Breaking

Search Content

Follow Us

বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০২২

কল্কি অবতারের 4 টি শক্তিশালী অস্ত্র - যা মহাভারতের সময় থেকেই এই পৃথিবীতে রয়েছে || Kalki Avatar Real Power

 


নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম। ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয়বস্তু।  


আজকে আপনাদের সঙ্গে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব তা হলো- মহাভারতের এরকম চারটি শক্তিশালী বস্তু সম্পর্কে যা আজও এই পৃথিবীতে রয়েছে, সেই বস্তু গুলি কি কি? 


বন্ধুরা ভারত দেশকে যোগ, ধ্যান, রহস্য এবং চমৎকারের দেশ বলা হয়। বেদ, পুরাণ, রামায়ণ ও মহাভারতে এরকম হাজারো ঘটনা, কর্ম ও বস্তুর বর্ণনা পাওয়া যায় - যার ওপর আধুনিক যুগের বিজ্ঞান এখনো পর্যন্ত গবেষণা করে চলেছে। আজকে আপনাদেরকে মহাভারতে লুকিয়ে রাখা চারটি এমন গোপনীয় শক্তির ব্যাপারে জানাতে চলেছি যা আজকের কলিযুগে যদি কোনো মানুষ পেয়ে যায় তাহলে সে সর্বোচ্চ শক্তিশালী হয়ে উঠবে।


প্রথমত, এই চারটির মধ্যে সবার প্রথমে যার নাম আসে তা হল - কর্নের কবচ আর কুণ্ডল। এরকম টা মনে করা হয় যে, কর্ণের কবচ ও কুণ্ডল নেওয়ার পরে দেবরাজ ইন্দ্র স্বর্গে প্রবেশ করতে পারেন নি। কেননা তিনি এই কবচ ও কুণ্ডল মিথ্যে কথা বলে কর্ণের কাছ থেকে দান হিসেবে পেয়েছিলেন। আর স্বর্গে কোনরকম মিথ্যা জিনিস ভেতরে নিয়ে যাওয়া যায়না। এই সময় তিনি ওই কবজ ও কুণ্ডল সমুদ্র পর্বতের কোনো এক জায়গায় লুকিয়ে রেখেছিলেন। আবার কেউ কেউ বলে ওই জিনিসগুলো কে তিনি ওম পর্বতে লুকিয়ে রেখেছেন। আর তারপর চন্দ্রদেব তা দেখে ওই কবচ ও কুণ্ডল চুরি করে নিয়ে সেখান থেকে পালায়। সমুদ্রদেব তা দেখে তাকে বাধা দেয়, আর সেদিন থেকে সমুদ্রদেব ও সূর্যদেব দুজনা মিলে ওই কবচ ও কুন্ডল কে রক্ষা করছেন। এরকম বলা হয় যে ওই কবচ ও কুণ্ডল কে পুরীর কাছে কোণার্ক মন্দিরে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। হ্যাঁ বন্ধুরা, আপনি ঠিকই ধরেছেন - সূর্য মন্দিরে। আর কেউ কেউ বলে যে ওই জিনিসগুলোকে ওম পর্বতে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু, আজ পর্যন্ত কেউ ওই জিনিস গুলোর কাছে পৌঁছাতে পারেনি। ভাবুন কি হবে? - যদি কেউ এই জিনিস গুলিকে পেয়ে যায়। 


এই কবচ ও কুণ্ডল যদি কেউ পেয়ে যায় তাহলে সে এই জিনিসগুলোর ভুল ব্যবহার করতে পারে। এও বলা হয় যে কলিযুগের শেষে কল্কি অবতার এই কবচ ও কুণ্ডল ধারণ করবে।


দ্বিতীয়ত, এরপর হলো দিব্যিও ধনুক ও তীর। দধীচি ঋষি দেশের স্বার্থে নিজের শরীরের হাড় দান করেছিলেন। তাঁর হাড় থেকে তিনটি ধনুক বানানো হয়। প্রথমটি হল গান্ডীব দ্বিতীয়টি পিনাক এবং তৃতীয়টি হলো সারং। এছাড়াও তার বুকের হাড় দিয়ে ইন্দ্রদেবের বজ্র তৈরি করা হয়েছিল। পিনাক ধনুক - ভগবান শিবের কাছে ছিল যা রাবন নিয়ে নিয়েছিল। সেটাই রাবণের কাছ থেকে পরশুরামের কাছে যায়। পশুরাম সেটি রাজা জনক কে দিয়েছিলেন। আর রাজা জনকের সভার শ্রী রাম এটিকে ভেঙে ফেলেন।


সারং ধনুক বিষ্ণুর কাছে ছিল। বিষ্ণুর কাছ থেকে সেটা শ্রী রামের কাছে যায়। আর শ্রীরামের কাছ থেকে তা কৃষ্ণের কাছে যায়।গান্ডীব ধনুক অগ্নিদেবের কাছে ছিল, যেটা অর্জুন নিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু, মানা হয় যে সব দিব্য অস্ত্র ছিল যার কারণে এগুলিকে নষ্ট করা যেত না। শুধুমাত্র পিনাক ধনুকই নষ্ট হয়েছিল। তাছাড়া সারং এবং গান্ডীব ধনুক আজও এই কলিযুগে রয়েছে। কিন্তু, তা পৃথিবীর কোন কোনে রয়েছে তা কেউ জানে না। মনে করা হয় কল্কি অবতার এই শক্তিশালী ধনুক ধারণ করবেন কলিযুগের অন্তের সময়ে।


