নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম। ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয়বস্তু।
আজকে আপনাদের সাথে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব তা হলো - 'কর্ম' কি?
একদিন গৌতম বুদ্ধকে তাঁর এক শিষ্য জিজ্ঞাসা করেন- কর্ম কি? এই কথা শুনে গৌতম বুদ্ধ হেসে বলেন, কর্ম কি বোঝানোর জন্য আমি তোমাকে একটি গল্প বলি, এই গল্প শোনার পরে তুমি এবং তোমার সাথে সথে সবাই বুঝে যাবে যে, কর্ম কি। এরপর গৌতম বুদ্ধ গল্পটি বলা শুরু করলেন।
এক রাজ্যে এক রাজা বাস করতেন একবার তিনি তাঁর মন্ত্রীর সাথে দেশের ভ্রমণে বেরোলেন। ভ্রমণ করতে করতে রাজা আর মন্ত্রী একটি বাজারে পৌঁছায়। সেই বাজারে রাজার নজর একজন দোকানদারের ওপর পরল। সেই দোকানদারকে দেখেই রাজার মনে এক বিচার এলো যে, তিনি ওই দোকানদারকে কাল ফাঁসির সাজা দেবেন। এই কথা রাজা তার মন্ত্রী কে বলেন। মন্ত্রী কিছু বলার আগেই রাজা ওই দোকানদারের দোকানের সামনে থেকে চলে আসেন, আর অন্য কথা বলতে শুরু করেন। মন্ত্রী খুবই চিন্তায় পড়ে গেলেন। তিনি এই কথা বুঝতে পারছিলেন না যে দোকানদারের ভুল কি ছিলো! দোকানদারের সাথে কোনো কথা না বলেই, কিছু না ভেবেই - মহারাজ কেন এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবলেন! রাজা আর মন্ত্রী ভ্রমণ করার পরে রাজমহলে ফিরে যান। কিন্তু, মন্ত্রীর সারারাত ঘুম আসেনি। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে মন্ত্রী এক সাধারণ প্রজার রূপ ধারণ করে সেই দোকানদারের কাছে যান এবং তাকে জিজ্ঞাসা করেন তুমি কি বিক্রি করো? দোকানদার উত্তর দেয় যে, সে চন্দন কাঠ বিক্রি করে। তারপর মন্ত্রী আশেপাশের লোকেদের কাছে দোকানদারের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। সবাই উত্তর দেয় - ওই দোকানদার কাউকে কিছু বলে না, সবসময় দুঃখী থাকে। মন্ত্রী সব বুঝতে পারেন তখন মন্ত্রী পুনরায় দোকানদারের কাছে যান আর ওই দোকানদারকে জিজ্ঞাসা করেন, তুমি সবসময় দুঃখিত থাকো কেন?
