Breaking

Search Content

Follow Us

শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২২

ভগবান বিষ্ণু, মহেশ্বর ও ব্রহ্মার উৎপত্তি হলো কি করে? | Creation of Bramha, Vishnu and Mahesh

 


নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম। ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয়বস্তু।   


আজকে আপনাদের সঙ্গে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব তা হল- ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের উৎপত্তি কিভাবে হলো সেই সম্পর্কে।


বন্ধুরা অধিকাংশ মানুষের মনেই এই প্রশ্নটি জেগে ওঠে ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর এর উৎপত্তি হলো কিভাবে? এই প্রশ্নের উত্তরের জন্যই মূলত আজকের এই লেখা টি।


বন্ধুরা ভগবান বিষ্ণু কে এই সংসারের সঞ্চালক বলা হয়েছে। পুরাণ অনুযায়ী বিষ্ণুর উৎপত্তি কখনো হয়নি। ভগবান বিষ্ণু আদিকাল থেকেই রয়েছেন এবং এই সংসার শেষ হওয়ার পরেও তিনি থাকবেন। তার জন্ম অথবা মৃত্যু হয় না। বিষ্ণু পুরাণ অনুযায়ী ভগবান বিষ্ণুর কোনো মাতা পিতা নেই। ভগবান বিষ্ণুর তিনটি রূপ রয়েছে- কার্ণোদাক্ষয় বিষ্ণু, শিরদাক্ষয় বিষ্ণু, গর্বোদাক্ষয় বিষ্ণু। সংসারের সঞ্চালন যিনি করেন তিনি হলেন বিষ্ণু ভগবানের পুরুষ অবতার। যাকে মহাবিষ্ণু বলা হয়ে থাকে। মহাবিষ্ণু এই সৃষ্টির রচনার জন্য অবতারিত হয়েছিলেন। মহাবিষ্ণু হলেন গর্বোদাক্ষয় বিষ্ণুর রূপ। আর এই সৃষ্টির সঞ্চালন শীরদাক্ষয় বিষ্ণু দ্বারা করা হয়ে থাকে। যিনি শীর সাগরে বিরাজমান। বলা হয়ে থাকে মহাবিষ্ণুর রোম রূপ থেকে ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি হয়েছে। সবার প্রথমে যেকোনো ব্রহ্মাণ্ড তেই জলের থেকে বেশি কিছুই ছিল না। তখন সৃষ্টির সূচনা জন্য ভগবান বিষ্ণু নিজের নাভি থেকে ব্রহ্মাজিকে উৎপন্ন করেছিলে। সবার প্রথমে ব্রহ্মা বুঝে উঠতে পারেননি যে, কেন তাকে উৎপন্ন করা হয়েছিল। এরপর ব্রহ্মাজি যখন ভগবান বিষ্ণুর কাছে জিজ্ঞাসা করলেন - হে পরমেশ্বর আমাকে এখানে কেন আনা হয়েছে? আমাকে এখানে কি করতে হবে? তখন তাকে ভগবান বিষ্ণু একটি শব্দ উত্তর দিলেন- তপ্। শ্রীবিষ্ণুর আদেশ অনুসারে ব্রহ্মা তারপর অনেক অনেক বছর ধরে তপ্ অর্থাৎ তপস্যা করেন। এর ফলে ব্রহ্মাজির গর্বোদাক্ষয় বিষ্ণু দ্বারা জ্ঞানপ্রাপ্ত হয় যে, তাকে এই সৃষ্টির রচনা কার্যভার সামলাতে হবে। আর তখনই ব্রহ্মা দ্বারা এই সংসারের রচনা করা হয়েছিল। এই সৃষ্টির রচনা পরে ব্রহ্মাজি তার নিজের চারটি মানসপুত্র যাদেরকে 4 কুমার বলা হয়ে থাকে, তাদেরকে সৃষ্টির আদেশ দিলেন। কিন্তু চার কুমার ভৌতিক জগৎ-এর সঙ্গে খুব ভালো ভাবেই পরিচিত ছিলেন। ভৌতিক জগতের কার্যে কোনরকম ভাবে যাতে তারা না ফাসে এই কারণে তারা ব্রহ্মাজিকে না করে দেন। ব্রহ্মার এই জ্ঞান ছিল যে তার চার পুত্র ভক্তি মার্গে খুবই উন্নতিতে রয়েছে। কিন্তু, তা সত্বেও তাদের না করার পর ব্রহ্মা নিজের ক্রোধ সামলে রাখতে পারেননি। তখন তার দুই বাহুর মধ্যে দিয়ে একটি বালক উৎপন্ন হল।এই বালকটি ব্রহ্মার ক্রোধের ফলে উৎপন্ন হয়েছিল। সেই বালকটি তারপর ব্রহ্মার কাছে জিজ্ঞাসা করল- হে সৃষ্টি রচয়িতা! কৃপা করে আমার নাম এবং পদ আমাকে বলুন? তখন ব্রহ্মাজি সেই বালকটির নাম দেন রুদ্র। বন্ধুরা এই রুদ্র হলেন ভগবান শিবের রূপ। যাকে আমরা এই সংসারে পূজা করে থাকি। এই ঘটনার পরে ব্রহ্মা জি রুদ্রকে থাকার জায়গা বুঝিয়ে দিলেন। যা কিছুটা এই প্রকার- হৃদয়, ইন্দ্রিয়, অম্বর, বায়ু, অগ্নি, জল, পৃথিবী, চন্দ্রমা এবং তপ্। এই সকল স্থানে রুদ্রের বাস। আর এইভাবেই ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর এর উৎপত্তি এবং তারা এই সৃষ্টিকে এই ভাবেই পূর্ণ করেছেন ।


বন্ধুরা আশাকরি এই লেখাটি পড়ে আপনারা সমৃদ্ধ হয়েছেন। ভালো লাগলে আপনজনের উদ্দেশ্যে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। নমস্কার, ধন্যবাদ। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক। 

আরো পড়ুনঃ- কলিযুগের সবথেকে বড় 10টি মহাপাপ - মহাভারতের ভীষ্ম যার বর্ণনা আগেই করে গেছেন। CLICK HERE

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।

If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.

( Please don't enter any spam link in the comment box.)

Thank You very much.

অমৃত কথা