Breaking

Search Content

Follow Us

বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০২২

কুম্ভকর্ণের কাছে কোন শর্ত রেখেছিলেন হনুমানজি || রামায়ণের সব থেকে বড় রহস্য।

 


নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম। ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয়বস্তু।    


আজকে আপনাদের সঙ্গে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব তা হল - এমন একটি শর্ত যার ফলে কুম্ভকর্ণের কাছে হেরে গিয়েছিলেন হনুমানজি। কি ছিল সেই শর্ত? সত্যিই কি হনুমানজি কুম্ভকর্ণের বধ করতে পারত? 


বন্ধুরা রামায়ণ সম্পর্কে তো আমরা প্রত্যেকেই জানি। আর রামায়ণের প্রত্যেকটি ঘটনা সম্পর্কে আমরা বেশিরভাগ মানুষই জানি। কিন্তু, এমন একটি সময়ও ছিল যখন রাবণকে তার ভাই কুম্ভকর্ণ কে ঘুম থেকে জাগাতে হয়েছিল। এরপরে কুম্ভকর্ণ যখন যুদ্ধের ময়দানে আসে তখন তার মতবিরোধ হয় হনুমানজির সাথে। তখন হনুমানজি ও কুম্ভকর্ণ এই দুজনের মধ্যে এক মহা যুদ্ধ হলো। কিন্তু, তখন সেই সময় এমন একটি শর্ত হচ্ছে দুজনের মধ্যে রাখা হয়েছিল যার ফলে হনুমানজি হেরে গিয়েছিলেন। কি ছিল সেই শর্ত ? 


লঙ্কা তে যুদ্ধ যখন চরম সীমায় পৌঁছে যায়, শ্রী রামের সেনাদল এগিয়ে যাচ্ছিল। এমন সময়ে যুদ্ধে রাবণের এক মহারথী যুদ্ধের ময়দানে বীরগতি প্রাপ্ত হল। সেই মুহূর্তে রাবণ কিছু বুঝতে পারছিল না যে, সে এখন কি করবে। এ মতো পরিস্থিতিতে রাবণ তার নিজের ছোট ভাই কুম্ভকর্ণ কে ঘুম থেকে জাগানোর নির্ণয় নেন। কুম্ভকর্ণ ব্রহ্মার থেকে বড় পেয়েছিলেন - যে কারণে সে ছয় মাস ঘুমাতো, আর ছয় মাস জেগে থাকতো। রাবণের দেওয়া নির্দেশের পর যখন কুম্ভকর্ণ কে ঘুম থেকে তোলা হলো, তখন তাঁকে পুরো ঘটনা ও পরিস্থিতির সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হলো। সবকিছু জানার পর কুম্ভকর্ণ রাবন কে তার কৃতকর্মের জন্য খুবই ধিক্কার জানায়। কিন্তু, তা সত্বেও কুম্ভকর্ণ শেষমেষ নিজের ভাইয়ের পাশে দাঁড়িয়ে ভাইকে সাহায্য করতে পিছপা হয়না। যখন সে রনভূমিতে পৌঁছায় তখন তার প্রকাণ্ড রুপ দেখে বানর সেনার মধ্যে তাকে নিয়ে অত্যন্ত চর্চা শুরু হয়ে যায়। কুম্ভকর্ণ অন্য কারো সাথে যুদ্ধ না করে, সে সোজা শ্রী রামের সঙ্গে যুদ্ধ করতে এগিয়ে যায়। সে যত যুদ্ধ ভূমিতে এগিয়ে যেতে থাকে বানর সেনা ততো তাকে দেখে ভয়ে দৌড়ে পালাতে থাকে। এরইমধ্যে বানর সেনার প্রধান প্রধান যোদ্ধা কুম্ভকর্ণের সঙ্গে যুদ্ধ করতে এগিয়ে আসে। কিন্তু, সকলেই একে একে পরাজিত হন। এইসময় সুগ্রীব, অঙ্গদ এই ধরনের শক্তিশালী যোদ্ধাদের কুম্ভকর্ণ পরাজিত করেন। এই সময়ই প্রভু শ্রী রামের কাছে যেতে কুম্ভকর্ণ কে আটকায় মহাবলী হনুমানজি। হনুমানজি যুদ্ধক্ষেত্রে তে একজন মহাবলী যোদ্ধার মতো এসে কুম্ভকর্ণ কে আটকায়। তখন কুম্ভকর্ণের প্রকাণ্ড শরীরের সামনে বজরংবলি শ্রী হনুমানজিও নিজের বিশাল প্রকাণ্ড রূপ ধারণ করলেন। আর তখনই শুরু হল তাদের মধ্যে বিশাল মহাযুদ্ধ। তখন রাবণের অন্যান্য সেনাদল ও প্রভু শ্রী রামের বানর সেনা দল থেমে যায়। সবাই মিলে কুম্ভকর্ণ ও হনুমানজির বিশাল প্রকাণ্ড রুপ নিয়ে করা মহাযুদ্ধ দেখতে থাকেন। পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধকালীন সময়ে দুজনেই দুজনের প্রবল শক্তির আভাস পেয়ে যান। হনুমানজি তার গদা নিয়ে যুদ্ধে কুম্ভকর্ণ কে চুনতি দেন। এমত অবস্থায় যখন যুদ্ধ লম্বা চলতেই থাকে, তখন প্রশংসা করে কুম্ভকর্ণ হনুমানজি কে বলেন - 


