Breaking

Search Content

Follow Us

রবিবার, ২৬ জুন, ২০২২

এই 10 রকমের মানুষের গৃহে কখনো করবেন না ভোজন - হয়ে যাবেন পুরোপুরি বরবাদ ! || Places Where you must Never Eat.


নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম। ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয়বস্তু।


বন্ধুরা আপনি হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে, আজকাল লোকজনেরা নিজেদের ব্যাবসায়িক অথবা সামাজিক সম্পর্ক মজবুত করার জন্য একে অপরকে বাড়িতে ভোজনের আমন্ত্রণ জানায়। বন্ধুরা আপনিও হয়তো কখনো না কখনো এরকম ভোজনের নিমন্ত্রণ অবশ্যই পেয়েছেন। কিন্তু আপনি কি কখনো এরকম নিমন্ত্রনে যাওয়ার আগে এটা ভেবেছেন যে, আপনার করা এই ভোজন আপনার পাপের বৃদ্ধি ঘটাতে পারে। হ্যাঁ বন্ধুরা, এটা একদমই সত্য। গরুড় পুরাণের আচার কাণ্ডের ১০ জন এমন লোকের সম্পর্কে বলা হয়েছে, যাদের কাছে ভোজন গ্রহণ করা অথবা তাদের দ্বারা দেওয়া কোনো জিনিস খাওয়ায় আমাদের পাপের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। তো চলুন বন্ধুরা জেনে নেওয়া যাক সেই ১০ রকমের মানুষ গুলির বর্ণনা সম্পর্কে। 


বন্ধুরা একটি পৌরাণিক কাহিনী আপনি হয়তো নিশ্চয়ই শুনেছেন যে, যেমন খাবেন অন্ন - তেমন হবে মন। অর্থাৎ আমরা যেমন ভজন করে থাকি ঠিক সেরকমই আমাদের বিচার ও ভাবনা হয়ে থাকে। এর সবথেকে ভালো উদাহরণ মহাভারতে পাওয়া যায়। যখন তিরশয্যায় পড়ে থাকা ভীষ্ম পিতামহের কাছে দ্রৌপদী জিজ্ঞাসা করেন - পিতামহ ভীষ্ম আপনি ভরা সভায় আমার বস্ত্রহরণের বিরোধ কেন করলেন না? যেখানে আপনি সবথেকে বড় ও সম্মানীয় ছিলেন। তখন ভীষ্ম পিতামহ উত্তরে বলেন - মানুষ যেমন অন্ন খায়, তেমনই তার মন হয়ে যায়। সেই সময় আমি কৌরবদের অধর্মী অন্ন খাচ্ছিলাম। এই কারণে আমার বিচার-বুদ্ধিও ওরকমই হয়ে যায়। আর যে কারনেই আমি ওই কাজে কোনো ভুল দেখতে পায়নি।


বন্ধুরা আশাকরি আপনি এই উদাহরণটির মাধ্যমে ভোজনের স্থানের মাহাত্ম্য সম্পর্কে কিছুটা হলেও আন্দাজ করতে পেরেছেন। তো চলুন বন্ধুরা এখন গরুড় পুরাণে বর্ণিত সেই 10 রকমের মানুষের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক যাদের বাড়িতে ভোজন করা থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। 


প্রথমত, কোনো চোর অথবা অপরাধীর বাড়িতে ভোজন করা থেকে বাঁচা উচিত। বলা হয়ে থাকে কোনো চোর অথবা অপরাধীর গৃহে ভোজন করলে তার সমস্ত পাপের ভাগীদার যেমন আপনি হবেন, ঠিক তেমনই আপনার বিচারও তাদের মতো দূষিত হয়ে যায়। 


দ্বিতীয়ত, চরিত্রহীন স্ত্রীর গৃহে ভোজন করা থেকেও বাঁচা উচিত। গরুড় পুরাণ অনুসারে কখনোই একজন চরিত্রহীন স্ত্রীর বাড়িতে ভোজন করা উচিত নয়। এতে আপনি পাপের ভাগীদার হন। এখানে চরিত্রহীন স্ত্রী বলতে সেই ধরনের স্ত্রীদের বোঝানো হয়েছে যারা নিজের ইচ্ছায় অধার্মিক আচরণ করে।


তৃতীয়ত, সুদখোর ব্যক্তির গৃহে কখনো ভোজন করা উচিত নয়। গরুড় পুরাণে বর্ণিত রয়েছে যে, খারাপভাবে কামানো ধন আমাদের সবসময় অশুভ ফল দান করে। এই কারণে যে ব্যক্তি অন্যান্য ব্যাক্তিদের সমস্যার সুবিধা নিয়ে নিজে ধনসম্পত্তি লাভ করে সে নিজে তো পাপের ভাগিদার হয়ই; তার সাথে সাথে তার গৃহেতে যে ব্যক্তি ভোজন করে সেও পাপে জর্জরিত হয়। 


চতুর্থত, অত্যন্ত রাগী বা ক্রোধিত ব্যক্তির সঙ্গেও কখনো একসাথে ভোজন করা উচিত নয়। বন্ধুরা এটা তো আপনিও জানেন যে ক্রোধ মানুষের সবথেকে বড় শত্রু। কেননা বেশিরভাগ সময়ে ক্রোধের বশবর্তী হয়ে মানুষ ভালো-খারাপ বুঝতে না পেরে কিছু এমন পদক্ষেপ নিয়ে ফেলে যার কারনে তাকে ভারী সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই কারণে গরুড় পুরাণও ক্রোধিত ব্যক্তির সঙ্গে ভোজনে মানা করে। আর বলে যে এমনটা করার ফলে তার ক্রোধের গুন আমাদের মধ্যেও প্রবেশ করে। 


