নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম। ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয়বস্তু।
রাখি বন্ধন অর্থাৎ সেই উৎসব যার জন্য সকল বোনেরা অপেক্ষা করে থাকে। আর অপেক্ষা কেনইবা করবে না, রাখি বন্ধনের দিনেই তো সকল ভাইয়েরা তার বোনের সম্মান রক্ষার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। শুধু তাই নয় সফল ভাইয়েরা তাদের বোনদের স্নেহ করে এবং তাদের সুন্দর সুন্দর উপহার দেয়। এমত অবস্থায় যখন ভাই আপনার জন্য এতটা করছে আপনাকে সুন্দর উপহার দিচ্ছে, আপনাকে রক্ষা করার জন্য বচন দিচ্ছে, আপনার প্রতি স্নেহ দেখাচ্ছে ; তাহলে আপনারও তো কিছু কর্তব্য থাকে। যেমন রাখির থালাটিকে সুন্দর করে সাজানো, সকল ক্রিয়া উপাচার গুলি সঠিকভাবে করা ইত্যাদি। আর এমন ভাবেই পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করুন যাতে আপনার ভাইয়ের সৌভাগ্য দ্বিগুণ হয়ে যায়। এই কারণেই সকল বোনেদের উদ্দেশ্যে আজকের এই বিশেষ লেখাটি। যার মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানাবো যে রাখির খেলাটিকে কিভাবে সাজাতে হবে।
বন্ধুরা প্রথমেই বলি রাখি বন্ধন একটি পবিত্র উৎসব। এই উৎসব ভাই ও বোনের মধ্যে সুসম্পর্কের ভিত্তি বজায় রাখে। সেই কারণেই রাখির এই থালাটিকে খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে পুরো প্রক্রিয়াটিকে সম্পন্ন করা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বন্ধুরা রাখির থালাতে মূলত ৭ টি জিনিস রাখতে হয়। চলুন বন্ধুরা জেনে নেওয়া যাক সেই সাতটি জিনিস সম্পর্কে।
কুমকুম - বলা হয়ে থাকে কুমকুম হল মান সম্মান এর প্রতীক। যখন আপনি রাখি পড়ানোর পূর্বে নিজের ভাইয়ের মাথায় কুমকুমের ফোটা দেন, তাহলে এর অর্থ হলো আপনি তাকে মান-সম্মান প্রদান করছেন। এরই সাথে আপনাদের ভাই ও বোনের মধ্যে মান সম্মানের জায়গাটি দৃঢ় হয়। কোথাও না কোথাও এর ফলে বোনের ভাইয়ের প্রতি এমনটা প্রার্থনা করাও এসে দাঁড়ায় যে তার ভাইয়ের মান-সম্মান এই সমাজে যেন সবসময় বজায় থাকে। কুমকুম এর সাথে সাথে আপনি চাইলে রাখির থালায় কিছু চালও রাখতে পারেন। বন্ধুরা এই চাল কুমকুম দিয়ে ফোটা দেওয়ার পর তার ওপর আপনি ব্যবহার করতে পারেন। চাল হলো শুক্র গ্রহের প্রতীক। আর বন্ধুরা শুক্র হল সেই গ্রহ যার প্রভাবে আমাদের জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ বজায় থাকে।
বন্ধুরা এরপর আপনাদের যে বিষয়টি কথা বলবো সেটি হল প্রধান, রাখি বা রক্ষা সূত্র। রাখি বাধার ফলে আপনি এটা কামনা করেন যে, ওই রাখিটি বা রক্ষা সূত্রটি আপনার ভাইকে যেন সর্বদা রক্ষা করে সকল বিপদ আপদ থেকে। এরই সাথে ভাইও আপনাকে সকল বিপদ থেকে রক্ষা করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়।
বন্ধুরা এরপর চতুর যে বিষয়টির কথা বলবো তা হলো মিষ্টি। বন্ধুরা কিছু পরিমাণ মিষ্টি আপনার রাখির থালায় অবশ্যই হওয়া উচিত। রাখি বাঁধার পরে মিষ্টিমুখ করিয়ে আপনি আপনাদের ভাই বোনের মাঝের তিক্ত সম্পর্ককে দূর করে নতুন সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন। এরই সাথে বন্ধুরা কথায় আছে শুভ কাজে মিষ্টিমুখ করা উচিত। এই কারণেই সামান্য পরিমাণ মিষ্টি আপনার রাখির থালায় অবশ্যই হওয়া উচিত।
বন্ধুরা এরপরে পঞ্চম যে জিনিসটির কথা বলব সেটি হল প্রদীপ। এই প্রদীপ জ্বালিয়ে ভাইয়ের আরতী করা হয়। এরফলে ভাইয়ের আশেপাশে যে সমস্ত নেগেটিভ এনার্জি থাকে সেই সবকিছুর বিনাশ ঘটে। বলা হয়ে থাকে যখন আপনি প্রদীপ জ্বালান তখন সেই প্রদীপের অগ্নিশিখা ফলে আপনার ভাইয়ের সকল সমস্যা সমাধান হয়। আর ওই অগ্নিশিখা আপনার ভাইকে পজিটিভ এনার্জি এনে দেয়।
বন্ধুরা, এরপর যে জিনিসটির কথা বলবো তা হলো একটি ছোট পাত্র, হতে পারে সেটি একটি ছোট কলস বা ঘটি। সেখানে আপনি সামান্য পরিমাণ গঙ্গাজল রাখুন আর ওই গঙ্গাজল দিয়েই আপনি ওই কুমকুমটি তৈরি করুন।
বন্ধুরা সবশেষে যে বিষয়টির কথা বলব সেটি বাধ্যতামূলক নয়, আপনি চাইলে রাখতে পারেন আবার নাও রাখতে পারেন। বন্ধুরা আপনার রাখির ঠেলায় পারলে একটি শ্রীফল অর্থাৎ নারকেল রাখার চেষ্টা করবেন। বন্ধুরা নারকেল কে শ্রীফল বলা হয় কারণ নারকেল লক্ষ্মীর প্রতীক। আপনি যদি আপনার রাখির থালায় নারকেল রাখেন এবং কুমকুম এর ফোটা দেওয়ার পর আপনার ভাইকে আশীর্বাদ হিসেবে নারকেল দেন তাহলে আপনার ভাইয়ের জীবনে কখনো লক্ষ্মীর অভাব দেখা দেবে না।
তো বন্ধুরা এই ছিল রাখির থালা সাজানোর সম্পূর্ণ তথ্য। আশাকরি লেখাটি পড়ে আপনি সমৃদ্ধ হয়েছেন। ভালো লাগলে আপনজনের উদ্দেশ্যে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন । নমস্কার, ধন্যবাদ । ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।
আরো পড়ুন:- ২০২২ জন্মাষ্টমীর শুভ সময়সূচী? CLICK HERE
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।
If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.
( Please don't enter any spam link in the comment box.)
Thank You very much.
অমৃত কথা