Breaking

Search Content

Follow Us

রবিবার, ১২ জুন, ২০২২

ভালো মানুষেরা তাড়াতাড়ি মারা যায় কেন? || Why do Good people Die early?

 


নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম। ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয়বস্তু।


বন্ধুরা যেই কলিযুগে আমরা বেঁচে রয়েছি, সেখানে 100 বছরের বেশি বেঁচে থাকা কোনো চমৎকারের থেকে কম নয়। পুরাতন কালের মানুষ ছাড়া অনেক কম মানুষ এরকম আছে যারা তাদের জীবনে 100 বছর জীবিত থাকে, আর এদের মধ্যে যে সমস্ত মানুষ ভালো হয় তারা তো অনেক কম বয়সে এই সংসার ছেড়ে চলে যায়। আর আপনারা এই কথা হয়তো শুনেছেন যে, ভগবান ভালো মানুষদের তাড়াতাড়ি নিজের কাছে ডেকে নেয়। কিন্তু, আপনারা কি কখনও শুনেছেন এরকম কেন হয়? এর কারণ-ইবা কি? কেন পরিষ্কার এবং অন্যের ভালো করা মানুষেরা পাপী মানুষদের তুলনায় তাড়াতাড়ি মৃত্যু প্রাপ্ত হয়?

আজকের এই লেখাতে আমরা সবাই মিলে এই প্রশ্নের উত্তর বোঝার চেষ্টা করবো।

বন্ধুরা, যেকোনো ধর্ম হোক না কেন সমস্ত কিছুতেই এটা বলা হয়েছে যে, যারা এই পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত। আর যদি সনাতন ধর্মের কথা বলা হয় তাহলে এর মতে, বাচ্চা জন্মের ষষ্ঠম রাতেই ব্রহ্মা তার ভাগ্য লিখে দেন। যেখানে তার ভবিষ্যতের কথা যেমন- বিবাহ, পড়াশোনা এবং চাকরি তাছাড়া মৃত্যুর তারিখও থাকে। আর এটা শুধু ভগবানই জানে যে কোনো ব্যক্তির মৃত্যু কবে হবে, আর ভালো মানুষদের এই সংসার থেকে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়ার পেছনে এরকম অনেক কারন আছে। 


যার মধ্যে প্রথম কারণ বোঝার জন্য আপনাকে জন্মের রহস্য বুঝতে হবে। আপনারা তো জানেনই ব্যক্তি এই মর্তলোকে যে কর্ম করে তার হিসাব মৃত্যুর পরে তাকে যমদূতের কাছে গিয়ে দিতে হয়। যদি তার পাপের কলস ভরে যায় তাহলে তাকে নরকের যন্ত্রণা পেতে হয়। আর যদি পুণ্যের কলস ভারী হয় তাহলে তার স্বর্গসুখ লাভ হয়। আর এই চক্র অনেক যুগ যুগ ধরে চলতে থাকে, যতক্ষণ না পর্যন্ত সে মোক্ষলাভ করতে পারে। এই মর্তলোকে সকলেই তার কর্মের সাজা ভোগ করতেই আসে। কোনো আত্মা মানুষ হয়ে জন্মায় আর কোন আত্মা পশু রূপে জন্ম নেয়। সে কোন শরীরে প্রবেশ করবে সেটা তার সঞ্চিত কর্মের ওপরই নির্ভর করে। এছাড়া তাকে জন্ম দেওয়া মাতা পিতার পুণ্য তার মধ্যে আসে তারপরে সে যে কর্ম করবে সেই হিসেবে তাকে পুণ্য আত্মা অথবা অশুভ আত্মা বলা হয়। এই পুণ্য আপনার মৃত্যুর তারিখ কে পরিবর্তন করে দেয়। যেভাবে একজন জর্জ, জেলে থাকা আসামির ব্যবহার দেখে তার সাজা কম করে দেয় ঠিক সেইভাবে ভগবানও দেখেন মানুষ মর্তলোকে যাওয়ার পরে ভালো কর্ম করছে এবং তাকে তার কর্মের সাজা প্রাপ্তি হয়ে গেছে। আর যদি তার মনে হয় এখন তাকে মর্তলোকে থাকতে হবে না তখন ভগবান তাকে ডেকে নেয়। কারণ ভগবানের দণ্ডবিধি অনুসারে কোনো ব্যক্তিকে তার কর্মের সাজা ততটাই দেওয়া হবে যতটা নিয়মে রয়েছে। আর এই দণ্ডবিধানের জমিদারি রক্ষাকারী শনিদেবের কৃপায় স্বয়ং ভোলেনাথও বাঁচতে পারেনি, তাহলে আমাদের মানুষের কথা তো বাদই দিলাম। 


এছাড়া এর আরেকটি কারণ হলো যে, ভালো মানুষ কম সময়ে সেই সমস্ত জিনিস পেয়ে যায় যে কারণে ওদেরকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়। হিন্দু ধর্মে মানা হয় যে ভগবান সমস্ত ভালো মানুষদের কোনো না কোনো উদ্দেশ্যের জন্য এই মর্তলোকে পাঠান আর ভগবানের যে অবতার রয়েছে তারা সেই উদ্দেশ্যেই জড়িত, এই কারণে যখন ওই উদ্দেশ্য তাড়াতাড়ি পূরণ হয়ে যায় তখন ভগবান তাদের পুনরায় ডেকে নেন। অর্থাৎ ভালো মানুষদের মৃত্যু তাদের করা ভালো কর্মের ওপরই নির্ভর করে।


এছাড়া আপনাদের এটাও বলি, যে-সমস্ত লোক এটা বলে যে মৃত্যুর পরে মানুষ খালি হাতে যায়। তাদের এটা জানা উচিত যে, তিনটি জিনিস এমন রয়েছে যা মৃত্যুর পরেও তার সাথে যায় । সেগুলি হল প্রথমত- সঞ্চিত কর্ম, দ্বিতীয়টি হল স্মৃতি এবং তৃতীয়টি হলো জাগরন। এই কারণে বন্ধুরা আপনারা কখনো এটা বলবেন না যে, কেউ খালি হাতে এসেছিল এবং তাকে খালি হাতেই যেতে হবে।


আশাকরি বন্ধুরা লেখাটি পড়ে আপনারা সমৃদ্ধ হয়েছেন। ভালো লাগলে আপনজনের উদ্দেশ্যে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। নমস্কার, ধন্যবাদ। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।


আরো পড়ুনঃ- গৌতম বুদ্ধের একটি অনুপ্রেরণার গল্প || বুদ্ধের মতে, দুঃখ কি? CLICK HERE

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।

If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.

( Please don't enter any spam link in the comment box.)

Thank You very much.

অমৃত কথা