সুখ-দুঃখ তো কেবল শরীরের ভোগ, আত্মার নয়। এরপর অর্জুন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কে বলেন- হে নারায়ন, আমি মেনে নিলাম সুখ-দুঃখ শরীরের ভোগ আত্মার নয়। কিন্তু যেই শরীর এগুলি ভোগ করে তার তো মৃত্যু হয়ে যায়। আর সেই শরীর তো আগে যায় না। তাহলে স্বর্গ অথবা নরকের সুখ দুঃখ ভোগ করতে কে যায়? 


তখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বললেন, হে পান্ডব পুত্র অর্জুন এর জন্য তোমাকে এটা বুঝতে হবে জীবাত্মা কি জিনিস? যখন বাস্তবে কারো মৃত্যু হয় তখন কাপড়ের মত তার ওপরের শরীরের মৃত্যু হয়। আর শরীরের মধ্যে যে সূক্ষ্ম শরীরটি বর্তমান থাকে সে কখনো মরে না। সেই সূক্ষ্ম শরীরটি আত্মাকে তার সঙ্গে নিয়ে মৃত্যু লোক থেকে বেরিয়ে অন্য লোকে চলে যায়। সেই সূক্ষ্ম শরীরটিকেই জীবাত্মা বলা হয়। 


এটা শোনার পর অর্জুন শ্রীকৃষ্ণকে মাঝখানে থামিয়ে জিজ্ঞাসা করে- হে মাধব এর অর্থ তো এটা হলো যে, আত্মা যখন তার শরীরকে ছাড়ে তখন তার সাথে জীবাত্মাকে নিয়ে যায়। তখন শ্রীকৃষ্ণ একটু হেসে অর্জুনকে বললেন, হে পার্থ- তুমি জীবাত্মাকে যতটা সরল বলে মনে করছে তার ব্যাখ্যা ততটা সরল নয়। এইজন্য আমি এখন তোমাকে যা বলতে চলেছি তা মনোযোগ সহকারে শোনো। হে অর্জুন - যেমনভাবে কোনো জলাশয় থেকে জল একা একা বাইরে বের হয় না। কিন্তু হ্যাঁ, যদি কেউ কোনো পাত্রে করে সেই জলটিতে এক স্থান থেকে অন্য স্থনে নেয় তাহলে সেটা আলাদা দেখা যাবে। একইভাবে সূক্ষ্ম শরীর রূপি জীবাত্মা সেই আত্মজ্যোতি টুকরাটিকে নিজের মধ্যে রেখে নিজের সাথে করে নিয়ে যায়। এটাই জীবাত্মার যাত্রা। যা একটি শরীর থেকে অন্য শরীরে, একটি যোনি থেকে অন্য যোনিতে বিচারিত হতে থাকে।


এছাড়াও হে অর্জুন- জীবাত্মা যখন কোনো শরীরকে ছেড়ে যায় তার সাথে তার পূর্ব জন্মের সংস্কার ও ভালো কাজের অর্থাৎ তার প্রারব্ধ সেই সূক্ষ্ম শরীরের সাথে যায়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখে এমন কথা শোনার পর অর্জুনের মনে একটু সন্তুষ্টি হয়। কিন্তু তার প্রশ্ন তাও শেষ হয় না। তিনি আবারও ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কে প্রশ্ন করলেন- হে মধুসূদন শরীর ত্যাগ করার পর আত্মা কোথায় যায়? 


