Breaking

Search Content

Follow Us

শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২২

যেখানেই দেখবেন ছিড়ে নেবেন - এই ফুলটি || শুধুমাত্র ২৪ ঘন্টায় বদলে দেবে আপনার দুনিয়া || জবা ফুল গাছের ধার্মিক ও আয়ুর্বেদিক গুণাবলী

 


নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম। ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয়বস্তু। 




বন্ধুরা সবার প্রথমে ভালো করে দেখে নিন এই গাছটি। আশাকরি বন্ধুরা এই গাছটি আপনারা সকলেই চেনেন। খুবই আয়ুর্বেদিক গুনে ভরপুর এই গাছটির নাম - জবা ফুল গাছ। এই গাছের ফুলটিও খুব সুন্দর। বিশেষত মা কালীর পূজাতে এই ফুলটি কাজে লাগে। বন্ধুরা আজকে আপনাদের সঙ্গে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব তা হল - এই জবা ফুল গাছটির আয়ুর্বেদিক ও চমৎকারি গুনগুলি সম্পর্কে। বন্ধুরা আশাকরি লেখাটি আপনি পুরোটা পড়বেন, এই লেখাটি পুরোটা পড়ার পর আপনি জানতে পারবেন এই জবা ফুল গাছের চমৎকারি গুনগুলি সম্পর্কে। তখন হয়তো আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন এই ফুল গাছটি ঈশ্বর আমাদেরকে আশীর্বাদ দিয়েছেন। 


বন্ধুরা আমাদের বাড়ির আশেপাশে এরকম কিছু গাছ রয়েছে যেগুলি আমাদের কোনো না কোনো রোগব্যাধি সারাতে সাহায্য করে। এরকম কিছু গাছও রয়েছে যা আমাদের কোন না কোন সমস্যা দূর করে। কিন্তু, জানকারি অভাবের জন্য অর্থাৎ আমরা না জানার জন্য সেই গাছটি আমাদের কাছে শুধুমাত্র একটি সাধারণ গাছ হয়ে থাকে। ঠিক সেরকমই জবা ফুল গাছকেও অনেকে শুধুমাত্র ফুল গাছ হিসেবেই মেনে থাকেন। বন্ধুরা আমরা যদি একবার এর আয়ুর্বেদিক প্রয়োগ সম্পর্কে জানতে পারি তাহলে আমরা অনেক রোগব্যাধি সারাতে পারবো এই জবা ফুল গাছের মাধ্যমে। শুধু তাই নয় জীবনে তৎকালীন অবস্থায় চলা সমস্ত সমস্যা দূর হবে এবং এরই সাথে জীবনে ধনবান হওয়া সম্ভব হবে।


বন্ধুরা আমরা সাধারণত তিনটি প্রজাতির জবা ফুল গাছ দেখে থাকি। এর মধ্যে একটি হলো - সাদা, আরেকটি গোলাপি এবং আরেকটি হলো লাল। বন্ধুরা আয়ুর্বেদেও এই তিনটি প্রজাতিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বন্ধুরা এই জবা ফুল গাছের ইংরেজি নাম - Hibiscus , বন্ধুরা অনেক লোকেই বাড়ির ছোট বাগানে এই জবা ফুলের চারা লাগায় শখ করে। 


তো চলুন বন্ধুরা, জেনে নেওয়া যাক এই জবা ফুলের গাছ বাড়িতে লাগালে কি হয়? 

বন্ধুরা সবার প্রথমে এটির ধার্মিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং তারপরে আয়ুর্বেদিক প্রয়োগ সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো। বন্ধুরা এমনটা মনে করা হয় যে এই গাছটি যেখানে লাগানো হয় সেখানে সব সময় পজেটিভ শক্তি বিরাজমান থাকে। যে নেগেটিভ এনার্জি থাকে সেগুলিকে এই গাছটি শেষ করার কাজ করে। বাড়িতে এই গাছ লাগানো খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। যে সকল মানুষের কুন্ডলীতে সূর্যদেবের প্রভাব ঠিক নেই তাদের নিজের গৃহে এই গাছটি অবশ্যই লাগানো উচিত। সূর্যদেব সেই ব্যক্তির কুণ্ডলীতে দুর্বল থাকার কারণে সেই ব্যক্তি সাহস শেষ হয়ে যায়। সেই ব্যক্তির কোন প্রকার কার্যতে সফলতা আসে না, যে কারনে ব্যক্তির সবসময় মানহানি ও ধনহানির ভয় লেগেই থাকে। তো বন্ধুরা এই ধরনের কিছু লক্ষণ দেখে আপনি বুঝতে পারবেন আপনারও সূর্য দোষ আছে, নাকি নেই !  যদি থেকে থাকে তাহলে এই গাছটি আপনি আপনার বাড়িতে লাগাতে পারেন। বন্ধুরা এটাও মানা হয় - যদি আপনার কুণ্ডলীতে মঙ্গল দোষ থেকে থাকে , আর সে মত অবস্থায় আপনি যদি এই জবা ফুল গাছ নিজের বাড়িতে লাগান তাহলে আপনার মঙ্গল দোষ কেটে যায়।