দোকানদার বলেন আমি দুঃখী এই কারণে থাকি কেননা, আমার দোকানে মানুষ আসে আর চন্দনের গন্ধ শুকে বলে খুবই সুন্দর গন্ধ, খুব সুন্দর গন্ধ। কিন্তু, কেউ তা কেনে না। এই কারণে আমি সবসময় খুব দুঃখিত থাকি। মন্ত্রীও তখন দোকানদারের কথা শুনে খুবই দুঃখিত হন এবং ভাবেন যে, যেকোনো দোকানদারই দুঃখী হবে যদি তার দোকান থেকে কেউ জিনিস না কেনে। অথচ যেখানে জিনিসের মধ্যেও কোনো খামতি নেই। মন্ত্রী ভাবতে থাকেন যে, এই দোকানদার তার দুক্ষের কারণে সবসময় দুঃখী থাকেন। কিন্তু, রাজা কেন তাকে ফাঁসিতে ঝুলাতে চায় অর্থাৎ রাজার মনে আসা বিচারের উত্তর এখনও অবধি মন্ত্রী পায়নি। মন্ত্রী পুনরায় দোকানদারকে জিজ্ঞাসা করেন, ভাই তখন তুমি কি করবে যদি তোমার দোকানের সমস্ত চন্দন কাঠ এরকম ভাবেই থেকে যায়। দোকানদার রেগে গিয়ে বললেন- হ্যাঁ আমি জানি আমার চন্দন কাঠ এরকম ভাবেই থেকে যাবে এগুলো কেউ কিনবে না। এই কারণেই তো আমি ভাবি যে আমাদের দেশের রাজা খুব তাড়াতাড়ি মরে যাক। আর যদি সে তাড়াতাড়ি মারা যায় তাহলে আমি ওই রাজ দরবারে রাজার অন্তিম সংস্কারের জন্য আমার চন্দন কাঠ দিয়ে দেবো আর তার কারণে আমি কিছু টাকা পয়সাও পাবো। আর এই বাজার ছাড়া বাকি লোকেরাও আমার চন্দনকাঠের ব্যাপারে জানতে পারত তখন হয়তো কিছু না কিছু মানুষ আমার দোকান থেকে চন্দন কাঠ কিনতে অবশ্যই আসতো। মন্ত্রী দোকানদারের কথা শুনে সবকিছু বুঝতে পারলেন। কিন্তু মন্ত্রী খুবই চতুর এবং বুদ্ধিমানও ছিলেন তার মনে এক বিচার আসলো; মন্ত্রী দোকানদারের কাছ থেকে কিছু চন্দন কাঠ কিনে নিলেন। এই বেঁচা-কেনার ফলে দোকানদার কিছু টাকা পয়সাও পেয়ে গেলেন ফলে সে হালকা খুশিও হল।
মন্ত্রী চন্দন কাঠ নিয়ে পুনরায় রাজদরবারে ফিরে গেলেন। রাজদরবারে পৌঁছে মন্ত্রী ওই চন্দন কাঠ গুলিকে রাজার সামনে রেখে দিলেন আর বললেন - হে মহারাজ, এই চন্দন কাঠ সেই দোকানদার আপনাকে উপহার পাঠিয়েছে। যে দোকানদারকে আপনি কাল ফাঁসি দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। রাজা ওই চন্দন কাঠ গুলির গন্ধ শুকলেন এবং তার সেই গন্ধ খুবই ভালো লাগলো। তিনি বললেন - এই চন্দন কাঠ খুবই বেশি সুগন্ধি। দোকানদারের এই সুন্দর উপহারে রাজা খুব খুশি হলেন ; আর মন্ত্রী কে কিছু স্বর্ণমুদ্র দিয়ে বললেন - যাও ওই দোকানদারকে এই স্বর্ণমুদ্রা ইনাম দিয়ে আসো। আর বলবে আজকের পর রাজমহলে কখনো চন্দনকাঠের দরকার হলে তখন তার দোকান থেকেই চন্দন কাঠ নেওয়া হবে। এই কথা শুনে মন্ত্রী হাসেন আর ভাবেন যে এখন তো রাজার মনে ওই দোকানদার কে ফাঁসি দেওয়া সিদ্ধান্ত আসতেই পারবে না। কেননা এখন থেকে সবসময় রাজদরবারে চন্দনকাঠ জোগাড়ের দায়িত্ব ওই দোকানদার কে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রীর