পঞ্চমত, রোগী ব্যক্তির সঙ্গে ভোজন করা থেকে বাঁচুন। বলা হয়েছে যদি কোনো ব্যক্তি গম্ভীর রোগে পিরিত থাকে, যেমন - কোনো ছোঁয়াছে রোগে অনেকদিন ধরে ভুগতে থাকে তাহলে এরকম মানুষের সঙ্গে ভুল করেও ভোজন করা উচিত নয়। এর প্রথম কারণ হলো আপনিও সেই রোগে জর্জরিত হতে পারেন। আর দ্বিতীয় কারণ হলো অনেকদিন যাবত রোগে পিরিত থাকায় সেই ব্যক্তির বাড়িতে বিভিন্ন রকমের জীবাণু বাড়ির বাতাবরণ খারাপ করে দেয়। যা আপনার স্বাস্থ্যকেও খারাপ করতে পারে।


ষষ্ঠত, পরনিন্দা বা সবসময় পরচর্চা করা ব্যক্তির বাড়ি থেকে ভোজন করা থেকে বাঁচুন। বন্ধুরা আপনি আপনার আশেপাশে এরকম অনেক লোক পাবেন যারা সবসময় পরনিন্দা করতে থাকে। আপনাকে বলে দি - যদি আপনি সমস্যা মুক্ত হতে চান তাহলে গরুড় পুরাণ অনুসারে তাদের ঘরে কখনোই ভোজন করবেন না। কেননা কথায় কথায়ই তারা আপনাকে কোনো সমস্যায় ফেলে দেবে। আর পরে আপনার খারাপ অবস্থা দেখে তারা খুশি হবে। এরকম মানুষের সঙ্গে যতটা দূরত্ব বজায় রাখবেন ততোই আপনার পক্ষে ভালো।


সপ্তমত, বন্ধুরা কোন হিজড়ারে ভোজন করা থেকে বাঁচুন। আমাদের ধর্মশাস্ত্রে খুবই লম্বা সময় ধরে হিজড়াদের দান দেওয়ার প্রথা রয়েছে। মনে করা হয় এদের দান দেওয়ার ফলে আমাদের অক্ষয় পূর্ণের প্রাপ্তি হয়। গরুড় পুরাণ অনুযায়ী এদের দান দেওয়া খুবই পুণ্যের কাজ। কিন্তু তাদের কাছে ভোজন করা আপনার জন্য বড় বিপত্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে। কেননা এদের দান দেওয়া মানুষদের মধ্যে ভালো-খারাপ দুই রকমের মানুষই থেকে থাকে, যা আপনার ওপর তাদের ভালো ভাগ্যের সাথে সাথে তাদের খারাপ ভাগ্যের ফলও আনতে পারে।


অষ্টমত, নেশাযুক্ত খাবার খাওয়া অথবা বিক্রি করা এমন মানুষদের সঙ্গে ভোজন করা থাকে বাঁচুন। গরুড় পুরাণ অনুসারে নেশা যুক্ত খাবার বিক্রয় করা অথবা নিজে খাওয়া - এমন কোনো মানুষের ঘরে ভোজন করা উচিত নয়। যদি এমনটা করা হয় তাহলে তাদের খারাপ গুণের প্রভাব আপনার মধ্যেও পড়তে পারে।


নবমত, নির্দয়ী ব্যক্তির সঙ্গে ভোজন করা থেকে বাঁচুন। গরুড় পুরাণ অনুসারে এরকম ব্যক্তি যে অন্য মানুষকে কষ্ট দেয় এবং পরে সে আপনার সঙ্গে যতই ভালো ব্যবহার করুক না কেন - তার গৃহে ভজন করার ভুল কখনোই করবেন না। এরকম বাড়িতে তৈরি হওয়া ভোজনের প্রকৃতিও তার মতনই হয়। যার ফলে আপনি যদি তার সঙ্গে ওই ভোজন গ্রহণ করেন তাহলে আপনার প্রকৃতিও তারই মত হতে বেশি সময় লাগবে না।


দশমত, প্রজাদের উপর অত্যাচার করা কোনো নেতা বা (রাজা) মন্ত্রী তাদের গৃহেও ভোজন করা থেকে বিরত থাকুন। প্রজাদের রক্ষা করা এবং তাদের সকল সমস্যা থেকে মুক্ত করা নেতা, মন্ত্রীদের কর্তব্য। কিন্তু, যদি কোনো নেতা বা মন্ত্রী নিজের দায়িত্ব ভুলে গিয়ে প্রজার উপরেই অত্যাচার করে তাহলে এমন মন্ত্রী বা নেতাদের গৃহে কারোরই ভোজন করা উচিত নয়।


আশাকরি বন্ধুরা লেখাটি পড়ে আপনারা সমৃদ্ধ হয়েছেন। আর বুঝতে সক্ষম হয়েছেন যে কোন কোন মানুষের গৃহে ভোজন করা উচিত নয়। লেখাটি ভালো লাগলে আপনজনের উদ্দেশ্যে অবশ্যই শেয়ার করবেন। আজ এখানেই শেষ করলাম। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। নমস্কার, ধন্যবাদ।। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক। 

আরো দেখুন - 2022 সালে রথযাত্রার - পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী CLICK HERE

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।

If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.

( Please don't enter any spam link in the comment box.)

Thank You very much.

অমৃত কথা