Breaking

Search Content

Follow Us

বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

এই 2 ধরনের মানুষের ভাগ্য কখনোই বদলায় না || আপনিও কি এর মধ্যে একজন? || Lord Krishna

 


নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম। ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয়বস্তু। 


বন্ধুরা আমাদের জীবনে যা কিছু ভালো এবং খারাপ হয়ে থাকে, তাকে আমরা ভাগ্য বলে থাকি। জীবনে কোনো ভালো অথবা খারাপ ঘটনার জন্য সবসময় মানুষেরা গ্রহ নক্ষত্রকে দোষ দিয়ে থাকে। কিন্তু বন্ধুরা, আপনি কি জানেন - শুধুমাত্র গ্রহ নয়, জীবনে কিছু ভালো অথবা খারাপের পিছনে আমাদের কর্মেরও হাত থাকে। বন্ধুরা, আজকের এই বিশেষ লেখাটির মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো - কোন কোন মানুষের ভাগ্য সবসময় খারাপ থাকে? 


বন্ধুরা, শ্রীমদ্ভগবদগীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলেন - এই প্রকৃতি সকল জীবের রচনা করেছে। এর সাথে পরিশ্রমের মাধ্যমে পেট ভরার ব্যবস্থাও করেছে। আর বন্ধুরা সংসারের সকল জীবের মধ্যে শুধুমাত্র মনুষ্য জাতি একমাত্র এমন রয়েছে যারা মুদ্রার আবিষ্কার করেছে। এরই সাথে মানুষেরাই এই মুদ্রা কে কামানো শিখেছে। কিন্তু, আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে মানুষ এতটা করার পরেও নিজের পেট ভরতে অক্ষম। এর সবথেকে বড় এবং আসল কারণ হচ্ছে - লোভ। এই সংসারে যে কোন জীবই হোক না কেন, হতে পারে সেটা মাংসাশী কিংবা হতে পারে সেটা শাকাহারি, সে ততোটাই শিকার করে যার মাধ্যমে সে জীবিত থাকতে পারবে। সেই সমস্ত জীবেরা কিছু জমিয়ে রাখে না। কিন্তু, মানুষরা জমিয়ে রাখে। যার পরিণাম স্বরূপ সে নাতো নিজের মনের ভোগ মেটাতে পারে, আর না তো নিজের পেটের ভোগ মেটাতে পারে। আর যদি কিছু অর্জিত করতে হয় তাহলে সেটি হল - শুভকাম ও নাম-যশ। না হলে এই দুনিয়া থেকে ক্ষুধার্ত পেটেই যেতে হবে। শ্রীকৃষ্ণ আরো বললেন যে, অনেক কিছুই রয়েছে যা মানুষের ভাগ্যকে খারাপ করে। তাদের মধ্যে একটি হচ্ছে - সংগতি।


সংগতি - সঙ্গতি এমন একটি জিনিস যা মানুষের ভাগ্যকে ঠিকও করতে পারে, আবার ভুলও করতে পারে। যদি ভালো সংগতি হয় তাহলে মানুষের তাহলে মানুষের ভাগ্য মঙ্গল জনক হয়। আর সংগতি যদি খারাপ হয় তাহলে মানুষের ভাগ্য হয় খুবই খারাপ। এছাড়া খারাপ সংগতির ফলে আপনার মধ্যে নেগেটিভ এনার্জি বৃদ্ধি পেতে থাকবে। শ্রীকৃষ্ণ অনুসারে ব্যক্তির ভাগ্য শুধুমাত্র তার উপর নির্ভর করে না। বরং তার জীবনে থাকা প্রত্যেকটি লোকের প্রভাব তার ভাগ্যের উপর পরে। সেটা যে কোনো মানুষই হোক না কেন। সকলেই আপনার ভাগ্যের উপর প্রভাব ফেলে। একজন মানুষের ভাগ্যের উপর সবথেকে বড় প্রভাব ফেলে তার পতি কিমবা পত্নী। শ্রীকৃষ্ণ অনুযায়ী এরা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত থাকে। এই কারণে প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিজের সংগতির খেয়াল রাখা উচিত। খারাপ সংগতির প্রভাবে ভাগ্য উল্টো হতে পারে। খারাপ সংগতির সাথে সাথে নেগেটিভ চিন্তাভাবনাও খারাপ ভাগ্য ডেকে আনতে পারে।


