Breaking

Search Content

Follow Us

শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২২

দূর্বা ঘাসের এই উপায়টি করার সঙ্গে সঙ্গেই হবে চমৎকার || দূর্বা ঘাসের গুণাবলী ও চমৎকারী প্রয়োগ - অমৃত কথা

 


নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম। ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয়বস্তু। 


বন্ধুরা আজকে আপনাদের সঙ্গে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব তা হল - দূর্বা ঘাসের গুণাবলী ও চমৎকারী প্রয়োগ সম্পর্কে। এই প্রয়োগটি হয়তো আপনি এখনো পর্যন্ত জানেন না।


বন্ধুরা দূর্বা ঘাসকে খুবই পবিত্র বলে মনে করা হয়। বন্ধুরা এখন এটি ঘাসের শ্রেণীতেও পড়ে না, কারণ এটির ব্যবহার মূলত আমরা পূজা পাঠের ক্ষেত্রে অথবা কোন অনুষ্ঠানের সময় করে থাকি। এই দূর্বা মূলত - মা দুর্গার পূজায়, লক্ষ্মী পূজাতে, গনেশজির পূজায়, ভগবান শংকরের পূজায়, এমনকি শ্রী নারায়ণের পূজাতেও দূর্বা ব্যবহার করা হয়। বন্ধুরা এছাড়াও আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন বিভিন্ন প্রকার সামাজিক অনুষ্ঠান যেমন ধরুন - কাউকে আশীর্বাদের ক্ষেত্রে অর্থাৎ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে পিতা-মাতার তাদের সন্তানকে আশীর্বাদের সময়, ভাই ফোঁটাতে দিদি তার ভাইকে আশীর্বাদ করার সময়, এমনকি বিবাহের পূর্বে যে আশীর্বাদ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় তাতেও দূর্বা ব্যবহৃত হয়। এটি ব্যবহারের পিছনে যে কারণটি রয়েছে সেটি হল - সমুদ্র মন্থনের সময় যেই অমৃত বার হয়েছিল তা কিছুটা পরিমাণ মাটিতে দূর্বার উপর পড়ে। যার ফলে কাউকে আশীর্বাদ করা হয় দূর্বা দিয়ে, কারণ সেই আশীর্বাদের মাধ্যমে সেই ব্যক্তির সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন কামনা করা হয়। আর এই দূর্বা হল অমরত্বেরই প্রতীক। 


বন্ধুরা এরই সাথে যুক্ত আরেকটি কথা আপনার লক্ষ্য করেছেন হয়তো - " কথায় বলে দূর্বা ঘাস যত কাটবে ততই হয় " এর কারণও ওই একই ; দূর্বার উপর অমৃত পড়ার কারণে দূর্বা সহজে মরেনা। অনেকের বাড়ির উঠোনে দূর্বা হলে তারা পরিষ্কার করার জন্য প্রতিনিয়তই তা কেটে ফেলে। কিন্তু, দূর্বা সহজে মরে না। কেননা দূর্বা হলো অমর। দূর্বায় অমৃতর গুণ রয়েছে। শুধু তাই নয় নবরাত্রির সময়তে বহু মানুষেরা শুধুমাত্র দূর্বা ঘাসের থেকে রস খেয়ে বেঁচে থাকেন। এছাড়াও হিমালয়তে তপস্যা করা বেশ কিছু শান্ত, মহাত্মা, সাধু কোন প্রকারের ফলমূল সংগ্রহ না করে শুধুমাত্র এই দূর্বা ঘাসের রস খেয়েই বেঁচে থাকেন এবং নিজেদের তপস্যা করতে থাকেন। দূর্বা ঘাসের রসের মধ্যে অনেক চমৎকারি গুন রয়েছে। এই দূর্বা ঘাসের রস নিয়মিত পান করলে শরীর সুস্থ থাকে এবং মস্তিষ্কও ঠান্ডা থাকে।


বন্ধুরা যদি আপনার গৃহে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে অশান্তি লেগে থাকে, কামাইয়ের থেকে খরচা বেশি হয়ে থাকে; যেমন ধরুন - আপনার ১ টাকা ইনকাম হলো আর ১০০ টাকা খরচা হলো এবং সর্বোপরি যদি আপনার গৃহে কোন প্রকার দোষ লেগে থাকে যেমন ধরুন - পিতৃ দোষ, বাস্তু দোষ ; তাহলে সেক্ষেত্রে বাড়িতে সর্বদা কলহ লেগেই থাকবে এবং ছোট ছোট বিষয়ে ঝামেলা লেগেই থাকবে। আর যদি পিতৃ দোষ লাগে তাহলে সেক্ষেত্রে বংশের গতি তখন থেমে যায় অর্থাৎ বংশ এগিয়ে চলে না। এই সকল কিছু বিষয় হওয়ার পেছনে যথাযত কারণও রয়েছে, যদি আপনি বাড়িতে পুরনো অপ্রয়োজনীয় নোংরা আবর্জনা রেখে দেন তাহলে সেক্ষেত্রে বাস্তু দোষ লাগার সম্ভাবনা থাকে। বন্ধুরা সর্বদা মনে রাখবেন গৃহে যদি বাস্তু দোষ লাগে তাহলে কোন সময়ই গৃহে লক্ষীর সমৃদ্ধি হবে না। যার ফলে আপনার ভাগ্য সেখানেই থেমে যায়। তো বন্ধুরা এই সকল কিছু থেকেই মুক্তি পাওয়ার জন্য আজকে আপনাদেরকে জানাবো - দূর্বার চমৎকারী প্রয়োগ সম্পর্কে। 


