Breaking

Search Content

Follow Us

বুধবার, ১১ আগস্ট, ২০২১

অল্পতেই যাদের চোখে জল আসে তারা কেমন প্রকৃতির মানুষ হয়ে থাকেন ?

 


বন্ধুরা, এমন অনেকেই রয়েছে যাদের অল্পতেই চোখে জল আসে; সামান্য দুঃখ পেলেও যেমন চোখে জল আসে, ঠিক তেমনি অনেক মানুষ এমন রয়েছেন যাদের খুশিতেও চোখ ছল ছল করে ওঠে। আবার এমন মানুষও আছেন যারা কেবলমাত্র নিজের জন্য নয়, অন্যের দুঃখেও দুঃখিত হয়ে চোখে জল চলে আসে। তাই অনেক সময় দেখা যায় টিভির পর্দায় অথবা সিনেমা হলে অথবা বাস্তব জীবনে কোন দুঃখের ঘটনা করলে তারা নিজেদের চোখের জল আর সামনে রাখতে পারেন না। তারা কেঁদে ফেলেন। অনেকেই তার এই বিষয়টিকে নিয়ে মজা করে থাকেন, হাসি-ঠাট্টা করে থাকেন, অনেকেই ভেবে থাকেন যে এই সমস্ত প্রকৃতির মানুষেরা মানসিক দিক থেকে কিছুটা দুর্বল প্রকৃতির কিন্তু বাস্তবে এই সমস্ত মানুষদের সম্পর্কে যা ভাবা হয় তার থেকে তারা সম্পূর্ণ আলাদা প্রকৃতির হয়ে থাকেন এই সমস্ত মানুষদের মধ্যে এমন কিছু বিশেষ গুন লক্ষ্য করা যায় যা সম্পূর্ণরূপে তাদের অন্যদের থেকে এদের স্বতন্ত্র করে রাখে।এই চোখের জলে তাদের প্রধান শক্তিতে পরিণত হয়। 


বন্ধুরা, যারা এই ভাবে অল্পতেই কাঁদতে পারেন তাদের ভগবানের কৃপায় বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। আধুনিক মনস্তত্ত্ববিদ্যারা এই বিষয়ে গবেষণা করে দেখেছেন করে এইভাবে অল্পতেই চোখে জল চলে আসে তারানিজের মধ্যে জমে থাকা দুঃখ,কষ্ট পীড়া খুব সহজেই কেঁদে প্রকাশ করে ফেলতে পারে । ফলে তাদের মনের এই দুঃখ দীর্ঘমেয়াদি হয়না। তারা সহজে সামনে এগিয়ে যেতে পারেন অন্যদিকে যারা নিজেদের এই রাগ-ক্ষোভ দুঃখকে ভেতরে জমিয়ে রাখেন তারা একটা সময় পর প্রচুর মানসিক যন্ত্রণায় ভুগতে থাকেন এবং পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে প্রতিশোধ স্পৃহার জন্ম হয়। ফলে মনের মধ্যে জমে থাকা এই দুঃখ রাগ তাদের কখনোই পিছু ছাড়তে চায় না যেকারনে তারা সব সময় নিজের মনের মধ্যে অসন্তুষ্ট থাকেন ।

