নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম। ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয়বস্তু।
কোনো ব্যক্তি অন্য কারো অপমান কেন করে আপনি কি এটা কখনো ভেবে দেখেছেন? এমনিতে তো আমরাও অনেকবার বিনা কারণে অনেককে অপমান করে দিই। অনেকবার এমনটাও হয় আমাদের নিজেদেরকেও অপমান সহ্য করতে হয়। বর্তমানে এই সংসারের অবস্থা অনেকটা এরকম সকল মানুষেরই ব্যবহার একে অপরকে অপমান করার উপর টিকে রয়েছে। যেমন একজন পতি তার পত্নীর অপমান করে। চাকরি দেওয়া মালিক তার চাকরদের অপমান করে। অর্থাৎ যে বলবান সে সবসময় নির্বলদের অপমান করে। যদি আমরা শক্তিশালী হয়ে থাকি তাহলে অপমানের বদলে লড়াই করি। আর যদি লড়াইয়ে শক্তি না থাকে, তাহলে আমরা অপমান সহ্য করে নেই। সেই সময়ের পরিস্থিতিতে আমরা অসহায় অনুভব করি।আমাদের নিজেদেরকে ছোট বলে মনে হয়। এমনটা প্রতীত হয় যেন আমাদের আত্মা খুবই অসহায়। কিন্তু, কেউ কারো অপমান কেন করে থাকেন?
যখন অপমান হয় তখন মানুষ নিজেকে নির্বল বলে ভাবতে থাকে। নির্বলতা বোধ সেই ব্যক্তির মনকে আরো ছোট করে দেয়। তখন সেই মানুষটি অধিক থেকে অধিকতর মাত্রায় অসহায় হয়ে পড়ে। তার অত্যাচার ও অপমান সহ্য করার অভ্যাস হয়ে যায়। আত্মবিশ্বাসের নাশ হয়। আর যখন আত্মবিশ্বাস থাকে না তখন মানুষ মন থেকে ভেঙে পড়ে দুঃখে জর্জরিত হয়ে মদ্যপান ও জুয়ার মত খারাপ জিনিসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। যে কোনো মানুষেরই এরকম পরিস্থিতি অন্য মানুষ কেন করে? যে ব্যাক্তি অপমান করে বাস্তবে সে কি চায়? এটা কখনো বিচার করেছেন?
আসলে বাস্তবে কোনো ব্যক্তি কাউকে যদি অপমান করে তাহলে তার কারণ হলো সেই ব্যক্তি নিজের শক্তিশালী রূপ প্রমাণ করতে চায়। যে ব্যক্তি অপমান করে সে নিজের শক্তির ওপর নিজেই আশ্বস্থ নয়। সেই ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে অপমান করে নিজের শক্তির ওপর বিশ্বাস অর্জন করতে চায়। এটা কি সত্যি নয়?
বাস্তবে যখন আমরা কাউকে অপমান করি তখন আমরা সেই অপমানের মধ্যে দিয়ে এটা ফুটিয়ে তুলি যে, আমরা নিজের বল প্রকট করতে চাই। আমাদের নিজের বলের উপর ভরসা থাকে না। যেই কারণে আমরা এই সংসারে একটি অবিরুদ্ধ সংঘর্ষ করি। এই সংঘর্ষের থেকেই সৃষ্টি হয় অপমানের। আমরা এরকম সময় নিজের মানুষদেরও প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করতে থাকি। সেটা পতি পত্নী সম্পর্ক হলেও, পতি - পত্নীকে অপমান করতে ছাড়ে না। আমরা নিরন্তর প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিজের শক্তি-সিদ্ধ করতে চাই। অন্যথায় আমাদের শোষণ হবে, অন্য কারো গোলাম হয়ে যাব এমনটা ভেবেই আমরা নিজের শক্তি আগে থেকে দেখিয়ে অপমানের রাস্তা বেছে নি। কিন্তু, এমনটা কি কখনো ভেবে দেখি আমরা যে, অন্যকোনো ব্যক্তিকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করার চেয়ে তাকে বন্ধু ভেবে নিলে, আমাদের সহায়তা করা কলিক মনে করে নিলে; অর্থাৎ অন্যান্য ব্যক্তিদেরকে যদি প্রেমের চোখে দেখা যায় এবং তাদের বন্ধু ভেবে নেওয়া যায় তাহলে তাদের অপমান করার মত এরকম বিচার আমাদের মাথায় আসবেই না। কিন্তু অন্যান্য ব্যক্তির প্রতি ভালোবাসা নিবেদনের জন্য আগে সবার প্রথমে নিজের আত্মবিশ্বাস এর প্রয়োজন। যেই মানুষের নিজের শক্তির উপর বিশ্বাস নেই সে কখনো কাউকে ভালোবাসা নিবেদন করতেই জানে না। অর্থাৎ যে ব্যক্তির মনে আত্মবিশ্বাস ভরপুর সে নাতো কখনো অন্য কারো অপমান করে, নাতো নিজে অপমান স্বীকার করে নেয়।
বন্ধুরা আশাকরি এই লেখাটি পড়ে আপনারা সমৃদ্ধ হয়েছেন। ভালো লাগলে আপনজনের উদ্দেশ্যে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। নমস্কার, ধন্যবাদ। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।
আরো পড়ুনঃ- রোজ রাতে ঘুমানোর আগে বলা উচিত এই ২টি কথা - তাহলেই জীবনে সফল হওয়া সম্ভব। CLICK HERE
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।
If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.
( Please don't enter any spam link in the comment box.)
Thank You very much.
অমৃত কথা