নমস্কার দর্শক বন্ধুরা অমৃত কথা এই ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাই সুস্বাগতম। ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র এবং বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা আর্চনা এই ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয়বস্তু।
বন্ধুরা আজকালকার দিন এমন হয়ে গেছে যে, কারোর আশাই অল্পতে পূর্ণ হয় না। আর প্রত্যেক দিন এটা বেড়েই চলেছে। মানুষ নিজের ইচ্ছা পূরণ করার জন্য ভালো-খারাপ সবকিছু করতে রাজি। শুধু তাই নয় নিজের চাওয়া পাওয়া পূরণ করার জন্য মানুষ অন্যের কাছ থেকে ঋণ পর্যন্ত নিয়ে নেয়। এমত অবস্থায় প্রশ্ন এটা ওঠে যে, ব্যাক্তি ঋণ তো নিয়ে নেয় কিন্তু সেই দিন পরিশোধ করতে খুবই সমস্যায় পড়তে হয়। এই কারণে আজকে আপনাদের ঋণ থেকে মুক্ত হওয়ার কিছু উপায় সম্পর্কে জানাবো। তো চলুন বন্ধুরা ঋণ থেকে থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
প্রথমত, আপনাকে সোমবার দিন বট বৃক্ষতে জল দিতে হবে। এই কারণে এক ঘটি জল নিন এবং তাতে কিছুটা পরিমাণ চাল ও হলুদ দিয়ে দিন। এরপর বট গাছের গোড়ায় জল দেওয়ার সময় তখন নিজের ঋণ মুক্তির কথা বলুন। এরকম আপনাকে পাঁচটি সোমবার করতে হবে এবং শেষ সোমবারে ওই গাছের একটু ছোট্ট শিকড় নিয়ে একটি কাপড়ে মুড়ে নিন। সেই কাপড়টিকে নিজের পকেটে বা কাছে অন্তত দুই থেকে তিন মাসের জন্য রাখুন। বন্ধুরা এক্ষেত্রে বলে রাখি ঋণ মুক্তির জন্য বট বৃক্ষকে সবথেকে ভালো মনে করা হয়ে থাকে। এই কারণেই যদি বন্ধুরা আপনারা এটি সঠিক ভাবে করতে পারেন তাহলে আপনার উপর যত পরিমানে ঋণ থাকুক না কেন তা সবই মুক্ত হয়ে যাবে।
দ্বিতীয়ত, সবার প্রথমে আপনাকে একটি নারকেল নিতে হবে এবং তার উপরে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকতে হবে। এই জন্য একটি পবিত্র পাত্রে সিঁদুরের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ তেল মিশিয়ে নিন এবং তারপর সেটি দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকুন। এরপর ভোগের জন্য কিছু লাড্ডু রাখুন। এরপর সেই নারকেল এবং লাড্ডু দিয়ে মঙ্গলবার দিন হনুমানজির পূজা করুন ও তাকে ভোগ লাগান। আপনি যদি পরপর চার অথবা পাঁচ মঙ্গলবার এমনটা করতে পারেন তাহলে আপনার এর লাভ অবশ্যই প্রাপ্ত হবে। শুধু তাই নয়, তৃতীয় মঙ্গলবার থেকে আপনি এর প্রভাব লক্ষ্য করতে পারবেন। কিন্তু মনে রাখবেন এই উপায়টি পুরো পবিত্রতা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে করতে হবে।
তৃতীয়ত, বন্ধুরা তৃতীয় বিষয়টি করার জন্য আপনাকে আপনার উচ্চতা অনুযায়ী একটি কালো কার্ নিতে হবে এবং সেটিকে একটি খোসা ছাড়ানো নারকেলের সঙ্গে জড়িয়ে দিতে হবে। এরপর সেই নারকেলটির সঙ্গে কিছু টা পরিমাণ ফুল নিয়ে নিজের ইষ্ট দেবতাকে স্মরণ করে তাকে একটি পবিত্র জলে ভাসিয়ে দিন। আসলে এই বিষয়টি আপনার ঋণের সঙ্গেই যুক্ত। ওই নারকেলটি যদি আপনি কোন পবিত্র নদীর জলে ভাসিয়ে দেন তাহলে সেই নারকেলটি যতদূর ভেসে যাবে আপনার ঋণের বোঝা ততই কমতে থাকবে।
চতুর্থত, প্রতি বুধবার দিন গো মাতার উদ্দেশ্যে কিছু ভজন দিন। এক্ষেত্রে গো মাতার আশীর্বাদ সব সময় আপনার উপর থাকবে। বন্ধুরা আমাদের সনাতন ধর্ম অনুযায়ী গো মাতার মধ্যে ৩৩ কোটি দেব দেবী রয়েছে। এই কারণে গো মাতা আমাদের জন্য খুবই পূজনীয়। তার মাধ্যমে আমরা একসাথে অনেক ভগবানকে খুশি করতে পারি এবং সকল ভগবানের আশীর্বাদ প্রাপ্ত করতে পারি।
পঞ্চমত, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায়। একটি করার ফলে আপনার ঋণ নিশ্চিত রূপেই শোধ হয়ে যাবে। এর জন্য আপনাকে প্রতি মঙ্গলবার রাত এগারোটা থেকে একটার মধ্যে হনুমান চল্লিশার পাঠ করতে হবে। আপনাকে ১১ টি মঙ্গলবার নিয়মিত এটি পাঠ করতে হবে। এটি করার পেছনে কারণ হলো রাত্রির বেলায় বাইরের জগতের আওয়াজ কম থাকে যেই কারণে পূজা পাঠে খুব সহজেই মন লাগে।
ষষ্ঠত, পুরান অনুযায়ী এই মন্ত্রটি জপের মাধ্যমে আপনি সকল ঋণ মুক্ত হবে এবং এরই সাথে আপনার দরিদ্রতাও দূর হবে। মা লক্ষ্মীর কৃপা দৃষ্টি থাকবে আপনার উপর। মন্ত্রটি হল -
" ওঁ জুং সঃ "
এই মন্ত্রটির জপ আপনাকে রোজ করতে হবে, তাহলেই আপনি ধীরে ধীরে এই মন্ত্রটির ফল পেতে থাকবেন।
বন্ধুরা এর সাথে আপনি সবসময় চেষ্টা করবেন যেন ঋণ নিতে না হয়। খুব প্রয়োজনে নিজের বন্ধু-বান্ধব অথবা পরিবারের সাহায্য করা ভালো কথা, কিন্তু ঋণ দেওয়া এবং নেওয়া অনেক বার আপনাকে বড় সমস্যা ফেলতে পারে। সাহায্য করার নামে কাউকে টাকা-পয়সা ধার দিলে মা লক্ষ্মী অত্যন্ত রুষ্ট হন।
তো বন্ধুরা আশা করি আজকের এই লেখাটি পড়ে আপনারা ঋণ পরিশোধ সম্পর্কিত একাধিক উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। ভালো লাগলে আপনজনের উদ্দেশ্যে শেয়ার করুন। আজ এখানেই শেষ করলাম। নমস্কার, ধন্যবাদ।
ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।
আরো পড়ুন:- ঈশ্বরের এই আটটি গুরুত্বপূর্ণ সংকেত || যা পেলে জীবন বদলাতে বাধ্য - CLICK HERE
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
যদি আপনার কোনরূপ কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন । পরবর্তী আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন।
If you have any questions or queries then comments in the comment box. To get regular updates subscribe us and please share this wisdom and knowledge.
( Please don't enter any spam link in the comment box.)
Thank You very much.
অমৃত কথা