Breaking

Search Content

Follow Us

বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২

এই 5 টি ভুল করলে বৃদ্ধি পাবে - নেগেটিভ শক্তি || 5 Mistakes That Bring Ghost into The House



নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম। ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয়বস্তু। 


বন্ধুরা বহু মানুষের মনে এমনটা সন্দেহ যে সত্যিই কি ভূত প্রেত হয়ে থাকে; নাকি এটা শুধুমাত্র একটি মনের ভুল মাত্র। বর্তমানে আজকালকার আধুনিক যুগে খুব কম মানুষই ভূত প্রেতে বিশ্বাসী। কিন্তু কখনো কখনো কিছু এমন জিনিস ঘটে যখন আমাদের বিশ্বাস হয়ে যায় যে ভূত-প্রেত হয়তো সত্যিই আছে। তো চলুন বন্ধুরা, এখন আপনাকে জানাবো যে, কি এমন ভুল বা ত্রুটি রয়েছে যা করলে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব বৃদ্ধি পায় এবং আপনার গৃহের সুখময় পরিবেশ নষ্ট হয়।


বন্ধুরা বর্তমান সময়তে মানুষরা মনে করে ভূত প্রেত কিংবা কোন নেগেটিভ শক্তি এই সবকিছু হল কাল্পনিক কথা। কিন্তু বন্ধুরা তাদের উদ্দেশ্যে বলি তারা একেবারেই ভুল। কেননা পুরাণে বলা হয়েছে যদি কোন ভালো শক্তি থেকে থাকে তাহলে খারাপ শক্তিও আছে। যদি কোন শুভ শক্তি থেকে থাকে তাহলে অশুভ শক্তিকে অনুভব করা অবশ্যই যাবে। বন্ধুরা বিশেষত অকাল মৃত্যুতে যে সকল মানুষরা মারা যান তাদের আত্মার মুক্তি মেলেনা, তাদের আত্মাই ভূত-প্রেত রূপ ধারণ করে। তো বন্ধুরা এক্ষেত্রে আমরা জানতে পারি এমন পাঁচটি ভুল বা ত্রুটি সম্পর্কে জানতে পারি যেগুলি করার ফলে ভূত প্রেত বা নেগেটিভ শক্তি আপনার ওপর হাবী হতে পারে।


তো চলুন বন্ধুরা জেনে নেওয়া যাক সেই পাঁচটি ভুল সম্পর্কে।

প্রথমত, কোখনো কোনো গাছের নিচে প্রস্রাব বা পায়খানা করা উচিত নয়। বর্তমানে মানুষ যেখানে সেখানে মূত্র বিসর্জন করে ও থুতু ফেলে। আর আপনিও যদি এমনটা করে থাকেন তাহলে অবশ্যই সাবধান। যদি কোন সময় এমনটা করতে থাকেন তাহলে আশেপাশে অবশ্যই দেখে নিন কোনো - শ্মশান কিংবা কবরস্থান আছে নাকি। যদি সেখানে কোন প্রকার শ্মশান কিংবা কবরস্থান না থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি প্রথমে সেই খালি জায়গায় গায়ত্রী মন্ত্র পাঠ করে নিন, তারপরে সেখানে মূত্র বিসর্জন করুন। এমনটা করার ফলে আপনার আশেপাশে যদি কোনো নেগেটিভ শক্তি থেকে থাকে তাহলে তা দূরে থাকবে। বেশিরভাগ মানুষেরা গ্রামগঞ্জে এমনটা করে থাকেন যার ফলে শহরের তুলনায় গ্রামগঞ্জে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব বেশি লক্ষ্য করা যায়।


