নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম। ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয়বস্তু।
NASA - ও কেঁপে উঠল যখন মহাকাশে দেখতে পেল সাক্ষাৎ ভগবান শ্রী বিষ্ণুকে। বন্ধুরা প্রায় এক বছর আগে NASA- মহাকাশের এমন একটি ছবি তোলে যেটা দেখার পর NASA-র সঙ্গে সঙ্গে এই দুনিয়ার সকল মানুষ কেঁপে ওঠে। আর এখন প্রশ্ন উঠে আসে যে ওই ছবিটির সত্যতা কতখানি?
বন্ধুরা সবার প্রথমে আপনাদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও ভগবান বিষ্ণু সম্পর্কে কিছু জিনিস জেনে নেওয়া উচিত। যা আপনাদের মধ্যে খুব কম লোকেই হয়তো জানেন। বন্ধুরা এই জিনিসগুলি NASA-র তোলা ওই মহাকাশের ছবিটির সঙ্গে অনেকটাই সম্পর্কিত।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেন, এই পৃথিবীর সকল জীবের মধ্যে আমি রয়েছি। কালও আমি ছিলাম এবং আসতে চলা ভবিষ্যতেও আমিই থাকবো। এই দুনিয়ার আরম্ভতে আমি রয়েছি , এই দুনিয়ার মধ্যেও আমি রয়েছি এবং এই দুনিয়ার অন্তঃকালেও আমিই থাকবো। সেখানে অন্যদিকে আমরা যদি বেদ এবং অন্যান্য গ্রন্থের দিকে নজর দেই তাহলে বুঝতে পারি ভগবান বিষ্ণুকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। সর্বপ্রথম রয়েছে-
মহা বিষ্ণু:-
মহাবিষ্ণু অর্থাৎ সেই পরমব্রহ্ম যিনি এই সংসারের বীজ বপন করেন। এই দুনিয়াতে যা কিছু বর্তমান রয়েছে তা সবকিছু এই মহাবিষ্ণুর কারণেই হয়েছে। এমনকি আপনার আত্মা এবং আপনার বুদ্ধিও মহাবিষ্ণুর কারণেই সৃষ্টি হয়েছে।
শিরোদক্ষ্রীয় বিষ্ণু:-
যখন আমরা বলি সব জায়গায় ভগবান রয়েছে হাওয়াতে, বায়ুতে, মানুষের মধ্যে, এই গোটা পৃথিবীতে অর্থাৎ ছোট থেকে ছোট জিনিসের মধ্যেও ভগবান রয়েছে সেখানে বলা হয়ে থাকে শিরোদক্ষ্রীয় বিষ্ণুর কথা।
তৃতীয়ত এবং অন্তিম হচ্ছেন -
গর্ভো-দক্ষ্রীয় বিষ্ণু:- বিষ্ণুর এইরূপ সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে এই রূপ ভগবান বিষ্ণুর নাভিতে কোমলের মাধ্যমে শ্রী ব্রহ্মার উৎপত্তি হয়েছিল এবং তারপরে পুরো সৃষ্টির রচনার পর স্বয়ং ভগবান বিষ্ণু সেই সৃষ্টিকে সামলানোর ভার নিজের কাঁধে নিয়ে নেন।
বন্ধুরা আমরা কোনো ধার্মিক চিত্রতে শিরোদক্ষ্রীয় বিষ্ণুর চিত্রই বেশি দেখতে পাই। এটা কোন কাল্পনিক চিত্র নয়। বরং বেদ ও পুরাণ কে বুঝে নেওয়ার পর বানানো হয়েছে এই চিত্র। আবার অন্যদিকে NASA- দ্বারা তোলা ছবিটি পুরোপুরি ভাবে শিরোদক্ষ্রীয় বিষ্ণুর সঙ্গে মিল খায়। যাকে NASA - 'Mystic Mountain' নাম দিয়েছে।
চিত্র: Hand of God
