Breaking

Search Content

Follow Us

বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২২

যখন মন উদাস থাকে তখন কি করা উচিত? | How to change your mood?

 


নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম। ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয়বস্তু।   


আজকে আপনাদের সঙ্গে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব তা হলো- শ্রীকৃষ্ণের মতে, মন খারাপ (Mood off) হলে কি করা উচিত? 


উদাস হয়ে থাকা হলো মনের এমন একটি ভাব যেখানে আমাদের কোনো বিষয়ের উপর রুচি থাকে না। আমরা কোনো কাজ করার জন্য উৎসাহ পাই না। এই উদাসীনতা যখন একটি সীমা অতিক্রম করে তখন তাকে মনোরোগ বলে গণ্য করা হয়। তখন মানুষ জীবনের থেকে অধিক মৃত্যুকে পছন্দ করে। আমরা সকলেই জীবনের কোনো পর্যায়ে কখনো না কখনো উদাস অনুভব করেই থাকি। মন নিরাশাতে ভরে যায়। আর তখন আমরা কার্য করা ত্যাগ করে দেই। অধিকতর আমাদের উদাসীনতা কিছু সময়ের জন্যই হয়। এই জন্য সেই উদাসীনতার ফলে হওয়া হানি বা খারাপ জিনিসগুলি কে আমরা বুঝে উঠতে পারিনা। কিন্তু উদাসীনতা ধীরে ধীরে আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়। আর আমরা বারবার উদাসীনতার জন্য আমাদের হতে থাকা কার্যটি অসম্পূর্ণ করে রাখি। আমাদের সকলের সাথেই কি এটা হয় না? 


তো বাস্তবে উদাসীনতা কি? এর জন্ম কোথা থেকে হয়? এই উদাসীনতা থেকে মুক্ত হওয়ার উপায় কি?  


উদাসীনতা হল বাস্তবে মনের বা হৃদয়ের এমন একটি স্থিতির নাম - যখন আমরা আমাদের অসুবিধা, সমস্যা ও কঠিনতার কারন বাইরে দেখতে পাই। আমরা তখন বলি এই সমাজই খারাপ, চাকর বা স্বামীজি ভুল, পতি বা পত্নীর ব্যবহার খারাপ, জীবনের প্রতিকুলতা কঠিন, সময় আমাদের সাথ দিচ্ছে না ইত্যাদি ইত্যাদি। আর যখন দুঃখের কারণ বাইরে হয়ে থাকে তখন তাকে বদলানোর আমাদের কাছে কোনো রাস্তা থাকে না। এটা কি সত্য নয়। আমরা সময়কে কিভাবে বদলাবো? পরিস্থিতিতে কিভাবে পরিবর্তন আনতে পারব ? অর্থাৎ আমরা স্বয়ং নিজেকে অসহায় বলে মনে করতে থাকি। আর সেখান থেকেই জন্ম নেয় উদাসীনতা। এটা কি সত্য নয়? এখন প্রশ্ন হল - আমাদের সকল অসুবিধা বা সমস্যার কারণ কি সত্যিই বাইরে আছে? নাকি স্বয়ং আমাদের মধ্যেই রয়েছে এর কারণ? আমাদের খারাপ অবস্থা কি অন্য কোন ব্যক্তির কারণে হয়েছে? নাকি আমাদের পরিবার আমাদের শত্রু? নাকি এই সমাজ আমাদের শত্রু? নাকি আমাদের পরিস্থিতি আমরা স্বয়ং নির্মিত করি? - বিচার করুন আপনি নিজেই। 


বসন্ত ঋতুতে পাতা ঝরার সময় পাতা ঝরে গিয়ে গাছের সঙ্গে কি শত্রুতা করছে? - না, কখনও নয়। ঋতুচক্র তো সবসময় নিজের কার্য করে চলে। তার বৃক্ষের সঙ্গে নাতো কোনো শত্রুতা, না বন্ধুত্ব আছে। ঋতুচক্রের অনুকূল হয়ে যাওয়া বৃক্ষের কর্তব্য। ঠিক সেরকম একই প্রকার ভাবে সমাজ না তো কখনো কোনো মানুষের শত্রু, নাতো বন্ধু হয়। সমাজ যেখান থেকে লাভবান হয় সমাজ তার মিত্র বা বন্ধু হয়ে যায়। অর্থাৎ সমাজ প্রতিকূল তখন হয় যখন আমরা সমাজের প্রতিকূল হয়ে যাই। এমনটাই মানুষের সাথেও হয়। আমরা যাকে ভালোবাসা দেই, সে আমাদেরকে ভালোবাসা দেয়। আমরা যাকে লাভ দেই, সেও আমাদেরকে লাভ দেয়। আমাদের পরিস্থিতি পাল্টানোর জন্য আমাদেরকে স্বয়ং আমাদের নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন আনতে হবে। বন্ধুরা এতক্ষণ যেটুকু বুঝলেন এই টুকুই বুঝে নিলে নিজের মধ্যে পরিবর্তন করা খুব কঠিন নয়। অর্থাৎ জীবনে উদাসীনতার কোনো কারণই নেই, কেবল নিজেই নিজের মধ্যে পরিবর্তন করলেই তা পর্যাপ্ত হয়। অবশ্যই এই বিষয়গুলি বিচার করবেন। চিন্তা করবেন এবং মনে রাখবেন। 


বন্ধুরা আশাকরি লেখাটি পরে আপনারা সম্মৃদ্ধ হয়েছে। ভালো লাগলে আপনজনের উদ্দেশ্যে অবশ্যই শেয়ার করবেন। আজ এখানেই শেষ করলাম। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। নমস্কার, ধন্যবাদ। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক। 


আরো পড়ুনঃ- ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অনুযায়ী এই 4টি অভ্যাস জীবন থেকে দরিদ্রতা দূর করে-  CLICK HERE

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।

If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.

( Please don't enter any spam link in the comment box.)

Thank You very much.

অমৃত কথা