নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম। ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয়বস্তু।
বন্ধুরা আজকে আমাদের লেখার প্রধান বিষয়বস্তু হল আমাদের ধর্মগ্রন্থ রামায়ণ। যা লিখেছিলেন - বাল্মিকী। বন্ধুরা ভারত ও ধর্মের মধ্যে জন্ম-জন্মান্তরের সম্পর্ক রয়েছে। ধর্মগ্রন্থ সবসময়ই আমাদের জীবনে সঠিক পথে চলার প্রধান ভিত্তি হয়ে রয়েছে। ঠিক সেরকমই রামায়ণের মাহাত্ম্যোও আমরা সকলেই জানি। বন্ধুরা আজকে আপনারা এই বিশেষ লেখার মাধ্যমে জানতে পারবেন - রামায়ণ থেকে আমারা কি শিক্ষা পাই?
প্রথম শিক্ষা - (অসৎ সঙ্গের পরিণাম)
' কৈকেয়ী '- শ্রীরাম কে নিজের পুত্র ভরতের থেকে অধিক ভালোবাসতেন। কিন্তু, হঠাৎ করে কি এমন হলো যে কারণে কৈকেয়ীর মনে ভগবান রামের জন্য ঈর্ষার ভাবনা জন্ম নেয়।এটা কেবল দাসী মন্থরার সংগতি প্রভাব ছিল। এ থেকে আমরা এটা শিক্ষা পাই যে, আমাদের জীবনে সবসময় ভালো সঙ্গতি বেছে নেওয়া উচিত।
দ্বিতীয় শিক্ষা - (সেবা ভাব)
সেবা ভাব একটি মহত্বপূর্ণ শিক্ষা, যা আমাদের ভগবান রামের থেকে শেখা উচিত। সিংহাসনের লোভ নেই বরং নিজের পিতার প্রতি সেবা ভাবছিল তার। যে কারণেই তিনি অযোধ্যার রাজা হয়েছিলেন। শ্রীরাম বিনা কোন প্রশ্ন করেই নিজের পিতার ইচ্ছা অনুযায়ী বনবাস এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। বন্ধুরা আমাদেরকেও আমাদের স্বভাবে সেবা ভাব আনা উচিত। মাতা পিতার প্রসন্নতার মধ্যেই রয়েছে আমাদের প্রসন্নতা।
তৃতীয় শিক্ষা - (ভগবানের প্রতি সমর্পণ)
রাম অথবা আরাম, একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বা শিক্ষা। যখন সকল অযোধ্যা বাসী এক আরামের জীবন ত্যাগ করে শ্রীরামের সঙ্গে বনবাসে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। অযোধ্যা নিবাসীদের কাছ থেকে আমারা ভগবানের প্রতি সমর্পণের শিক্ষা পাই। যদি ভগবান আমাদের সঙ্গে থাকে তাহলে সংসারের কেউ আমাদের হানি ঘটাতে পারবে না।
চতুর্থ শিক্ষা - (ভক্তির মার্গে অলসতা)
এটা সত্য যে ভগবান রাম অযোধ্যা বাসীদের জন্য আধ্যাত্মিক প্রিয় ছিল। এইজন্য ভগবান রাম সেই সময় বনবাসে গিয়েছিলেন যখন সবাই ঘুমিয়ে ছিল। এইজন্য বন্ধুরা আপনারাও দেখেছেন হয়তো এই কথাটি কাউকে বলতে যে, অলসতা দিয়ে ভগবান পাওয়া সম্ভব নয়। ববং আমাদের ভগবানকে পাওয়ার জন্য তপস্যা করতে হয়।
পঞ্চম শিক্ষা - (ভগবানের প্রসন্নতা সর্বোচ্চ)
বন্ধুরা আপনি কি জানেন ভরতের জন্য শাসন করার থেকে অধিক সহজ ছিল শ্রী রামের সঙ্গে বনবাসে যাওয়া। কিন্তু, তখন ভরত শাসন করাকে বেছে নেয় শুধুমাত্র শ্রী রামের প্রসন্নতার কারণে। এইজন্য এটা থেকে আমরা এই শিক্ষা পাই যে আমাদেরকে আমাদের প্রসন্নতা নয় বরং ভগবানের দেখানো পথ অনুযায়ী চলা উচিত, এর ফলে ভগবানও প্রসন্ন হয় এবং আমরাও সুখে থাকতে পারি। ভগবানকে প্রসন্ন করাই মোক্ষ লাভের অন্যতম উপায়।
তো বন্ধুরা আশাকরি রামায়ন থেকে কি শিক্ষা লাভ করা যায় এই সম্পর্কিত লেখাটি আপনাদের ভালো লেগেছে। যদি লেখাটি পড়ে সমৃদ্ধ হন তাহলে আপনজনের উদ্দেশ্যে অবশ্যই শেয়ার করবেন। আজ এখানেই শেষ করলাম। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। নমস্কার, ধন্যবাদ।। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।
আরো পড়ুন - তারাপীঠের কালীমন্দিরের অলৌকিক রহস্য ! CLICK HERE
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।
If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.
( Please don't enter any spam link in the comment box.)
Thank You very much.
অমৃত কথা