Breaking

Search Content

Follow Us

শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

লজ্জা না পেয়ে পুরুষদের এই ৩ টি কাজ করা দরকার।



নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম। ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয়বস্তু । 


বন্ধুরা আজকে আপনাদের সঙ্গে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব তা হলো - 

"লজ্জা না পেয়ে পুরুষদের এই ৩ টি কাজ করা দরকার। "



বন্ধুরা শুক্লাচার্য দৈত্যদের গুরু থাকা সত্ত্বেও তার দেওয়া নীতি বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ নীতি গুলির মধ্যে অন্যতম ছিল। এই নীতির অনুসরণ শুধুমাত্র অসুরেরা নয়, দেবতারাও করে থাকতেন। এটা বলা ভুল হবে না আজকের সময় যদি কোনো ব্যক্তি এই নীতি গুলি নিজের জীবনে সঠিক ভাবে প্রয়োগ করতে পারে তাহলে তাকে সফল হতে কেউ আটকাতে পারবেনা। এই নীতিগুলির মধ্যেই শুক্রাচার্য তিনটি কাজের কথা উল্লেখ করেছেন। যে কাজ করার সময় কখনও লজ্জা করা উচিত নয়। শুনতে একটু অন্যরকম হলেও এটা সত্য। শুক্লাচার্য নিজের নীতিতে এমন কিছু কর্মের কথা বর্ণনা করেছেন যা লজ্জ্বা না পেয়ে করা উচিত। 



চলুন বন্ধুরা জেনে নেওয়া যাক ওই তিনটি কার্য কি কি। 



বন্ধুরা শুক্লাচার্য নিজের নীতির মাধ্যমে কিছু এমন ৩টি জিনিসের কথা বলেছেন যেগুলি স্বীকার করতে অর্থাৎ নিতে কখনো লজ্জা বোধ করতে নেই। সাথেই তিনটি এমন জিনিসের বর্ণনা করেছেন নিজে গুলো কখনো কাউকে দিতে বা দান করতে লজ্জাবোধ করতে নেই। কারণ এটি হলো সেই শিক্ষা যা আপনাকে অগ্রগতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। 



চলুন বন্ধুরা প্রথমে জেনে নেওয়া যাক:-


শুক্ল নীতি অনুযায়ী যে জিনিস গুলো কখনো কোনো মানুষের কাছ থেকে নিতে লজ্জা বোধ করা উচিত নয়। 



প্রথম বিষয়টি হলো- বিদ্যা। শুক্রাচার্যের মতে, একটি বুদ্ধিমান মানুষ কে কখনো অন্যের কাছ থেকে জ্ঞান নিতে সংকোচ বোধ করতে নেই। সমাজের বিভিন্নতাকে ভুলে তাকে এই বিষয়টির উপর নজর আন্দাজ করতে হবে যে তাকে এই জ্ঞান দেওয়া মানুষটি কোনো দলিত বা নিচু জাতির, ছোটো বাচ্চা অথবা কোনো দরিদ্র ব্যক্তি। কেননা বিদ্যা হল এমন একটি জিনিস যেখানে কোনো মানুষ চাইবে তো কখনো যে কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে জ্ঞান নিতে পারে। কিন্তু, শর্ত একটাই তাকে নিজের মনের মধ্যে রাখা লজ্জা এবং সংকোচ বোধ কে দূরে রাখতে হবে। 



দ্বিতীয় বিষয়টি হল-ঔষধ। বন্ধুরা শুক্রাচার্য দেবের মতানুসারে যদি কোনো ব্যক্তি রোগাক্রান্ত থাকে সেই রোগের উপাচার বা রোগ কিভাবে ঠিক হবে তার উপায় কোনো ডাক্তার বা অন্য কোনো মানুষের কাছ থেকে নিতে দ্বিধাবোধ করা যাবে না। সেই ব্যক্তি হতে পারে কোন দরিদ্র অথবা নিচু জাতির, হতে পারে তার প্রতিবেশী, হতে পারে সে তার শত্রু। কিন্তু, তাও যেই হোক না কেন কারো কাছ থেকে সেই রোগ কিভাবে ঠিক হবে তার উপায় জানতে লজ্জা বা সংকোচবোধ করা যাবে না। তাকে নিজের রোগটি সারানোর জন্য সকল সম্ভব এবং সঠিক উপায় গ্রহণ করা উচিত। 


যদি কোন ব্যক্তি এই বিষয়টি নিয়ে লজ্জা বা সংকোচবোধ করেন তাহলে তাকে এর খারাপ ফল ভোগ করতে হবে ভবিষ্যতে। 