" আমি আজ পর্যন্ত তোমার মত এমন বীরের সামনাসামনি যুদ্ধ করিনি। এই যুদ্ধের কোন পরিনাম বা ফলাফল বের হবে না। " 


কিন্তু এই কথার পরে আবারও যুদ্ধ শুরু হয় কদের মধ্যে। হনুমানজি ক্রোধের বসে এসে একটি বিশাল পাহাড় উপরে নেন। তখন কুম্ভকর্ণ হনুমানজি কে বললেন - 


"যদি আমি এই পাহাড়ের ধাক্কা বা আঘাতের ফলে একটুও বিচলিত হই, তাহলে আমি এই রণভূমি ছেড়ে দেব। "


মহাবলী হনুমানজিও এটা স্বীকার করে নেন। এরপর মহাবলী হনুমান জির প্রহার করার পরেও কুম্ভকর্ণ একটুও বিচলিত বা আঘাতপ্রাপ্ত হন না। এর ফলে হনুমানজি খুবই প্রভাবিত হন। তখন হনুমানজি মনে মনে নির্ণয় নেন এমন মহারথী প্রকাণ্ড যোদ্ধার মৃত্যু একমাত্র শ্রী রামের হাতেই লেখা আছে। ঠিক এরপরেই কুম্ভকর্ণের যুদ্ধ সামনাসামনি শ্রী রামের সঙ্গে হয়। 


রাবণ এবং কুম্ভকর্ণ ছিল জয় ও অজয়ের অবতার। যাদের মৃত্যু পূর্বেই একবার ভগবান শ্রী বিষ্ণুর অবতারের হাতে হয়েছিল। এমতো পরিস্থিতিতে হনুমানজিও জানতেন এত বড় মহান যোদ্ধাকে যদি কেউ মারতে পারেন সে হলেন একমাত্র প্রভু শ্রী রাম। শেষমেষ প্রভু শ্রী রামের কাছেই কুম্ভকর্ণ যুদ্ধে পরাজিত হন ও তার মৃত্যু হয়।


আশাকরি বন্ধুরা লেখা টি পড়ে আপনারা সমৃদ্ধ হয়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন যে, হনুমানজি কুম্ভকর্ণ বধ করতে পারত নাকি পারত না। 


ভালো লাগলে আপনজনের উদ্দেশ্যে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। নমস্কার , ধন্যবাদ। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।


আরো পড়ুনঃ- মানুষের শরীরের কোথায় আত্মা বসবাস করে CLICK HERE




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।

If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.

( Please don't enter any spam link in the comment box.)

Thank You very much.

অমৃত কথা