স্বর্ণমুদ্রা গুলিকে নিয়ে পুনরায় ওই দোকানদারের কাছে যান। এখানে রাজা এই বিচারে পড়ে যায় যে ওই দোকানদার তো খুবই ভালো মানুষ। যে সময় আমি তার ব্যাপারে ভাবছিলাম যে আমি কালকে তাকে ফাঁসি দেবো, তখন হয়তো তার মানে এই বিচার এসেছিল যে রাজা প্রথমবার আমার দোকানের সামনে এসেছেন কেননা আমি তাকে সুন্দর সুগন্ধি চন্দন কাঠ গুলিকে উপহার দেই। আর আজ সে সেগুলি উপহারও পাঠায়, শুধু শুধু আমি তাকে ফাঁসি দেওয়ার কথা ভেবেছিলাম। আর ওখানে মন্ত্রী দোকানদারের কাছে পৌঁছে যায় আর মন্ত্রী রাজার দেওয়া স্বর্ণমুদ্রা দোকানদারকে দিয়ে বলেন যে, যেই চন্দন কাঠ গুলিকে আমি কাল কিনে নিয়ে গেছিলাম ওই চন্দন কাঠ গুলিকে রাজা খুব পছন্দ করেছেন আর ইনাম হিসেবে তোমার জন্য এই স্বর্ণমুদ্রা পাঠিয়েছেন। এই কথা শুনে দোকানদার খুবই খুশি হলেন এবং সাথে সাথে মন্ত্রীর ওই দোকানদারকে এও বলেন যে, আজকের পর থেকে রাজদরবারে যদি কখনো চন্দনকাঠের প্রয়োজন হয় তখন সমস্ত চন্দন কাঠ তোমার দোকান থেকেই নেওয়া হবে। দোকানদার মন্ত্রীর এই কথা শুনে খুবই খুশি হন। মন্ত্রী দোকানদারের কাছে বলেন কেন ভাই তুমিতো রাজার ব্যাপারে খুবই খারাপ ভাবতে কিন্তু, দেখলে তো যে রাজামশাই তোমার কত চিন্তা করেন ! রাজা কত ভালো এবং রাজা তার প্রজাদের ব্যাপারে কখনোই খারাপ ভাবে না। দোকানদার মন্ত্রীর কথায় একমত হলেন আর খুবই দুঃখিত হন রাজার প্রতি তার খারাপ বিচার মাথায় আনার জন্য । দোকানদার মন্ত্রীকে বলেন আমি রাজার ব্যাপারে কত খারাপ ভাবতাম, রাজা তো খুবই ভালো রাজা। ভগবান করুক রাজা অনেকদিন বেঁচে থাকুক। এই কথা শুনে মন্ত্রী ও খুব খুশি হলেন, তারপর মন্ত্রী সেখান থেকে পুনরায় রাজদরবারে চলে গেলেন আর এখানেই গৌতম বুদ্ধ এই গল্প শেষ করেন এবং তার শিষ্যদের কে জিজ্ঞাসা করেন - এবার তোমরাই বলো যে, কর্ম কি?
তখন কোনো এক শিষ্য বলেন কর্ম হল শুধু মাত্র বলা একটি শব্দ, আবার কোনো শিষ্য বললেন - কর্ম হল এক বাণী, কেউ বললেন - কর্ম হলো চিন্তা। আবার কেউ বললেন - কর্ম হল ভাবনা ইত্যাদি ইত্যাদি।
তার সমস্ত শিষ্যদের উত্তর শোনার পর মহাত্মা গৌতম বুদ্ধ বলেন - মানুষের বিচারই তার কর্ম। আমাদের বিচার যেমন হবে - আমরা কর্মও তেমনই করবো। আর সেই বিচারের দ্বারা করা কর্ম আমাদের সুখ ও দুঃখের কারণ। অর্থাৎ আমাদের বিচার যদি ভুল হয় তাহলে আমাদের দ্বারা করা কর্মও ভুল হবে আর তার পরিণামও খারাপই হবে। যার পরিণাম স্বরূপ আমরা দুঃখী থাকবো। আর যদি আমাদের বিচার সঠিক হয় তাহলে আমাদের কর্মও সঠিক হবে । আর যদি আমরা সঠিক কর্ম করি তাহলে ভালো ফল পাবো - যার কারণে আমাদের জীবনে সুখ আসবে।
