নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম। ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয়বস্তু।
বন্ধুরা আমাদের পুরাণে কিছু এমন জ্ঞান লুকিয়ে রয়েছে যা অনুসরণ করে যে কোনো মানুষ নিজের দুর্ভাগ্যকে সৌভাগ্যেতে বদলে দিতে পারে। হিন্দু ধর্মের আঠারোটি পুরান কে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়েছে। এই ১৮টি পুরণের মধ্যে একটি হচ্ছে গরুর পুরান। যার পাঠ মূলত কারো মৃত্যুর পর করা হয়। যার মাধ্যমে সেই মৃত ব্যক্তির আত্মা মোক্ষ লাভ করতে পারে। কিন্তু, বন্ধুরা এই পুরানে আত্মার সঙ্গে সম্পর্কিত রহস্য ছাড়াও জীবনের সঙ্গে যুক্ত কিছু এমন রহস্যও লুকিয়ে রয়েছে যা এই কলিযুগে সকল মানুষের জন্য কোনো বরদানের থেকে কম কিছু নয়। এই পুরানে কিছু এমন কথা সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলি প্রাণীদের জন্য সম্পূর্ণ বর্জিত। কিন্তু যদি তা সত্বেও কেউ জেনে কিংবা না জানা অবস্থায় ওই কর্মগুলো করে থাকে তাহলে তার পতন নিশ্চিত হয়ে দাঁড়ায়। আর কেউ যদি এই কর্মগুলো বর্তমানে করতে থাকেন তাহলে আজকেই এই সাতটি গুরুত্বপূর্ণ কথা জেনে নিয়ে নিজের বিনাশ থেকে নিজেকে সে বাঁচাতে পারে।
চলুন বন্ধুরা জেনে নেওয়া যাক গরুর পুরানে সেই সাতটি কথা সম্পর্কে, যেগুলি আমাদের সকলেরই জেনে রাখা প্রয়োজন।
প্রথমত, গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে, শত্রু থেকে বাঁচার জন্য সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন এবং তারই সঙ্গে চতুর হওয়া দরকার। কিছু শত্রু আমাদের সব সময় ক্ষতি করার চেষ্টা করে; এমত অবস্থায় যদি আমরা সতর্ক না হই কিংবা চতুরতা না দেখাই তাহলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারী লোকশান ওটাতে হতে পারে। গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে, যেমন আমাদের শত্রু হবে ঠিক সেরকম প্রকৃতিতেই আমাদের কে আমাদের চতুরতা দেখিয়ে পরিস্থিতির ওপর কাবু পেতে হবে।
দ্বিতীয়ত, বন্ধুরা যদি আপনি ধনী এবং সৌভাগ্যশীল হতে চান তাহলে এটা অত্যন্ত জরুরী যে আপনি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করুন। গরুড় পুরাণ অনুসারে সেই মানুষদের সৌভাগ্য নষ্ট হয়ে যায় যারা ময়লা জামা কাপড় পড়ে। এমন লোকেদের কাছে কখনোই লক্ষ্মী আসে না। তাদের বাড়ি দরিদ্রতার নিবাস হয়। অনেকবার এমন টা দেখা গিয়েছে যে সকল মানুষেরা ধন এবং অন্যান্য সকল প্রকারের সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন হন ; কিন্তু তাও তারা ময়লা পোশাক আশাক পরিধান করেন তাদের ধন-সম্পত্তি ধীরে ধীরে নষ্ট হতে থাকে।
তৃতীয়ত, বন্ধুরা যতই কঠিন থেকে কঠিন প্রশ্ন হোক, বিদ্যা হোক কিংবা মনে করার কোনো গুরুত্বপূর্ণ কথাই হোক না কেন - এগুলি সর্বদা অভ্যাসের মাধ্যমে আমাদেরকে মনে রাখা উচিত। কেননা এর ঠিক বিপরীতেই রয়েছে নেতিবাচক দিকটি।অভ্যাস ছাড়া খুব সহজ বিদ্যাও কঠিনে রূপান্তরিত হয়। আর আমাদের মন এবং মস্তিষ্ক সেই বিদ্যারটিকে ভুলে গিয়ে ধীরে ধীরে নষ্ট করতে থাকে। এই কারণেই সর্বদা অভ্যাসের মাধ্যমে বিদ্যা কিংবা কোনো গুরুত্বপূর্ণ কথাকে মনে রাখা উচিত। আর বন্ধুরা গরুড় পুরাণেও ঠিক এমনটাই বলা হয়েছে যে, বিদ্যা কিংবা কোন নীতিকে মনে রাখার জন্য আমাদের সর্বদা সেই জ্ঞানটিকে অভ্যাসের মাধ্যমে জাগ্রুক করে রাখতে হবে।