দ্বিতীয়ত, যদি আপনি কোন প্রাচীন রাজবাড়ী কিংবা জমিদার বাড়িতে ঘুরতে গিয়ে থাকেন এবং সেখানে গিয়ে নিজের প্রিয় পরিবার পরিজনদের নাম যদি আপনি জোরে জোরে ডেকে থাকেন তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই সাবধান হয়ে যান। কেননা একই নামে বহু মানুষ হয়। আর এই বিষয়টিরই লাভ তুলে নিয়ে ভূতপ্রেত বা নেগেটিভ শক্তি তার ওপর নিজের প্রভাব বিস্তার করে। আত্মাদের মনে হয় ওই মানুষটি তাকেই ডাকছে এই কারণে আত্মারা সেই মানুষটির পিছু নিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে বাস করতে শুরু করে। ধীরে ধীরে সেই আত্মাটি আপনার ক্ষতি করতে থাকে যার প্রমাণ আপনি পরবর্তীতে পেতে থাকবেন। এই কারণেই এমনটা বলা হয় যে আপনি যদি কখনো পুরনো কোন স্থানে ঘুরতে গিয়ে থাকেন তাহলে সে ক্ষেত্রে জোরে জোরে কখনো নিজের পরিবার পরিজনের নাম ধরে ডাকবেন না।


তৃতীয়ত,  বন্ধুরা আপনি যখনই মিষ্টি কোনো খাবার খান এবং সেই খাবার খাওয়ার পর বাইরে যান তখন আপনার মুখ থেকে মিষ্টি মিষ্টি সুগন্ধ বের হয়। আর এই সুগন্ধে আমাদের আশেপাশের পরিবেশের নেগেটিভ শক্তি প্রচুর পরিমাণে আকর্ষিত হয়। এমত অবস্থায় আপনি যদি এমন কোনো নির্জন স্থান দিয়ে যান তাহলে সে ক্ষেত্রে কোনো এমন নেগেটিভ শক্তি সংকেত পেয়ে যায় যে মরার আগে মিষ্টি খেতে চেয়েছিল। সেই নেগেটিভ শক্তিটি এমন মানুষকে খোঁজে যে কোনো মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য যেমন ক্ষীর কিংবা অন্যান্য কিছু খেয়ে একা কোনো নির্জন জায়গা দিয়ে যাচ্ছে। 


চতুর্থত, বন্ধুরা এখন যেই ভুলটি সম্পর্কে আপনাদের বলতে যাচ্ছি তা মারাত্মক একটি ভুল। অধিকাংশ মানুষই এই ভুলটি করার ফলে নেগেটিভ এনার্জি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হন। বন্ধুরা বেশিরভাগ কালো শক্তি মহিলাদের উপর হাবী হয়। মহিলারা সন্ধ্যা কালে কিম্বা রাত্তিরে নিজে চুল খুলে যদি কোনো নির্জন কিংবা ফাঁকা জায়গায় যায়, তাহলে সে ক্ষেত্রে নেগেটিভ শক্তিরা সুযোগ পায় তাদের প্রভাব বিস্তার করার। বন্ধুরা মান্যতা রয়েছে ভূত-প্রেত কিংবা নেগেটিভ শক্তিদের মহিলাদের খোলা চুল খুবই আকর্ষক লাগে। এই কারণেই মহিলাদের বলা হয় যদি তারা কোন মন্দিরে যায় তাহলে অবশ্যই যেন চুল বেঁধেই যায়। এছাড়াও রাত্তিরে আয়না দেখা কিংবা সুগন্ধি কোন দ্রব্য ব্যবহার করতেও মানা করা হয়। কিন্তু বন্ধুরা এখন বেশিরভাগ মানুষই এগুলো করে থাকেন। কালের বিবর্তনে এগুলো আর কেউই এখন মানেন না। কিন্তু এই সকল নীতি নিয়মগুলি আমাদের হিন্দু ধর্ম পুরাণে উল্লেখ রয়েছে। আপনি যদি নেগেটিভ এনার্জি প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে অবশ্যই এগুলো মেনে চলুন।


পঞ্চমত, বন্ধুরা এমনটা বলা হয়ে থাকে যে রাত্তিরে ভূত-পেত ইত্যাদির কথা আলোচনা করা একদমই উচিত নয়। যে সকল মানুষ বা ব্যক্তিরা বেশিরভাগ রাত্রে ভুত প্রেত সম্পর্কিত আলোচনা করে তারা ধীরে ধীরে সেগুলি অনুভব করতে থাকেন। হিন্দু ধর্মে রাত্রিতে ধার্মিক অনুষ্ঠান করা উচিত নয়। এমনটা করা মানুষদের উপরও নেগেটিভ শক্তির ছায়া বিরাজ করে।


বন্ধুরা এই সমস্ত বিষয়গুলি ছাড়াও আপনি আপনার শরীরে হওয়া কিছু লক্ষণ দেখেও বুঝতে পারেন যে আপনার উপর কোনো অশুভ আত্মার প্রভাব রয়েছে, নাকি নেই! 