 শ্রীকৃষ্ণ বলেন, মানুষ নিজের জীবনে যেমন বিচার রাখে তার ফলে সব দিক থেকে তার সঙ্গে সেরকমই হয়। যদি কোনো মানুষ নেগেটিভ চিন্তাভাবনা প্রবন হয় তাহলে নেগেটিভ বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত সকল কিছুই তার সঙ্গে হবে। যেমন - সেই মানুষটির বন্ধু-বান্ধবেরাও তার মতনই নেগেটিভ চিন্তাভাবনা প্রবন হবে এবং তার জীবন নেগেটিভ বিষয়ে ভরে যাবে। যার ফলে সবকিছু ঠিক থাকা সত্ত্বেও সব কাজ বিগড়ে যাবে। আর শেষমেষ অসফলতাই মিলবে। আবার শাস্ত্রতে এমনটা মান্যতা রয়েছে যদি কোনো মানুষ রোজ তুলসী মন্দিরে প্রদীপ জ্বালায় তাহলে তার জীবন থেকে সকল নেগেটিভ এনার্জি দূর হয়।


বন্ধুরা শ্রীকৃষ্ণ বলেন, কাউকে ধোকা দেওয়া কিংবা তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা - আপনার ভাগ্যকে খুব খারাপ করে দিতে পারে। যদি কোনো ব্যাক্তি নিজের স্বার্থের জন্য কাউকে ধোকা দেয় কিংবা কারো অধিকার ছিনিয়ে নেয় অথবা কারো বিনা কারণে ক্ষতি করে তাহলে তার ভাগ্য সবসময় খারাপই থাকে। বলা হয়ে থাকে, শনির সারেসাতি লোকেদের খারাপ পরিনাম এনে দেয়। কিন্তু বন্ধুরা, সত্যটি হলো - সারেসাতি ব্যাক্তির কর্ম অনুযায়ী ফল প্রদান করে। একজন মানুষ যতটা পরিমাণে কাউকে ধোকা দেয় তার চেয়ে বেশি পরিমাণে অর্থিক লোকসান তার নিজেরই হয় অন্যান্য দিক থেকে। এরই সাথে কখনো কখনো মানষিক রোগের সমস্যাও হতে পারে।


শ্রীকৃষ্ণ মহাভারতের কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ ভূমিতে বলেছিলেন, যখন কোনো মানুষের ভাগ্য সাত না দেয় তখন কি করা উচিত! তিনি বলেন, আমাদের কর্ম নির্ধারণ করে যে আমাদের ভবিষ্যৎ কেমন হবে। কিন্তু, যদি তা সত্ত্বেও আমাদের সঙ্গে না চাওয়া খারাপ ব্যবহার হয় তাহলে আমাদের তাতেও চিন্তা করার কোনো প্রয়োজন নেই। কারন চিন্তা কোনো জিনিসের সমাধান নয়। এর বদলে আমারা চেষ্টা করতে পারি যে, জিবনের বিপরীত ব্যবস্থা জিতে নেওয়ার। কিছু মানুষ জীবনে একটু বিপরীত ব্যবস্থা আসতেই‌ ভয় পেয়ে যান। আর তখন তার ঈশ্বরের উপর থেকে বিশ্বাস উঠে যায়। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে কখনো ঈশ্বরের উপর থেকে বিশ্বাস ওঠানো উচিত নয়। যদি আপনি ঈশ্বরের বিশ্বাসী হন তাহলে আপনার চিন্তার কোনো কারণই নেই। কারণ বিধাতা সকল সমস্যার সমাধান ওই সমস্যার সঙ্গেই পাঠিয়েছেন। এই কারণে বিপরীত পরিচিতি সবসময় সংযম ও মেহনতের আবশ্যকতা রয়েছে। অন্যথায় ঈশ্বরই সবকিছুর সমাধান করে দেবেন। 


তো বন্ধুরা, আজকের লেখাটি এই পর্যন্তই। আশাকরি বন্ধুরা লেখাটি পড়ে আপনারা সমৃদ্ধ হয়েছেন। ভালো লাগলে আপন জনের উদ্দেশ্যে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। নমস্কার, ধন্যবাদ। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।


আরো পড়ুন:- ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অনুসারে, কখন আমাদের আর চুপ করে থাকা উচিত নয়? || Lord Krishna: When We Must Speak?      CLICK HERE

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।

If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.

( Please don't enter any spam link in the comment box.)

Thank You very much.

অমৃত কথা