নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম। ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয়বস্তু।
বন্ধুরা এটা তো আপনিও মানেন হয়তো ! যে, একটি স্ত্রীকে যতটা দেখেশুনে রাখা প্রয়োজন ততটা হয়তো অন্য কাউকে প্রয়োজন নয়। সেটা হতে পারে কারো বোন, কারো স্ত্রী অথবা কারো মা ; তার রক্ষা সম্পর্কে পুরুষ একবার হলেও ভাবে। এই বিষয়টিকেই মাথায় রেখে আশ্চর্য চাণক্য তাঁর "চাণক্য নীতিতে" - ৩ টি এমন জায়গা সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন যেখানে একজন স্ত্রীকে কখনো একা ছাড়া উচিত নয়। তো বন্ধুরা চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই জায়গা গুলি কি কি।
বন্ধুরা কূটনীতির জনক চাণক্য তাঁর 'চাণক্য নীতিতে' সকল পতিদের সতর্ক বার্তা দিয়ে যে তিনটি জায়গা সম্পর্কে বলেছেন, সেটা সকল পুরুষ যে নিজের স্ত্রীর মান সম্মান রক্ষা করতে চায় , তার স্নেহ কে পেতে চায় - তার কোনদিনও নিজের স্ত্রীকে সেই তিনটি জায়গাতে একা ছাড়া একদমই উচিত নয়।
কূটনীতিবিদ চাণক্য তাঁর নীতিতে প্রথম যে জায়গাটির কথা বলেন সেটি হলো- স্ত্রীর শরীর খারাপ হলে। হ্যাঁ বন্ধুরা, যদি স্ত্রীর শরীর খারাপ হয়ে থাকে হলে স্বামীর উচিত এরকম সময়ে সে যেন কখনো তার স্ত্রীকে একা না ছাড়ে। বরং যেইভাবে একজন স্ত্রী বা পত্নী তার পতির সেবা-যত্ন করে ঠিক সেইভাবেই পতিরও কর্তব্য সেই কঠিন পরিস্থিতিতে নিজের পত্নীর সেবা-যত্ন করা।
দ্বিতীয়ত, কখনো যদি স্ত্রী নির্দোষ হয়ে থাকে কিন্তু তাও অন্যান্য মানুষেরা তাকে দোষারোপ করে থাকে, তাহলে এরকম পরিস্থিতিতে পতির কখনোই তাকে একা ছাড়া উচিত নয়। পতির কর্তব্য সেই সময় পত্নীর পাশে থাকা। এরকম পরিস্থিতিতে পতির নিজের পত্নীকে পূর্ণ সমর্থন করা উচিত। কেননা সেই স্ত্রী তার সবকিছু ত্যাগ করে এই ভেবেই তার পতির কাছে এসেছে যে, তার পতি সকল সমস্যায় তার পাশে থাকবে ও তার সুরক্ষা করবে। এইজন্যই পতির কর্তব্য যতই অন্যান্য মানুষেরা তার পত্নী কে মিথ্যা দোষারোপ করুক না কেন, যদি তার পত্নী ঠিক হয়ে থাকে ও তার পত্নীর কোন ভুল না করার বিশ্বাস তার মনে থাকে, তাহলে সে দুনিয়ায় বাকি কারোর কথায় যেন কান না দেয়।
তৃতীয়ত, কূটনীতিবিদ চাণক্য বলেন, যতই কঠিন পরিস্থিতি উৎপন্ন হোক না কেন একজন স্বামী বা পতির কখনোই তার পত্নীকে অন্য পর পুরুষের সঙ্গে একা ছাড়া উচিত নয়। যতই সে আপনার চেনা পরিচিত ব্যক্তি হোক না কেন। তাকে নিজের পত্নীর সঙ্গে একা ছাড়ার ভুল কখনোই করবেন না। কেননা যখন এক স্ত্রী ও পুরুষ একা থাকে তখন কাম নিজের প্রভাব অবশ্যই দেখায়। আর এতে তাদের দোষও থাকেনা। কেননা সেই সময় ভাবনা এত প্রবল হয় যে, কখন মানুষ নিজের সীমা অতিক্রম করে ফেলে সেটা সে বুঝতেই পারে না। আর বন্ধুরা এটাই কারণ যার জন্য আমাদের ধর্ম গ্রন্থতে একটি যুবতী মেয়েকে কখনো রাত্তিরে তার পিতার সঙ্গেও একা ছাড়া নিষেধ বলে গণ্য করা হয়েছে।
এই কথাগুলি গভীরতা বুঝে নিয়ে সকল পতি বা স্বামীর উচিত তারা যেন তাদের পত্নীর সঙ্গে স্থুল হয়ে সব সময় থাকে। অর্থাৎ তারা যেন সর্বদা পত্নীর পাশে থাকে। আর যেই ব্যক্তি এই তিনটি সময়ে নিজের পত্নী বা স্ত্রীকে একা ছাড়েন না সেই গৃহস্থ ব্যক্তিই নিজের ও নিজের পত্নির মান সম্মান বাঁচিয়ে রাখতে পারে।
তো বন্ধুরা আশাকরি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে, কোন কোন সময় আপনাকে আপনার পত্নীর পাশে থাকতে হবে। আশাকরি বন্ধুরা লেখা টি পড়ে আপনারা সমৃদ্ধ হয়েছেন। ভালো লাগলে আপনজনের উদ্দেশ্যে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। নমস্কার, ধন্যবাদ। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।
আরো পড়ুনঃ- গরুড় পুরাণ অনুযায়ী যমলোকের প্রকৃতি কেমন হয়ে থাকে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।
If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.
( Please don't enter any spam link in the comment box.)
Thank You very much.
অমৃত কথা