তো চলুন বন্ধুরা, এবার আমরা জেনে নেব আয়ুর্বেদে কোন কোন রোগ ব্যাধি দূর হয় এই গাছটির মাধ্যমে। বন্ধুরা আয়ুর্বেদে সর্বপ্রথম পেটে ব্যাথা দূর করার জন্য এই গাছের পাতা ব্যবহার করা হয়। এমনটা মনে করা হয় যে এই গাছের শুকনো পাতাকে জলের সাথে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিয়ে চায়ের মত খেলে আপনার পেটে হঠাৎ করে হওয়া ব্যথা কমে যায়। বন্ধুরা আমরা অনেক ক্ষেত্রেই শুনি মানুষের শরীর খারাপ হয় পেটে পাথর হওয়ার জন্য। যে সমস্ত মানুষজনেরা পেটে পাথর হওয়ার কারনে বহুদিন ধরে রোগে ভুগছেন তারা এই জবা ফুল গাছের পাতা দিয়ে তৈরি হওয়া পাউডার বাজারে খুবই স্বল্প মূল্যে পাওয়া যায় সেটি কিনতে পারেন (বন্ধুরা এটিকে আপনারা আয়ুর্বেদিক ঔষধির দোকানে গিয়ে - " Hibiscus powder " নাম বলে কিনতে পারেন)। কিংবা নিজেই এই গাছটিকে বাড়িতে লাগিয়ে তার পাতা ও পুষ্প শুকিয়ে পাউডার তৈরি করে নিতে পারেন। বন্ধুরা এই পাউডারটিকে এক গ্লাস হালকা গরম জলের সঙ্গে দু চামচ করে গুলে খাওয়ার ফলে আপনার পেটে হওয়া পাথরের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। বন্ধুরা এটি আপনারা খালি পেটে করবেন সকাল ও সন্ধ্যায়। বন্ধুরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই নিয়মটি মেনে চললে ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই পেটের পাথর মূত্রনালীর মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে যায়। (বন্ধুরা এক্ষেত্রে বলে রাখি যদি এটি ব্যবহারের পরেও আপনার সমস্যা সমাধান না হয় সে ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন)। 


বন্ধুরা এছাড়াও জবা গাছ মানুষের শরীরের আইরনের ঘাটতি পূরণ করে। আপনাদের মধ্যে এরকম অনেক লোক রয়েছেন যারা আয়রনের জন্য ওষুধ খান, তো বন্ধুরা তাদের এখন থেকে আর ওষুধ না কিনে খেলেও চলবে, কেননা এই জবা ফুল গাছের পুষ্পকের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ গুড় মিশিয়ে একটু গরম জলে ফুটিয়ে তা দিয়ে চা বানিয়ে খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ হবে। এমনটা করার ফলে আপনার জীবনে আর কখনো আইরনের ঘাটতি অর্থাৎ রক্তের ঘাটতি ঘটবে না। বন্ধুরা শরীরে আয়রনের ঘাটতি অর্থাৎ রক্তের ঘাটতি হয় মূলত মঙ্গলের জন্য। আর মঙ্গলের সাথে যুক্ত যে রংটি, তা হল - লাল। যে কারণেই জবা গাছের পুষ্পক খুবই ব্যাপক প্রভাব ফেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে। 


বন্ধুরা ওজন কমাতেও কাজ করে এই জবা ফুলগাছ। বন্ধুরা অনেক এমন মানুষ আছে যারা নিজেদের ওজন কমাতে চান ! তো বন্ধুরা এমনটা মানা হয় যে, জবা গাছের পুষ্প দিয়ে চা বানিয়ে খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত কোনো রকম খিদে পায় না। আর বন্ধুরা যদি লম্বা সময় পর্যন্ত খিদে না পায় তাহলে সে ক্ষেত্রে এটা একটা সাধারণ বিষয় যে তার ওজন কখনোই বারবে না।