চতুর্থত, বন্ধুরা ভোজন আমাদের শরীরে শক্তি প্রদান করে। আবার বন্ধুরা এই ভোজনই আমাদের রোগী বানিয়ে তোলে। অর্থাৎ ভোজনই আমাদের শরীরের উর্জার মুক্ষো স্রোত। আমাদের বেশিরভাগ রোগই এই খাবার দাবারের জন্যই হয়ে থাকে। কিন্তু আমরা যদি নির্দিষ্ট মাত্রায় সন্তোলিত ভোজন করি তাহলে আমরা একটি নিরোগ জীবন লাভ করতে পারি। আর বন্ধুরা গরুড় পুরাণেও ঠিক এমনটাই বলা হয়েছে। এইজন্য আমাদেরকে সব সময় সুপাচ্য ভোজন গ্রহণ করা উচিত। কারণ এই ধরনের ভোজনের ফলে পাচনতন্ত্র ঠিকঠাক ভাবে কাজ করে। আর শরীরেরও পূর্ণ উর্জা প্রাপ্ত হয়।
পঞ্চমত, একাদশী ব্রতকে আমাদের হিন্দু ধর্মগ্রন্থ ও পুরাণে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়েছে। গরুড় পুরাণে এর মহিমা বিস্তারের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। যেই মানুষ একাদশী ব্রত রাখেন সে সকল প্রকার কষ্ট ও চন্দ্রমার মায়া থেকে মুক্তি পান। এর সাথেই তার দুর্ভাগ্য সৌভাগ্যতে পরিণত হয়।
ষষ্ঠত, তুলসীর মহিমার কথা প্রায় সবকটি পুরাণেই বিস্তারের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। বাড়িতে তুলসী গাছ বা তুলসী মন্দির থাকলে যে কোন প্রকারের নেগেটিভ এনার্জি সব সময়ের জন্য নষ্ট হয়ে যায় এবং পজিটিভ শক্তি বিরাজ করে। তাই নয় এই গাছ যেই বাড়িতে লাগানো থাকে সেই গৃহে সৌভাগ্য আসতে থাকে এবং অনেক অবরুদ্ধ রাস্তা খুলে যায়। এই গাছের পাতা কিংবা পাতার রস প্রতিদিন সেবন করা ব্যক্তির কোনো প্রকারের রোগ হয় না।
সপ্তমত, বন্ধুরা কোনো দেবদেবীর কিংবা কোনো ধর্মের অপমান করা ব্যাক্তিকে একদিন নিশ্চিত রূপে পশ্চতাপ করতে হয়। গরুড় পুরাণ অনুসারে মন্দিরের মতো পবিত্র স্থানে নোংরা কাজ করা বাক্তিরা, ভালো মানুষদের ধোকা দেওয়া ব্যক্তিরা অথবা কারো সাহায্য করার বদলে তাকে অপশদ্ব ব্যবহার করা ব্যক্তিরা কিংবা ধর্মশাস্ত্র তথা বেদ, পুরাণের উপর প্রশ্ন তোলা ব্যক্তিদের ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের নরক যন্তনা ভোগ করতে হয়।
তো বন্ধুরা আশাকরি আপনি বুঝতে পেরেছেন সৌভাগ্য প্রাপ্তির জন্য আপনাকে কোন কোন বিষয়ের উপর নজর দিতে হবে। আশাকরি বন্ধুরা লেখাটি পড়ে আপনি সমৃদ্ধ হয়েছেন। ভালো লাগলে আপনজনের উদ্দেশ্যে অবশ্যই শেয়ার করবেন। আজ এখানেই শেষ করলাম। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। নমস্কার। ধন্যবাদ।। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।
আরো পড়ুন:- ভগবান কি ছোটখাটো পাপ ক্ষমা করে দেন? CLICK HERE
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।
If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.
( Please don't enter any spam link in the comment box.)
Thank You very much.
অমৃত কথা