যারা অল্পতেই কাঁদেন তাদের অনেকে ভীতু ভাবেন কিন্তু আসলে এরা যথেষ্ট সাহসী হন । কান্না মানুষের ভেতরের আবেগ থেকে আসে। এটি এমন একটি আবেগ আবেগ যা অনেক সময়ই সবার সামনে প্রকাশ অনেকে প্রকাশ করতে পারে না তাই বেশিরভাগ মানুষ চেয়ে সহজে সবার সামনে কাঁদতে পারেন না কারণ তারা নিজেদের দুঃখের মুখোমুখি হতে ভয় পান পাশে যদি কেউ কিছু বলে ফেলে কিন্তু যারা সহজেই কেঁদে ফেলেন তারা যথেষ্ট সাহসী হন। তাদের চোখের জল তাদের মনের মধ্যে সেই শক্তির জোগান দেয় যার মাধ্যমে তারা নিজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হন তারা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী হন। লোকে কি ভাববে এই ভেবে তারা নিজেদের আবেগ-অনুভূতিকে দমন করেন না। এবং আরও একটি বিষয় শুনলে আপনি আশ্চর্য হবেন যে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে যদি মনের ভেতর দুঃখ, কষ্ট, কান্না এগুলোকে ক্রমাগত নিজেদের মনের ভেতরে চেপে রাখা হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে আমাদের শরীরের মধ্যে পরবর্তী সময়ে এক বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে এতে আমাদের প্রেশারের এবং স্নায়ুতে অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয় এবং তার সঙ্গে বাড়তে থাকে অতিরিক্ত স্ট্রেস যার থেকে পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন বড় রোগ ও মানসিক রোগের সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু যারা কষ্ট হলে এইরূপ কেঁদে ফেলেন তারা মানসিক চাপমুক্ত থাকতে পারেন । তাদের এই চোখের জল তাদের ভেতরের দুঃখ, কষ্টকে অনেকখানি কমিয়ে দিয়ে মনকে হালকা করে দেয় আর সেই জন্যই এই বিষয়টি আপনার হয়তো দেখে থাকবেন যে কোন প্রিয় জনের মৃত্যুর পর তাকে কান্না করতে বলা হয় যদি নিজের কোন প্রিয় জনের মৃত্যুর পর ব্যক্তি কান্না না করেন তাহলে সেই ব্যক্তির মানসিক রোগীতে অথবা এক কঠোর ব্যক্তিতে পরিণত হন।


 বন্ধুরা, অনেক সময় এদের কান্না দেখে নাটকে প্রকৃতির মনে হতে পারে কিন্তু যাঁরা সত্যি করেই আবেগের বশে কাঁদেন তারা আদতে খুবই ভালো মানুষ হয়ে থাকেন। এদের মনের ভেতরটা খুবই পরিষ্কার থাকে এবং সহজেই পড়া যায়। এরা খুব ভাল বন্ধু হতে পারে, নিজের একান্ত প্রিয় ব্যক্তি হওয়ার জন্য এরা খুবই উপযুক্ত কারণ এই সমস্ত মানুষেরা যেহেতু নিজেরা আবেগপ্রবণ হয়ে থাকে তাই সামনের মানুষকে এমন কোন কথা বলেন না যাতে সামনের মানুষটির মনে আঘাত লাগে তাই অল্পতেই কেঁদে ফেলা বন্ধু বা জীবন সঙ্গী পাওয়া নিতান্তই ভাগ্যের বিষয় তবে যারা মায়াকান্না করে থাকে তাদের সঙ্গে এই সমস্ত মানুষদের গুলিয়ে দেবেন না কারণ যারা মায়া কান্না করে থাকে তারা মূলত নিজের কোনো স্বার্থ সিদ্ধির জন্য এই প্রকার কান্না করে থাকে। কিন্তু যারা সত্যি করেই মনের আবেগ থেকেই কান্না করে থাকেন তারা নিঃসন্দেহে আর পাঁচজন মানুষকে থেকে অনেকখানি আলাদা ।আপনি কি এই রকম অল্পতেই কেঁদে ফেলেন বা আপনার জানা এমন কোন প্রিয়মানুষ রয়েছে যারা অল্পতেই এইভাবে কেঁদে ফেলেন, যদি থাকে তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন আর হ্যাঁ এটা সর্বদা এটা মনে রাখবেন যে এরা কিন্তু কখনোই দুর্বল ও ভীতু প্রকৃতির মানুষ নন কারণ বড় বড় সমস্যা এরা যেমন সমাধান করতে পারদর্শী ঠিক তেমনি এরা জীবনের সমস্ত দিক সামঞ্জস্য রেখে চলতে পারেন ।আশা করি দর্শক বন্ধুরা এই ভিডিও থেকে অনেক কিছু নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন ভিডিওটি ভাল লেগে থাকলে অনুগ্রহ করে লাইক করবেন আপনাদের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন এবং আপনি যদি এখনও পর্যন্ত আমাদের এই অমৃতকথা চ্যানেলে নতুন হয়ে থাকেন পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ভিডিও পেতে চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন পাশে থাকা বেল আইকন টি ক্লিক করে রাখবেন আজকের মত এখানেই শেষ করলাম নমস্কার ধন্যবাদ ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।

If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.

( Please don't enter any spam link in the comment box.)

Thank You very much.

অমৃত কথা