তো চলুন বন্ধুরা এখন জেনে নেওয়া যাক জবা ফুল গাছের ধার্মিক মাহাত্ম্য সম্পর্কে। বন্ধুরা মা কালী ও মা দুর্গা, এই দুজনার জবা ফুল গাছ খুবই প্রিয়। এর সাথে ভগবান শ্রী হনুমানের ও এই জবা ফুল খুবই প্রিয়। লাল রঙের সকল প্রকার ফুলই মা দুর্গার খুবই প্রিয়। শুধু তাই নয় নবরাত্রিতে এই লাল রঙের একাধিক ফুলের বিভিন্ন ধরনের প্রয়োগ ও একাধিক টোটকা প্রয়োগ করে থাকেন বহু মানুষ। বন্ধুরা যদি কারো মঙ্গল দোষ থাকে যেমন - বিবাহে বাঁধা থাকে, জাতকের সঙ্গে বিবাদ থাকে, কুন্ডলীতে কোনরকম বিপত্তি থাকে, জন্মগত কোনো মারক রোগ থাকে তাহলে সবার প্রথমে করণীয় কাজটি হল মঙ্গলকে বলবান করা। আর বন্ধুরা এই মঙ্গলকে বলবান করার জন্যই জবা ফুল গাছের একটি ছোট্ট চারা নিজের বাড়িতে অবশ্যই লাগান। আর বন্ধুরা সেই গাছটির একটি ফুল নিয়ে অন্তত দু থেকে তিন মাস শ্রীরামের স্মরণ করে হনুমানজিকে অর্পণ করুন। তাহলে যে কোন প্রকার মঙ্গল দোষ দূর হয়। বন্ধুরা শুধু তাই নয় এতে মঙ্গল দোষ দূরের সাথে সাথে হনুমানজির কৃপাও পাওয়া যায়। আর বন্ধুরা এই ধরনের মানুষদের অষ্টসিদ্ধি নবনতি প্রাপ্তি হয়। আর হনুমানজি সেই মানুষের জীবনের প্রত্যেকটি সমস্যা দূর করেন।


বন্ধুরা যদি কোনো ব্যক্তি শনি সাড়ে সাতির দশার ভুক্তভোগী হয়ে থাকেন তাহলেও সে ক্ষেত্রে এই জবা ফুল গাছের ৫ টি ফুল শ্রী রামের স্মরণ করে হনুমানজিকে অর্পণ করতে হবে। তাহলে সেই মানুষের জীবন থেকে শনির সাড়ে সাতির প্রভাব কিছুটা হলেও কমবে।


বন্ধুরা যখন বিশেষ প্রকারের কোনো বরদান লাভ করতে চাইবেন যেমন - ধন-সম্পত্তি চান, চাকরি চান অথবা কোন বিশেষ মনোবাঞ্ছা পূরণ করতে চান ; তখন বিশেষ করে শুক্লপক্ষের বৃহস্পতিবার অর্থাৎ গুরু বার থেকে অথবা সোমবার থেকে এই জবা ফুল গাছের নয়টি ফুল নিয়ে একটি মালা তৈরি করে পর পর আপনাকে নয় দিন পর্যন্ত রাত্রিকালীন ৯ ঘটিকার পর মাতা নব দূর্গাকে অর্পণ করতে হয়। মনে রাখবেন প্রত্যেকটি জবা ফুলের রং যেন লাল হয়। কোন বিশেষ মনোবাঞ্ছা পূরণ করার সময়ই এই উপায়টি মেনে চলবেন। বন্ধুরা সে ক্ষেত্রে আপনার মন কামনা পূর্ণ হওয়ার থেকে ব্রহ্মাণ্ডের কোন শক্তি আটকাতে পারবেনা। বন্ধুরা বলা হয় যে মাতা নব দুর্গাকে একটি লাল জবা ফুল অর্পণ করলে ১০০ টি গোদান এর সমতুল্য পূর্ণ লাভ হয়।


তো বন্ধুরা আশাকরি লেখাটি পড়ে আপনারা সমৃদ্ধ হয়েছেন এবং জবা ফুল গাছের সমস্ত প্রকার ধার্মিক ও আয়ুর্বেদিক গুণাবলী সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। ভালো লাগলো আপনজনের উদ্দেশ্যে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। নমস্কার, ধন্যবাদ। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।


আরো পড়ুন:- গরুড় পুরাণের পাঠ - মৃত্যুর পরেই কেন করানো হয়?   CLICK HERE


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।

If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.

( Please don't enter any spam link in the comment box.)

Thank You very much.

অমৃত কথা