নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম। ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয়বস্তু।
আজকে আপনাদের সঙ্গে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব তা হলো- সময় যতই খারাপ হোক না কেন, সেই খারাপ সময়ে কিভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় - সেই সম্পর্কে জানাবো আজকে আপনাদের।
জীবনের সকল ক্ষনে ক্ষনেই আমাদের নির্ণয় করতে হয়। প্রত্যেক পদে পদে অন্য একটি পদের বিষয়ে বিচার অথবা নির্ণয় করতেই হয়। আর নির্ণয় নিজের প্রভাব ফেলে যায়। আজকের করা কোনো নির্ণয় ভবিষ্যতে সুখ অথবা দুঃখ নিশ্চিত করে। না শুধু নিজের জন্য, নিজের পরিবারের জন্যোও, আসতে চলা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যোও। যখন কোনো অসুবিধা সামনে আসে তখন আমাদের মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে। অনিশ্চিয়তা তে ভরে ওঠে আমাদের মন। নির্ণয়ের সেই সময়টি যুদ্ধের রূপ ধারণ করে। আর মন হয়ে ওঠে যুদ্ধ ভূমি বা যুদ্ধক্ষেত্র।
অধিকতর নির্ণয় আমরা অসুবিধার সমাধান করার জন্য নয়, কেবল নিজের মনকে শান্ত করার জন্য নিয়ে থাকি। কিন্তু কেউ কি কখনো দৌড়ে দৌড়ে ভোজন করতে পারে? - না, কখনোই না। তাহলে কি করে যুদ্ধ ক্ষেত্রে থাকা মন কিভাবে সঠিক নির্ণয় নেবে?
বাস্তবে শান্ত মনে যখন কেউ কোনো সিদ্ধান্ত নেয় তখন সে নিজের জন্য সুখময় ভবিষ্যৎ তৈরি করে। কিন্তু নিজের মনকে শান্ত করার জন্য যখন কেউ কোনো নির্ণয় নেয় তখন সেই ব্যক্তি ভবিষ্যতে নিজের জন্য কাঁটাযুক্ত বৃক্ষ রোপন করে। আপনি নিজেই একবার এই বিষয়টি ভেবে দেখবেন।
নির্ণয় নেওয়ার সময় আমরা সবসময়ই অন্য কারো বোঝানো, পরামর্শ দেওয়াকে আধার বানিয়ে নেই। আর আমাদের ভবিষ্যতের আধার অর্থাৎ আমাদের ভবিষ্যৎ কেমন হবে তা আমাদের আজকে নেওয়ার সেই নির্ণয়ের উপর নির্ভরশীল। তাহলে কি আমাদের ভবিষ্যৎ অন্য কারো দেখানো রাস্তা বা অন্য কারো পরামর্শের ফল? আর আমাদের ভবিষ্যতের জীবনটি অন্য কারো বুদ্ধির পরিনাম? আমরা কি কখনো এবিষয়টি বিচার করেছি?
সবার অনুভব আছে যে, একই পরিস্থিতিতে ভিন্ন ভিন্ন লোক ভিন্ন ভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকে। মন্দিরে থাকা ভক্ত বলে দান করতে হবে, আবার অন্যদিকে কোনো চোর আবার খারাপ পরামর্শ দেয়। ধর্মে ভরা হৃদয় ধর্মময় রাস্তা দেখিয়ে দেয়। আর অধর্মে ভরা হৃদয় অধর্মের পরামর্শ দেয়। ধর্মপথে দেওয়া পরামর্শ বা রাস্তাই মানুষকে সুখের পথে নিয়ে যায়। কিন্তু এরকম পরামর্শ তখনই স্বীকার করা যায় যখন হৃদয়ে ধর্ম থাকে। অর্থাৎ কারো দেখানো পথ কিংবা কারো দেওয়া পরামর্শ স্বীকার করার পূর্বে স্বয়ং নিজের হৃদয়ে ধর্মকে স্থাপিত করা কি আবশ্যক নয়? স্বয়ং নিজেই বিচার করুন।
ভবিষ্যৎ - এর আধারে অথবা ভবিষ্যৎ কী রকম হবে সেই কথা ভেবে সবাই আজকেই তার নির্ণয় নিতে চায়। ভবিষ্যতে যাতে সুখ পাওয়া যায়, ভবিষ্যৎ জীবন যেন সুরক্ষিত থাকে - এই কথাগুলোকে মাথায় রেখেই সকলে আজকে নির্ণয় নিতে চায়। আপনি একবার নিজের জীবনকে দেখুন আপনার অধিকতর নির্ণয়ের ক্ষেত্রে কি আপনার ভবিষ্যতের কথা বিচার করে নেওয়া হয় না? এমনটা কেনইবা হবে না, নিজের জীবনকে সরল ও সুখময় বানানোর অধিকার সকলেরই আছে। কিন্তু, ভবিষ্যৎ তো কেউই জানে না। কেবল ভবিষ্যতের কল্পনাই করা যায়। এইজন্য জীবনের সকল মহ্যত্বপূর্ণ নির্ণয় কল্পনার আঁধারেই বা কল্পনার উপর নির্ভর করেই আমরা করে থাকি।
নির্ণয় করার কি তৃতীয় কোনো মার্গ হতে পারে? -হ্যাঁ, এর তৃতীয় মার্গোও রয়েছে। সকল সুখের আধার হল - ধর্ম। আর সেই ধর্ম মানুষের হৃদয়ে থাকে। এই কারণেই প্রত্যেকটা নির্ণয়ের পূর্বে স্বয়ং নিজেই নিজের হৃদয়কে এই প্রশ্নটিই অবশ্যই করবেন - এই নির্ণয়টি বা সিদ্ধান্তটি যা আমি নিতে চলেছি তা স্বার্থ থেকে উৎপন্ন হয়েছে? - নাকি ধর্ম থেকে?
এটা কি পর্যাপ্ত হবে না সঠিক নির্ণয় নেওয়ার জন্য? ভবিষ্যৎ জীবনের বদলে ধর্মের বিচার করলে ভবিষ্যৎ জীবন কি সুখময় হবে না? - স্বয়ং বিচার করুন।
বন্ধুরা আশাকরি এই লেখাটি পড়ে আপনারা সমৃদ্ধ হয়েছেন। ভালো লাগলে আপনজনের উদ্দেশ্যে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। নমস্কার, ধন্যবাদ। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।
আরো পড়ুনঃ- বিষ্ণু ভক্ত কসাইয়ের কাহিনী - জীবন বদলে দেওয়া এক গল্প CLICK HERE
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।
If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.
( Please don't enter any spam link in the comment box.)
Thank You very much.
অমৃত কথা