তৃতীয় যে বিষয়টির কথা বলব তা হল - স্ত্রী রত্ন। শুক্লদেব তার নীতিতে উল্লেখ করেছেন একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি হলো সেই যে স্ত্রী রত্ন অর্থাৎ উত্তম গুণ সম্পন্ন একটি স্ত্রীকে বেছে নেয়। হতে পারে সেই নরী কোনো নিচু জাতির অথবা দরিদ্র, সেই নারী বেশি নাও সুন্দর হতে পারে - তাকে আপন করতে বেশি দেরি করা উচিত নয়। উচ্চ জাতির নারীর সঙ্গে বিবাহ সম্পন্ন করার পর সেই ব্যক্তিকে জীবনভর যা মানসিক কষ্ট ও দুঃখ সহ্য করতে হয়, তার থেকে ভালো ব্যক্তি একটি উত্তম গুণসম্পন্ন নারীকে তার রং ও রুপ দিয়ে বিচার না করে, তাকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে বেছে নিক। কেননা বন্ধুরা আপনারা হয়তো শুনেছেন ই-

একমাত্র স্ত্রীরাই পারে কোনো ঘরকে স্বর্গ অথবা নরক বানাতে। 



বন্ধুরা এই ছিল শুক্লাচার্য নীতি অনুযায়ী তিনটি জিনিস বা বিষয় যেগুলিতে নিতে কখনো লজ্জা অথবা সংকোচ বোধ করতে নেই।



এবার আপনাদের জানাব:-


 শুক্লাচার্য নীতি অনুযায়ী তিনটি এমন জিনিস যা কখনো অন্যের কাছ থেকে নেওয়া উচিত নয়। 




প্রথমত, 'না দিয়ে না নেওয়া' অর্থাৎ কাউকে কিছু না দিয়ে, তার থেকে কিছু নেওয়া উচিত নয়। শুক্লচার্য তার নীতিতে বলেছেন, কোনো বুদ্ধিমান ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তিকে কিছু না দিয়ে তার থেকে কোনো ছোট থেকে ছোট জিনিসও নেওয়া উচিত নয়। যদি আপনি কারো থেকে কিছু নেন তাহলে বদলে তাকে অবশ্যই কিছু দিন। কখনো এমনি এমনি ফ্রিতে কোনো কিছু নেওয়া উচিত নয়। কেননা এটি অনুচিত এবং ভবিষ্যতে এটি খারাপ কোনো বিষয় হওয়ার কারণও হতে পারে।



আরো পড়ুনঃ- প্রভু শ্রী রাম ও লক্ষণ কিভাবে মানব শরীর পরিত্যাগ করলেন? Click here




দ্বিতীয়তঃ কারো পাপকে অন্য তৃতীয় কোনো ব্যক্তির কাছে না বলা। সেটা কোনো ছোট পাপ হলেও কখনো অন্যের পাপ কে নিজে তৃতীয় কোনো ব্যক্তির কাছে বলা উচিত নয়। এর মানে এটা এসেও দাঁড়ালো যে-যদি আপনার কাছে কোনো ব্যাক্তি তৃতীয় কোনো ব্যক্তির পাপের কথা এসে বলতে শুরু করে তবে তা না সোনা।


তৃতীয়ত, বাইরের মহিলা বা অন্যের পত্নী। শুক্ল দেবের নীতি অনুযায়ী কোনো বুদ্ধিমান মানুষের অন্য কারো পত্নী কে ধর্ষিত করা উচিত নয়। যতই সেই মহিলা সামনে থেকে এসে হাজারো চেষ্টা করুক না কেন। এরকম স্ত্রী থেকে সর্বদা দূরত্ব বজায় রাখা প্রয়োজন। কেননা চরিত্রহীন স্ত্রীদের নিজের সম্মান ও চরিত্র নিয়ে বেশি মাথা ব্যথা থাকে না। কিন্তু, হ্যাঁ যদি এই কথা সমাজে সবার কাছে ছড়িয়ে যায় তাহলে আপনার অবশ্যই সন্মান হানি ঘটবে। 


শুধু তাই নয় ধার্মিক দৃষ্টিকোণ থেকেও এটিকে ঘর পাপ বলে গণ্য করা হয়। এই জন্য যতটা সম্ভব এসব থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। 



আরো পড়ুন:- প্রভু শ্রী রাম ও লক্ষণ কিভাবে মানব শরীর পরিত্যাগ করলেন?  Click here




বন্ধুরা এই ছিল শুক্রাচার্যের নীতি অনুযায়ী বেশ কিছু জিনিস যেগুলি করতে কখনো লজ্জা বা সংকোচ করা উচিত নয়।


আশা করি বন্ধুরা লেখাটি পড়ে আপনার সমৃদ্ধ হয়েছেন ভালো লাগলে আপনজনের উদ্দেশ্যে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। নমস্কার, ধন্যবাদ। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।

If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.

( Please don't enter any spam link in the comment box.)

Thank You very much.

অমৃত কথা