বন্ধুরা আজকে আপনাদেরকে দূর্বা ঘাসের দুটি চমৎকার প্রয়োগ সম্পর্কে জানবো। এই দুটির মধ্যে যেটি আপনার ভালো লাগে আপনি সেটা করতে পারেন। 


সর্বপ্রথম যদি আপনার গৃহে সর্বদা দ্বন্দ্ব কলহ লেগেই থাকে এবং এরই মাঝে যদি ধন-সম্পত্তি বেশি না আসে বরং তার থেকে বেশি খরচা হয়ে যায় তাহলে সেক্ষেত্রে এই উপায়টি আপনি করতে পারেন। আপনাকে একটি মাটির হাঁড়ি নিতে হবে আর এটিকে ঘরের উত্তর দিকে রাখতে হবে। আর বন্ধুরা, মাটির হাঁড়িটির পুরো মুখ পর্যন্ত জলপূর্ণ করতে হবে। আর ওই মাটির হাঁড়িটির পাশে ছোট্ট একটি পাত্রে করে কিছুটা পরিমাণ ধান/চাল রাখতে হবে। এরপর আপনাকে ২১টি করে দূর্বা ঘাস নিয়ে ১টি ছোট্ট আঁটির মতো বাধতে হবে, এইভাবে মোট ৭টি আঁটি সেই চালের উপর রাখতে হবে। আর এর নিচে আপনাকে পবিত্র ঘি-এর প্রদীপ জ্বালাতে হবে। এই প্রয়োগটি প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলায় আপনাকে করতে হবে। কেননা বন্ধুরা সন্ধ্যার শুভ মুহূর্তেই মা লক্ষ্মী গৃহে প্রবেশ করে। (এই কারণেই হয়তো আপনি শুনেছেন যে সন্ধ্যা বেলায় কখনো দুয়ারে বসতে নেই। এর অর্থ হল - সেই সময় মা লক্ষী গৃহে প্রবেশ করে, যে কারণেই সন্ধ্যা বেলায় মা লক্ষ্মীর আসার পথে যেন কোন প্রকার বাঁধা না পড়ে।) বন্ধুরা মনে করা হয় এই উপায়টি সঠিক ভাবে করা হলে মা লক্ষ্মী সেই গৃহে প্রবেশ করবেনই করবেন। বন্ধুরা এই প্রথম উপায়টি মূলত গৃহে ধন-সম্পত্তির বৃদ্ধির জন্য আপনি করতে পারেন।


বন্ধুরা এবার আপনাদের সঙ্গে দ্বিতীয় উপায়টি নিয়ে আলোচনা করব। এটি আপনারা সকলেই করতে পারেন। এটি মূলত পিতৃ দোষ ও বাস্তুদোষ দূর করার উপায়। বন্ধুরা আপনাকে আবারও একটি মাটির হাড়ি নিতে হবে সেটিকে এইবার বাড়ির দক্ষিণ দিকে রাখতে হবে জলপূর্ণ করে। তার পাশে একটি ছোট্ট পাত্রে কিছুটা পরিমাণ চাল নিতে হবে এবং তারপরে ২১টি করে দূর্বা ঘাস নিয়ে ১টি ছোট্ট আঁটির মতো বাধতে হবে, এইভাবে মোট ৭টি আঁটি সেই চালের উপর রাখতে হবে। আর এর নিচে আপনাকে প্রদীপ জ্বালাতে হবে পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে অথবা বাড়ির বাস্তু দোষ দূর করার জন্য। এতে আপনার পূর্বপুরুষেরা সন্তুষ্ট হন এবং আপনাকে আশীর্বাদ করেন। যদি আপনার গৃহে কোন প্রকার পিতৃ দোষ লেগে থাকে তাহলে তা কেটে যায় এবং বাড়ির বাস্তু দোষও কেটে যায়।


বন্ধুরা সর্বদা মনে রাখবেন বাড়ির উত্তরে রাখলে আপনার বাড়িতে ধন-সম্পত্তির আসার রাস্তা তৈরি হয় এবং দক্ষিণ দিকে রাখলে বাড়ির বাস্তু দোষ এবং পিতৃ দোষ কাটে।


আশাকরি বন্ধুরা লেখাটি পড়ে আপনারা সমৃদ্ধ হয়েছেন এবং দূর্বা ঘাসের গুনাগুন সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। ভালো লাগলে আপনজনের উদ্দেশ্য অবশ্যই শেয়ার করুন। আজ এখানে শেষ করলাম। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন ।

নমস্কার। ধন্যবাদ ।। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।


আরো পড়ুন:- গরুড় পুরানের পাঠ - মৃত্যুর আগে কেন করানো হয় না? CLICK HERE


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।

If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.

( Please don't enter any spam link in the comment box.)

Thank You very much.

অমৃত কথা