শ্রীকৃষ্ণ উত্তরে বলেন - হে ধনঞ্জয়, মানব শরীর ত্যাগ করার পর মানুষকে নিজের প্রারব্ধতা অনুযায়ী নিজের পাপ ও পূর্ণ কে ভোগ করতে হয়। এইজন্য ভোগ যোনি তৈরি হয়েছে। যা দুই প্রকারের - উচ্চ যোনি, নীচ যোনি। যেই জীবাত্মা ভালো কর্ম করে সে উত্তেজনা প্রাপ্ত হয়ে স্বর্গলোক লাভ করে তার পূর্ণ ফল ভোগ করে। আর যে জীবাত্মা খারাপ কর্ম করে সেই জীবাত্মা নীচ যোনি প্রাপ্ত হয়ে নরকে তার কর্মফল ভোগ করে।


কখনো কখনো এমনও হয় কোন কোন জীবাত্মা স্বর্গ ও নরকের সুখ-দুঃখ পৃথিবী লোকেই ভোগ করে নেয়। এই শুনে অর্জুন অত্যন্ত আশ্চর্য হয়ে পড়ে এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কাছে জিজ্ঞাসা করে - হে নারায়ন, কোনো মানুষ কিভাবে পৃথিবীতে স্বর্গ অথবা নরকের সুখ দুঃখ ভোগ করতে পারে? 


তখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেন, যদি কোন মানুষ তার সকল দিক থেকে সম্পূর্ণ থাকে অর্থাৎ এমন মানুষ যার সেবা করার জন্য অনেক দাস-দাসীরা সব সময় তৈরি থাকে। কিন্তু একদিন তার যুবক ছেলের কিছু কারণের জন্য মৃত্যু হয়ে যায় , যাকে সে সব থেকে বেশি ভালোবাসতো এমন অবস্থায় ওই মানুষটির উপর দুঃখের পাহাড় ভেঙ্গে পড়ে। আর সংসারের সব বিষয় বস্তু গুলি তার কাছে হওয়া সত্ত্বেও সে মরার আগে পর্যন্ত দুঃখী থাকে। অর্থাৎ যতদিন পর্যন্ত সেই মানুষটির যুবক ছেলে বেঁচে ছিল ততদিন পর্যন্ত সে সুখী ছিল। সেই সুখ ছিল স্বর্গের সমতুল্য সুখ। আর তার পুত্রের মৃত্যুর পর সে যে দুঃখ ভোগ করেছিল সেই দুঃখ হলো নরক এর সমতুল্য দুঃখ। আর এভাবেই মানুষদের সংসারে থাকা সত্বেও তার পূর্ব জন্মের সুখ-দুঃখকে ভোগ করতে হয়। অর্জুন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের এই কথা শোনার পর মুগ্ধ হয়ে যান। তখন তাকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেন হে অর্জুন এখনো যদি তোমার মনে মৃত্যু সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে তুমি তা আমাকে করতে পারো?


তখন অর্জুন ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে প্রণাম করে তার আরেকটি প্রশ্ন করেন। অর্জুন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কে বলেন আপনি আমাকে এটা বলুন মানুষ তার পূণ্যগুলি কোন কোন যোনীতে এবং কোথায় কোথায় ভোগ করে?  


তখন কৃষ্ণ বলেন - হে কন্তে, যেকোনো পুণ্যবান ব্যক্তি নিজের পুণ্যের মাধ্যমে গন্ধর্ব অথবা দেবতাদের যোনি ধারণ করে স্বর্গলোকে ততদিন পর্যন্ত থাকতে পারে যতদিন পর্যন্ত তার পুণ্যের ভাগ শেষ না হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ একই প্রাণী হিসেবে তার যতটা পরিমাণ পুণ্যের ভাগ সেই অনুযায়ী সে স্বর্গলোকে থাকতে পারে। আর যখন তার পূর্ণ কর্মের ভাগ শেষ হয়ে যায় তখন এই পৃথিবী লোকে তাকে পুনরায় আসতে হয় এবং এই মৃত্যু লোকে পুনর্জনম ধারণ করতে হয়। এই শোনার পরও অর্জুন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কে বলেন স্বর্গলোকে কেন মানুষের পুণ্যকর্ম শেষ হয়ে যায়? সেখানে যখন জীবাত্মা দেবযানীতে থাকে তাহলে নিশ্চয়ই সে কোনো ভালো কর্মই করে হয়তো। তার এই ভালো কর্মের ফল প্রাপ্ত হয়তো? এই শুনে শ্রীকৃষ্ণের মুখে আবার একটু হাসি চলে আসে। তিনি একটু হেসে তারপর অর্জুনকে বলেন , না পার্থ; উচ্চ যোনিতে দেবতা হয়ে যে মানুষ ভালো কর্ম করে কিংবা নিচ যোনি ধারণ করে যে মানুষ খারাপ কর্ম করে তাদের সেই কর্মের কোনো ফল মেলে না। কেননা সেই সকল হল ভোগ যোনি। সেখানে প্রাণী কেবল তার ভালো ও খারাপ কর্মের ফল ভোগ করে। এই যোনিতে করা পাপ অথবা পুণ্য তার লাগেনা। শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে আরো বললেন- হে পার্থ, মাত্র মানুষ যোনীতে থাকা কালীন অবস্থায় পাপ এবং পূর্ণ কর্মের ফল ভোগ করতে হয়। কেননা মানুষ যোনি হলো একটি কর্ম যোনি। 