বন্ধুরা আপনারা ভালোভাবে লক্ষ্য করতে পারছেন NASA-র তোলা ছবিটি ভগবান বিষ্ণুর "শিরোদক্ষ্রীয় বিষ্ণু" রূপের সঙ্গে ব্যাপকভাবে মিল খায়। শুধু তাই নয় দুমাস পর NASA-র টেলিস্কোপের মাধ্যমে দ্বিতীয় আরেকটি ছবি তোলা হয়। যাকে " Hand of God " নাম দেওয়া হয়। বন্ধুরা এই চিত্রটি দেখলে আপনি ভালই বুঝতে পারবেন যে ভগবানের একটি হাত উপরে রয়েছে। এই ছবি দুটি যখন জনমানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে তখন মানুষেরা অবাক হয়ে থাকে। কিছু মানুষ এই Hand of God ছবিটিতে দেখে বলেন ভগবানের হাতের উপরে সুদর্শন চক্র রয়েছে। এর অর্থ এসে এই দাঁড়ালো যে আপনি মানুন কিংবা না মানুন এই দুনিয়া ভগবান বিষ্ণুর মধ্যেই বিদীয়মান রয়েছে। এই কারণে সময়ে সময়ে প্রকৃতি নিজের এমন কিছু রূপ দেখায় যা দেখার পরে বিজ্ঞানও অবাক হয়ে যায়।
কিন্তু সব থেকে দুঃখজনক কথা হলো বিজ্ঞান এই সমস্ত বিষয়ে খুবই কম বিশ্বাস করে। কিন্তু তা সত্বেও যখন লাখ লাখ মানুষ এই ছবিগুলিকে দেখেছিলেন তখন তারা প্রত্যেকে বিশ্বাস করেছিলেন যে এটা ভগবান শিরোদক্ষ্রীয় বিষ্ণুর চিত্র এবং ভগবান সেই সময় বিশ্রামরত অবস্থায় ছিলেন।
এখন এখানে অনেক মানুষ এটা বলতে পারে যে এটা মিথ্যে। আর বিজ্ঞানের মাধ্যমে এই দুনিয়াতে সবকিছু সম্ভব হতে পেরেছে ও বিজ্ঞানই এই দুনিয়া উৎপন্ন করেছে। বন্ধুরা আপনার আশেপাশেও এরকম বিচার রাখা মানুষ অবশ্যই থাকবে, আর বিজ্ঞানও এটাকে সত্যি প্রমাণ করতে বিগ ব্যাংকের থিওরি সামনে রাখে। যেখানে বলা হয়েছে এই ব্রহ্মাণ্ডের উৎপত্তি বড় একটি উত্তপ্ত অগ্নিপিণ্ডের বিস্ফোরকের মাধ্যমে হয়েছিল। কিন্তু এখানে প্রশ্ন আসে সে বিশাল বড় অগ্নিপিণ্ডটি কোথা থেকে আসলো? শুধু তাই নয় আরো কিছু প্রশ্ন রয়েছে যেগুলোর উত্তর বিজ্ঞানের কাছে নেই- এই পৃথিবীতে জন্ম না প্রত্যেক ব্যক্তির মৃত্যু কেন হয়? এবং মৃত্যু হওয়া মানুষকে বিজ্ঞান জীবিত কেন করতে পারে না? এইজন্যই বলা হয়ে থাকে যেখানে বিজ্ঞানের কথা শেষ হয় সেখান থেকেই বেদ, পুরাণে লিখিত কথাগুলি শুরু হয়।
শুধু তাই নয় পৌরাণিক কথা অনুযায়ী সেই সময় পৌরাণিক কালে মানুষেরা খুবই উন্নত ছিল এবং তারা নিজের দিব্যদৃষ্টির মাধ্যমে ঈশ্বরের শরণাপন্ন হতে পারতেন। অথচ এই বিষয়গুলি বিজ্ঞান স্বীকার করা তো দূরে থাক বিজ্ঞানের ভাবনাতেও আসবেনা। এক্ষেত্রে পুরো বিজ্ঞান বলাটা ভুল হবে বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু বিজ্ঞানীরা এই পজেটিভ এনার্জি সম্পর্কে স্বীকার তো করেন কিন্তু পুরো দুনিয়ার সামনে তারা প্রকাশ করেন না।
তো বন্ধুরা আজকের এই লেখাটি এই পর্যন্তই আশাকরি আপনারা NASA- র তোলা শ্রীবিষ্ণুর এই ছবিগুলি দেখে বিশ্বাস করবেন যে ভগবান আজও আমাদের মধ্যে রয়েছেন। তিনিই এই সৃষ্টির মূলে রয়েছেন।
আজ এখানে শেষ করলাম। নমস্কার, ধন্যবাদ। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।
আরো পড়ুন:- মানুষের জীবনে জ্যোতিষ শাস্ত্র গুরুত্ব? || গ্রহ -নক্ষত্র কি সত্যিই মানুষের ভবিষ্যৎ ঠিক করে? CLICK HERE
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।
If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.
( Please don't enter any spam link in the comment box.)
Thank You very much.
অমৃত কথা