বন্ধুরা যদি আপনারা কর্মের ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আপনাদের সবাইকে, সদ্গুরু জাগি বাসুদেব এর লেখা একটি বই অবশ্যই পড়া উচিত যার নাম হল - " Karma by Sadguru "। এই বইয়ে সদগুরু কর্ম এবং তার ফলে আমাদের জীবনে পরা প্রভাব এর ব্যাপারে খুব ভালো করে বুঝিয়েছেন। তার সাথে তিনি কর্মের ব্যাপারে বছর বছর ধরে চলে আসা কিছু ভুল ধারনাও ভেঙেছেন। এই বইটি আপনাকে কর্মের ব্যাপারে এক নতুন দৃশ্য প্রদান করবে এই কারণে আপনাদের এই বইটি অবশ্যই একবার পড়া উচিত।
বন্ধুরা আমরা কর্মকে খুবই সহজ ভাষায় বোঝার চেষ্টা করব। কর্মের অর্থ হল - কাজ। এই দুনিয়াতে, এই ব্রহ্মান্ডে যা কিছু কাজ হচ্ছে তা সবই হলো এক ধরনের কর্ম। আসলে দেখা যায় যে কর্ম ক্রিয়া এবং প্রতিক্রিয়া সাধারণ সিদ্ধান্তকে অনুসরণ করে। আমরা যা কিছু কাজ করি তাহলো এক ধরনের কর্ম। আর তারপর ক্রিয়া এবং প্রতিক্রিয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে সমস্ত কর্মের এক পরিনাম রয়েছে। যেমন কাচের গ্লাস ছোড়া এক ধরনের কর্ম। আর সেটি ভেঙে যাওয়া তার পরিণাম। অত্যধিক বৃষ্টি হওয়া একটি কর্ম , এর ফলে বন্যা হওয়া তার পরিণাম। আসলে পরিনাম আমাদের ভালো হবে না খারাপ তা সম্পূর্ণ আমাদের কর্মের উপর নির্ভর করে। বেশিরভাগ মানুষ ভাবেন যে ওপরে আকাশে কেউ বসে আছে যে নির্ণয় করে কার জীবনে সুখ দিতে হবে এবং কার জীবনে দুঃখ। আসলে আমাদের দ্বারা করা কর্মের ফলে পাওয়া পরিনাম আমাদের সুখ ও দুঃখ কে নির্ধারিত করে। এই কারণে আমাদের ভারতীয় পরম্পরায় বলা হয়েছে যে আপনি স্বয়ং আপনার ভাগ্যের নির্মাতা। আসলে কর্মের পরিণাম হল ভাগ্য। আর আমাদের কেমন কর্ম করা উচিত এটা পুরোপুরি নির্ভর করে আমাদের ওপর। সুতরাং যখন কেউ ভালো কর্ম করে তখন তার ভাগ্যও ভালো হয়ে থাকে।
যেমন দুটো বাচ্চা আছে তাদের মধ্যে একটি বাচ্চা ছোট থেকেই নতুন জিনিস শেখা এবং জানার চেষ্টা করে। আর সে সর্বদা যা করে তাতে নিজের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করে।
আর যে দ্বিতীয় বাচ্চাটি রয়েছে সে কোনো নতুন কিছু শেখা বা কিছু জানার চেষ্টা করে না। আর না কোনো কাজ পুরো মন থেকে করে। সুতরাং সময় যাওয়ার সাথে সাথে ওই প্রথম বাচ্চাটি তার জীবনে খুবই সফল ব্যক্তি হয়ে ওঠে, যেখানে দ্বিতীয় বাচ্চাটি অনেক বছর পরেও তার নিজের জীবনে সংঘর্ষ করতে থাকে। এখন ওই প্রথম বাচ্চাটিকে দেখে দ্বিতীয় ব্যাক্তিটি খুবই সহজে বলে দেবে যে তার ভাগ্য ভালো ছিল। কিন্তু, না ! আসলে তার কর্ম ভালো ছিল যার পরিণামে তার ভাগ্য ভালো হয়েছে।
