Breaking

Search Content

Follow Us

বুধবার, ১ জুন, ২০২২

খেতে বসে খাবার আগে বলুন এই একটি কথা - জীবনে কখনো অন্নের অভাব হবে না 🔥🔥🔥

 


নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম। ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয়বস্তু।

বন্ধুরা এই পৃথিবীতে সবকিছুই ভগবানের সৃষ্টি। আমরা যা কিছু গ্রহণ করছি, যা কিছু আস্বাদন করছি সমস্ত কিছু তিনিই করাচ্ছেন। প্রত্যেকদিন দু'বেলা দু'মুঠো অন্ন তিনিই আমাদের তুলে দিচ্ছেন। আমরা কর্ম করে যাচ্ছি। এইজন্যই বন্ধুরা শাস্ত্রে উল্লেখ করা রয়েছে সমস্ত কাজের প্রারম্ভে তাকেই স্মরণ করা উচিত। আমরা যেকোনো কর্মই করি না কেন তার পূর্বে অবশ্যই ঠাকুর কে স্মরণ করা প্রয়োজন। যে কোনো মানুষেরই প্রাথমিক চাহিদা হল অন্ন, বস্ত্র এবং বাসস্থান। আমাদের দেশের অধিকতর মানুষ এই তিনটি জিনিস পাবার জন্যই সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে থাকেন এবং এই পরিশ্রমের পর তিনি যা রোজগার করেন তা দিয়ে তিনি এই প্রাথমিক চাহিদা পূর্ণ করেন।


বন্ধুরা আজকে আমি এই লেখাটির মাধ্যমে আপনাদের জানাবো - যখন আপনি অন্ন গ্রহণ করবেন তখন অর্থাৎ সারাদিনের প্রধান খাবারটি যখন গ্রহণ করবেন অর্থাৎ দুপুরের খাবার টি যখন খাবেন সেই সময় অতি অবশ্যই এই সহজ একটি মন্ত্র উচ্চারণ করুন এবং তারপর দুপুরের আহার গ্রহণ করুন - দেখবেন এই সহজ একটি মন্ত্র প্রত্যেকদিন যদি আপনি দুপুরের আহারের আগে উচ্চারণ করতে পারেন তাহলে জীবনে কখনো অন্যের অভাব হবে না। অর্থাৎ কখনোই আপনার বাড়িতে ভাতের অভাব হবে না। 

প্রিয় বন্ধুরা অনেকেই হয়তো আপনারা এই বিষয়টি জানেন। কিন্তু যারা জানেন না তারা এই লেখা টি সম্পূর্ণ পড়ুন। আপনি একটি নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। আর লেখাটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই আপনজনের উদ্দেশ্যে লেখা টি শেয়ার করবেন।


চলুন বন্ধুরা এবার আমরা মূল আলোচনায় প্রবেশ করি। বন্ধুরা মা লক্ষ্মীর প্রতীক হলো- অন্ন। অন্নকে আমরা মা লক্ষ্মীর প্রতীক হিসেবেই জানি। মা লক্ষ্মীর কৃপার জন্যই আমরা দুবেলা-দুমুঠো আহার গ্রহণ করতে পারি। মা লক্ষ্মী যেন আমাদের উপর ক্ষুব্ধ না হন, তিনি যেন সর্বদাই আমাদের ঘরে অচলা হয়ে বিরাজ করেন তার জন্য আমরা নানান উপায় গ্রহণ করে থাকি। 


বন্ধুরা যদি কোনো পরিবারে অন্নকে যথাযথ গুরুত্ব প্রদান না করা হয়ে থাকে - তাহলে তার অর্থ এসে দাঁড়ায় সেই পরিবারের মা লক্ষ্মী কে অসম্মান করা হচ্ছে। এই কারণেই আহার বা অন্নকে যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করা প্রয়োজন। কখনোই কিন্তু ভাতের বা অন্নের অপমান করবেন না, এতে কিন্তু মা লক্ষ্মীকে আসলেই অপমান করা হয়। আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা না জেনে অন্নের অপমান করে থাকেন। যদি প্রতিনিয়ত অন্নের অপমান কোনো গৃহে হয়ে থাকে তাহলে সেই পরিবার থেকে নিশ্চিত রূপেই মা লক্ষ্মী বিদায় নেবেন। তাই বন্ধুরা খাবার গ্রহণের পূর্বে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম-নীতি রয়েছে। আর এই নিয়ম নীতি গুলি আমাদের সকলকেই মেনে চলা প্রয়োজন।


এই ধরনের ভুলগুলি যারা করে থাকেন সেই গৃহে আর্থিক অবনতি, রোগব্যাধির হার বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও আমাদের মধ্যে অনেকেই এই বিষয়টি করে থাকেন যে, ভজন গ্রহণের পরে স্নান করেন। এই বিষয়টি কিন্তু কখনোই করা উচিত নয়। দিনের প্রধান আহারটি অর্থাৎ দুপুরের খাবারটা খাওয়ার পূর্বে অতি অবশ্যই আমাদের স্নান করে নেওয়া প্রয়োজন।


শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে ভোজনের পূর্বে স্নান করা অন্যতম প্রধান কর্তব্য। তাই বন্ধুরা দুপুরের খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই স্নান করে তবেই দুপুরের আহার গ্রহণ করা প্রয়োজন। দু-এক দিন যদি এদিক-ওদিক হয় তাতে কোনো অসুবিধা নয়। কিন্তু, যদি এই বিষয়টি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে যে, আহারের পরে স্নান করা - তাহলে এই বিষয়টি তার শরীর এবং স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে চলেছে এবং তিনি একদিন না একদিন অবশ্যই অন্নকষ্টে ভুগবেন।


আবার এই বিষয়টি অনেকেই দেখবেন করে থাকে - যে পরিমাণ অন্ন বা আহার তারা খেতে পারবে তার থেকে অনেক বেশি পরিমাণ অন্ন বা খাবার তারা তাদের পাত্রে নিয়ে থাকেন। ভোজনের পর অনেক খাবারই তারা প্রতিনিয়ত নষ্ট করে থাকেন। এই বিষয়টি যদি কেউ করে থাকেন তাহলে বন্ধুরা নিশ্চিত রূপেই জেনে রাখুন যে, যেই পরিমাণ অন্ন আপনি আজকে নষ্ট করছেন ঠিক সেই পরিমাণ অন্নের জন্যই আপনাকে অন্নকষ্টে ভুগতে হবে। এইজন্যই বন্ধুরা যে পরিমাণ অন্ন বা খাবার আপনি খেতে পারবেন, সেই পরিমাণ অন্ন বা খাবার আপনার পাত্রে নিন অযথা অন্ন নষ্ট করবেন না। আপনার গৃহে যদি অন্নের এইভাবে অপমান হয় তাহলে সেটা মা লক্ষ্মীর অপমান। আর মা লক্ষ্মীর কোনো গৃহে অপমান হলে তাহলে মা লক্ষ্মী সেই গৃহ থেকে নিশ্চিত রূপেই বিদায় নেবেন। যদি কোনো সময় এমনটা হয়ে থাকে যে, খাবার বা অন্ন অতিরিক্ত হয়ে থাকে তাহলে সেই অবশিষ্ট খাবার বা অন্ন কোনো পশু-পাখিকে দিয়ে দিন। কখনোই কিন্তু সেটিকে নষ্ট হতে দেবেন না এবং কখনোই সেই খাবার ডাস্টবিনে বা ড্রেনে ফেলবেন না।


বন্ধুরা এবার আপনাদের জানাব সেই বিশেষ মন্ত্রটি যা প্রত্যেক দিনের প্রধান খাবার অর্থাৎ দুপুরের খাবারের পূর্বে অতি অবশ্যই মনে মনে উচ্চারণ করা প্রয়োজন। যদি আপনি প্রতিদিন প্রধান আহারের পূর্বে একবার এই মন্ত্রটি উচ্চারণ করেন তাহলে জীবনে কখনো অন্নের অভাব হবে না। 


(ভোজন প্রারম্ভের মন্ত্র)

ওঁ অন্নপতেঃন্নস্য নো দেহ্যনমীবস্য শুষ্মিণঃ।
প্র প্র দাতারং তারিষ ঊর্জং নো
ধেহি দ্বিপদে চতুষ্পদে৷

(যজুর্বেদ ১১.৮৩)


এই মন্ত্রটি উচ্চারণ করতে সমস্যা হলে আপনি আপনার মত করে মনে মনে ভগবানের উদ্দেশ্যে বলুন - হে অন্নদাতা প্রভু, আমি যেন এই অন্ন গ্রহণের মাধ্যমে সুস্বাস্থ্য ও বলযুক্ত হই। এর সাথেই বলুন - আমি যেমন অন্ন গ্রহণ করতে পারছি ঠিক আমার মতোই যেন অভাবগ্রস্ত, দরিদ্র-দুস্থ মানুষ এবং চতুষ্পদী প্রাণীরাও আহার পায়  - এই কামনা করুন ভগবানের কাছে। সবশেষে আপনি যে আহার গ্রহণ করতে পারছেন এই কারণে অন্নদাতা প্রভুকে বা ভগবানকে কৃতজ্ঞতা বা ধন্যবাদ জানিয়ে মা লক্ষ্মী ও অন্নদাতা প্রভুর উদ্দেশ্যে প্রণাম জানান। এই ছোট্ট ক্রিয়া বা কাজটি করার মাধ্যমে আপনার কোনদিনও অন্নের বা ভাতের অভাব হবে না। কারণ বন্ধুরা জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যেই চাহিদা সেই চাহিদা আমি পূরণ করছেন। শুধু তাই নয় আপনি শুধুমাত্র আপনার জন্য নয় সকলের উদ্দেশ্যেই ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছেন। যে ব্যক্তি নিজের সাথে সাথে সকলের কথা চিন্তা করেন এবং সকলের পাশে এসে দাঁড়ান - তার পাশে ভগবান এসে দাঁড়ান ও তার উপর সর্বদা কৃপা দৃষ্টি দেন।


আশাকরি বন্ধুরা লেখাটি পড়ে আপনারা সমৃদ্ধ হয়েছেন। ভালো লাগলে আপনজনের উদ্দেশ্যে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। নমস্কার, ধন্যবাদ। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।


আরো পড়ুনঃ- 
সন্তান কন্যা হবে নাকি পুত্র - তা নির্ভর করছে আপনার উপর ( গর্ভধারণের নিয়ম )

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।

If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.

( Please don't enter any spam link in the comment box.)

Thank You very much.

অমৃত কথা