যদি চোখ লাল হয়ে থাকে এবং শরীর কিছু কিছু সময়ে নিজের নিয়ন্ত্রণে না থাকে, আর শরীরে একের বেশি মানুষের শক্তি অনুভব করে থাকেন তাহলে বুঝে নেওয়া দরকার সেই সমস্ত মানুষের মধ্যে কোনো না কোনো নেগেটিভ শক্তির প্রভাব রয়েছে। ঠিক একই বোকার ভাবে যেই মহিলারা সবসময় কষ্টে কান্না করতে থাকেন কিংবা চিৎকার করতে থাকেন, আর তাদের যদি এমনটা মনে হয় যে কেউ তাদের শরীরকে জাপটে ধরে রয়েছে তাহলে সেই ধরনের মহিলারা শাকিনী পিরাগ্রস্ত হয়ে থাকে। আজকালকার দিনে মানুষেরা এই কথাগুলি মানেন না। মানুষেরা মনে করেন যে ভূত প্রেত হয় না। কিন্তু অথর্ববেদ অনুযায়ী সংসারে দুই ধরনের শক্তি রয়েছে। শুভ শক্তি যেমন রয়েছে ঠিক অশুভ শক্তিও রয়েছে। আর এই অশুভ শক্তিরাই যখন কোন মানুষের উপর হাবি হয় তখনই তাকে ভূত-পেত বলা হয়। বন্ধুরা এই ভূত-প্রেত মূলত খালি চোখে ভৌতিক রূপে আমরা কখনো দেখি না। কিন্তু এই ভূতপ্রেত যখন কোনো মানুষকে বিরক্ত করে কিংবা তার উপর নিজের প্রভাব বিস্তার করে তখন আমরা পরোক্ষভাবে এই ভূত-প্রেতকে প্রত্যক্ষ করতে পারি ওই মানুষের মধ্যে। তখন সেই সময় আমরা সেই পীড়িত ব্যক্তিকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাই। কিন্তু সেখানেও তার চিকিৎসা মেলেনা। আর মিলবেই বা কি করে ! কারণ তার চিকিৎসার জ্ঞান তো শুধুমাত্র কোন সিদ্ধ তান্ত্রিকের কাছেই রয়েছে।


বন্ধুরা বলা হয়ে থাকে যে অশুভ শক্তিরা মানুষের উপর একবার নিজের প্রভাব বিস্তার করতে পারলে তাকে দিয়ে যে কোনো কাজই তারা করিয়ে নিতে পারে। বড় বড় গাছ তারা উপরে ফেলতে পারে এবং যে কাউকেই মেরে ফেলার মতো কাজও তারা করিয়ে নিতে পারে। বন্ধুরা এই প্রসঙ্গে বলি মৃত্যুর তিথি তো আমাদের আগে থেকেই নির্ধারিত রয়েছে। এই কারণেই কারো বাঁচা মরা সম্পূর্ণ এই অশুভ শক্তির উপর নির্ভর করে না। অশুভ শক্তি তো কেবলমাত্র আমাদের উপর নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়, আমাদেরকে বসে করতে চায়। তারা নিজের অতৃপ্ত আত্মাটি মানব শরীরে প্রবেশ করিয়ে আবারো মানব জনম পেয়ে নিজের আশা আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করতে চায়।


তো বন্ধুরা আজ এই পর্যন্তই আশাকরি লেখাটি পড়ে আপনারা সমৃদ্ধ হয়েছেন এবং আমাদের কি কি কার্য করা উচিত এবং অনুচিত সে সম্পর্কে বুঝতে সক্ষম হয়েছেন। ভালো লাগলে আপনজনের উদ্দেশ্য অবশ্যই শেয়ার করবেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। 

নমস্কার, ধন্যবাদ । 

ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।


আরো পড়ুন:- কাকে ভুগতে হয় আপনার দ্বারা করা পাপের সাজা? CLICK HERE

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।

If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.

( Please don't enter any spam link in the comment box.)

Thank You very much.

অমৃত কথা