সুতরাং যদি আমরা চাই তাহলে আমাদের কর্ম পরিবর্তন করে আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারব। সহজ কথা হল যেদিন থেকে আপনার কর্ম পরিবর্তন হবে আপনার ভাগ্যও পরিবর্তন হতে থাকবে। আর এই দুটোই পরিস্থিতিতে সহজ হয়, ভালোর জন্যও আর খারাপের জন্যও। কিন্তু আসলে কোন মানুষ কেমন কর্ম করবে তা প্রধানত নির্ভর করে তার মাতা পিতা, পরিবার, সমাজ ও আশেপাশের পরিবেশের উপর। বেশিরভাগ ঘটনাতেই এক অভিনেতার সন্তান অভিনেতা হওয়ারই চেষ্টা করে, ইঞ্জিনিয়ার এর সন্তান ইঞ্জিনিয়ার এবং ডাক্তার এর সন্তান ডাক্তার হওয়ার চেষ্টা করে। এর কারণ হলো আমাদের শরীর ও মন আশপাশ থেকেই ভাবনাচিন্তা শুরু করে। আর আমরা আমাদের ভেতরে উপস্থিত ভাবনাচিন্তা এবং জ্ঞানের উপর নির্ভর করেই কোনো কাজ করি। আর তারপরে আমাদের সেই অনুযায়ী পরিনাম পেতে হয়। আসলে আমরা আমাদের প্রতিদিনের কাজের 99% অবচেতন অবস্থায় করে থাকি। কারণ আমাদের সরিল মন প্রাপ্ত ভাবনাচিন্তা কে মনে রাখে, আর তারপর সেগুলিকে ভাবতে থাকে। যেমন আমরা যখন গাড়ি চালানো শিখি তখন আমরা একদম সজ্ঞানে থেকে সমস্ত জিনিসের উপর নজর রাখি যে, স্টিয়ারিং কোথায় আছে ব্রেক কোথায় আছে কিন্তু, কিছু সময় পরে আমরা কথা বলতে বলতে বা কিছু ভাবতে ভাবতে খুবই সহজে গাড়ি চালাতে পারি। কেননা তখন আমাদের মধ্যে গাড়ি চালানো প্রবণতা তৈরি হয়ে যায়। আমরা সাধারনত আমাদের বেশিরভাগ কাজই এইভাবে করে থাকি।এই কারণে আমাদের মনে হয় যে আমাদের কেউ চালাচ্ছে বা আমরা কোনো আদর্শ শক্তি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছি। যেখানে আসলে আমাদের কর্মই আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
যেমন ওপরের গল্পে গৌতম বুদ্ধ বলেছিলেন যে, আমাদের বিচারই আমাদের কর্ম। বিচারের নিয়ন্ত্রণের ফলে আমরা কর্মকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। আর যখন আমাদের কর্ম আমাদের বিচারের হিসাবেই হবে তখন তার পরিণামও সেই অনুযায়ী হবে। এই কারণে গৌতম বুদ্ধ - চিত্তের নিয়ন্ত্রণের ওপর জোর দিয়েছেন। যখন কারো চিত্তই শুদ্ধ হয়ে যাবে তখন তার মনে খারাপ বিচারও আসবেনা। আর সে খারাপ কর্মও করবে না। এই কারণে গৌতম বুদ্ধের সমস্ত জ্ঞান চিত্তের শুদ্ধির উপরেই বেশি পরিমাণে জোর দেয়।
আশাকরি বন্ধুরা লেখাটি পড়ে আপনারা সমৃদ্ধ হয়েছেন। ভালো লাগলে আপনজনের উদ্দেশ্যে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। নমস্কার, ধন্যবাদ। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।
আরো পড়ুনঃ- 5 টি এমন জিনিস - যা মৃত্যুর পরেও থেকে যায় মানুষের সাথে | গরুড় পুরান CLICK HERE
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।
If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.
( Please don't enter any spam link in the comment box.)
Thank You very much.
অমৃত কথা