এই শুনে অর্জুন বিশমিত হয়ে পড়ে এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কাছে জিজ্ঞাসা করে- হে মাধব আপনি কি বলতে চাইছেন যে যদি কোনো পশু কোনো মানুষের হত্যা করে তাহলে তার কোনো পাপ লাগে না। আর যদি কোনো মানুষ কোনো পশুকে হত্যা করে তাহলে তার পাপ লাগে। এরকম অন্তর বা ভেদাভেদ কেন? 


তখন শ্রীকৃষ্ণ বলেন - হে ধনঞ্জয়, এমনটা হওয়ার কারণ এই গোটা সৃষ্টিতে সকল প্রাণী জাতির মধ্যে মানুষ জাতি হলো এমন একটি প্রাণী যার মধ্যে বিবেক আছে। শ্রীকৃষ্ণ আরো বললেন অর্জুনকে- তুমিই বলো মানুষ ছাড়া কি অন্য কোনো জাতি তোমার কি জানা আছে, যে ভালো খারাপের তফাৎ বুঝতে পারে? এই কারণেই যদি অন্য কোনো প্রাণী জাতি কাউকে হত্যা করে তাহলে তার পাপ লাগে না। আর এটাই কারণ পাপ-পূর্ণের ফল ভোগ কেবল মানুষ জাতির উপর করা হয়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখ থেকে এই দিবিও বাক্য শোনার পর অর্জুন শ্রীকৃষ্ণকে বলেন - হে কেসব, এমন কোনো স্থান নেই যেখানে গেলে জীবাত্মাকে পুনরায় এই মৃত্যু লোকে ফিরে আসতে হবে না? অর্থাৎ তার জন্ম মৃত্যু চক্র থেকে মুক্তি মিলে যায়? 


তখন শ্রীকৃষ্ণ বললেন, এমন স্থান আছে। সেই স্থানটি হল পরমধাম। অর্থাৎ, আমার ধাম। যেখানে পৌঁছানোর পর কখনো কোনো জীবাত্মাকে এই মৃত্যু লোকে ফিরে আসতে হয় না। অর্থাৎ যে জীবাত্মা নিজের পূর্ণ কর্মদ্বারা আমার মধ্যে সমাহিত হয়ে যায় সে জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তি পায়। আরেক এই মোক্ষলাভ বলা হয়। এই কারণেই সকল মানুষের উচিত সে তার সম্পূর্ণ জীবনে এমন ভালো কর্ম করুক - যার মাধ্যমে সে মোক্ষলাভ করতে পারে।


আশাকরি বন্ধুরা লেখাটি পড়ে আপনারা সমৃদ্ধ হয়েছেন। ভালো লাগলে আপন জনের উদ্দেশ্যে অবশ্যই শেয়ার করবেন। আজ এখানেই শেষ করলাম। নমস্কার, ধন্যবাদ। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।


আরো পড়ুন:- যুগের পরিবর্তনের সাথে কি করে বদলে যায় মানুষের লক্ষণ?CLICK HERE

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।

If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.

( Please don't enter any spam link in the comment box.)

Thank You very much.

অমৃত কথা