তৃতীয়ত, হলো অশ্বথামার কপালের মনি। মনি হল এক প্রকারের চমৎকার পাথর। মনিকে হীরের শ্রেণীতে রাখা হয়। তার মধ্যে কিছু মনি চমৎকারও হয়। যার কাছে এই মনি থাকে সে যা ইচ্ছা তাই করতে পারে। রাবণ কুবেরের কাছ থেকে 'চন্দ্রকান্ত' নামের মনি কেড়ে নিয়েছিল। ওই মনি আজ বৈঞ্চনাথ মন্দিরে বিদ্যমান। দ্রোণাচার্যের পুত্র অশ্বথামার কাছে এক চমৎকারী মনি ছিল। যার শক্তির সাহায্যে সে অমর হয়ে যেত। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সেই মনি তার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছিলেন। বলা হয়ে থাকে যে, অর্জুন এই মনি দ্রৌপদী কে দিয়েছিলেন তারপর দ্রৌপদী সেই মনি যুধিষ্ঠিরের কাছে রেখে দেন। যুধিষ্ঠিরের কাছ থেকে এই মনি কার কাছে যায় তা মহাভারতে লেখা নেই।


কিন্তু, শিব মহাপুরাণ অনুসারে অশ্বথামা আজও বেঁচে আছেন আর গঙ্গার কাছে বাস করছেন। কিন্তু তার নিবাস কোথায় তা কেউ জানে না। কিন্তু, এও বলা হয় যে ওই মনি যা অশ্বথামার মনি ছিল - তা আজও সঠিকভাবে রয়েছে। কিন্তু, কোথায় আছে?কার কাছে আছে? - তা কেউ জানে না। 

 

বলা এটাও হয় যে, পরবর্তী সময়ে অশ্বথামার মনি 'কল্কি অবতার' দ্বারা তাকে পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে। যাতে কল্কি অবতার আর অশ্বথামা একত্রে মিলে কলিযুগের অধর্মীদের বিনাশ করতে পারে। 


চতুর্থত, এবার কথা বলব পরবর্তী চমৎকারী ও শক্তিশালী বস্তু কে নিয়ে, যা হলো - পাঞ্চজন্য। মহাভারতে কৃষ্ণের কাছে পাঞ্চজন্য ছিল। এখন আপনি ভাবছেন এই পাঞ্চজন্য আবার কি? 

পঞ্চজন্য হল - ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শঙ্খ। অর্জুনের কাছে 'দেবদত্ত' এবং যুধিষ্ঠিরের কাছে ছিল- 'অনন্তবিজয়', ভীষ্মের কাছে ছিল 'পৌন্ড্র ', নকুলের কাছে 'সুঘোষ আর সহদেবের কাছে 'মণিপুষ্পক' ছিল। সবার শঙ্খের মাহাত্ম্য ও শক্তি আলাদা আলাদা ছিল। শঙ্খের শক্তি আর চমৎকারের পার্থক্য মহাভারত ও পুরানেও পাওয়া যায়।        

সমুদ্রমন্থনের সময় এই পাঞ্চজন্য শঙ্খের উৎপত্তি হয়েছিল। শঙ্খকে বিজয়, সমৃদ্ধি, সুখ, শান্তি, যশ, কীর্তি আর লক্ষীর প্রতীক হিসাবে মানা হয়। বলা হয় যে, এই শঙ্খ পরাশর নামের এক মুনির কাছে রাখা হয়েছে। কিন্তু, এর পেছনের আসল সত্যি কি তা কেউ জানে না। মনে করা হয় কলিযুগের অন্তের সময়ে কল্কি অবতার এই শক্তিশালী বস্তুটি ধারণ করবেন। বন্ধুরা এই সম্পর্কে আপনি কি ভাবেন? এই সমস্ত বিষয়ে আপনার কি বিচার? - তা অবশ্যই নিম্মে কমেন্টে জানাবেন।


বন্ধুরা এই ছিল মহাভারতের শক্তিশালী চারটি বস্তু। যা বর্তমানে কলিযুগের কেউ পেলে অত্যন্ত শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। বন্ধুরা মনে করা হয় এই সকল শক্তিশালী জিনিসগুলি কল্কি অবতার ধারণ করবেন কলিযুগের অন্তের সময়ে।


বন্ধুরা আশাকরি এই লেখাটি পড়ে আপনারা সমৃদ্ধ হয়েছেন। ভালো লাগলে আপনজনের উদ্দেশ্যে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। নমস্কার, ধন্যবাদ। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক। 

আরো পড়ুনঃ- চাণক্যের মতে - এই ধরনের নারীর সঙ্গে বিবাহ করা একদমই উচিত নয় || Five types women you should not marry

CLICK HERE

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।

If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.

( Please don't enter any spam link in the comment box.)

Thank You very much.

অমৃত কথা